শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্বে তারেক রহমান, ২৩ সদস্যের কমিটি গঠন

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্বে তারেক রহমান, ২৩ সদস্যের কমিটি গঠন। ছবি: সংগৃহীত

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) বোর্ড অব ডাইরেক্টরস সম্প্রতি ২৩ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হয়েছেন এই কমিটির প্রেসিডেন্ট।

ডা. জুবাইদা রহমানকে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে ৭ জন সদস্যকে।

গত ৯ নভেম্বর তারেক রহমানের অনুমোদিত এই নতুন কমিটিতে চিকিৎসক, কৃষিবিদ, প্রকৌশলী, শিক্ষক, আইনজীবী, এবং সাংবাদিক পেশার বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ স্থান পেয়েছেন। বোর্ডের অন্য সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো— অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ডা. সৈয়দা তাজনীন ওয়ারিস সিমকী, কৃষিবিদ ড. খন্দকার মাহফুজুল হক বাচ্চু, প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, এবং সাংবাদিক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান।

উপদেষ্টা পরিষদে আছেন— ডা. এ.এস. হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ডা. হারুণ আল রশিদ, কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, এবং প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, একটি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে ১৯৯৯ সালে তারেক রহমানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬০ সালের সোসাইটি অ্যাক্ট অনুযায়ী নিবন্ধিত এই সংগঠনটি দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ও অসহায় মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ফাউন্ডেশনটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং কৃষি খাতে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

ফাউন্ডেশনের প্রথম উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ ছিল ২০০০ সালের ১লা বৈশাখে খুলনা জেলার দীঘলিয়া ও রূপসা থানায় আয়োজন করা স্বাস্থ্য মেলা। সংগঠনটি “একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা, দেশে আসবে স্বনির্ভরতা” এই স্লোগানে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

রাফির বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকা লেনদেনের সত্যতা মেলেনি

সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকার তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রচার করে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম।

গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মুর্হুতেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর, রাফি নিজে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি অবস্থান তুলে ধরেছেন।

এছাড়াও রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও তার মায়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে অস্বাভাবিক লেনদেনের যে দাবি তোলা হয়েছে তা সঠিক নয় বরং উল্লিখিত সময়ের মধ্যে রাফির অ্যাকাউন্টে ৩২ হাজার ৬০২ টাকার লেনদেন হয় এবং তার মায়ের নামের অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেনই হয়নি।

রাফির নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১ আগস্ট থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ৬১ লাখ ৩২০ টাকা। নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে খোলা এই বিকাশ অ্যাকাউন্টে সর্বশেষ স্থিতির পরিমাণ এক লাখ ২৫ হাজার ২৪৩ টাকা ৫৬ পয়সা। সমন্বয়ক রাফি তার মায়ের এনআইডি ব্যবহার করে আরেকটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলেন। মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে খোলা ঐ বিকাশ অ্যাকাউন্টে (০১৭০৯১৯৭৩**) ১ আগস্ট থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৩৫ টাকা। মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে খোলা এই বিকাশ অ্যাকাউন্টে সর্বশেষ স্থিতির পরিমাণ ৫০ হাজার ৪০৩ টাকা ৪৭ পয়সা।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ আর্কাইভ – Bangladesh Archive’ নামে এক ফেসবুক পেজে একই দাবি সম্বলিত একটি পোস্টের সন্ধান পায় রিউমর স্ক্যানার। এই পোস্ট এবং ডেইলি বাংলাদেশের প্রতিবেদনে উল্লিখিত রাফির বিকাশের লেনদেনের তথ্যগুলোয় সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

অথাৎ, সংবাদমাধ্যমে সহ-সমন্বয়ক রাফির কথিত বিকাশ লেনদেনের বিষয়ে সম্প্রতি যে দাবি প্রচার করেছে তা অন্তত দুই মাস পূর্বেই কতিপয় ফেসবুক পোস্টে পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ আর্কাইভ পেজটির এ সংক্রান্ত পোস্টের কমেন্টে The Bengal Telegram নামে একটি পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণ সদৃশ পাতার স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার কিওয়ার্ড সার্চ করে এই নামে কোনো পত্রিকার অস্তিত্ব পায়নি।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেদিন সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।

রাফি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগে আমি অত্যন্ত হতাশ। আমি সবসময় আন্দোলনের মূল নীতির প্রতি বিশ্বস্ত ছিলাম এবং আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা নিছক একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।’

ভিডিও বার্তায় রাফি আরও বলেন, প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। তিনি এই ঘটনায় তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

বিকাশের ওয়েবসাইটে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, একজন বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার যে কোন মুহূর্তে তার একাউন্টে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা রাখতে পারবেন। একজন বিকাশ গ্রাহক তার বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন (এজেন্ট এবং এটিএম থেকে সম্মিলিতভাবে)। অথচ, দাবি করা হচ্ছে, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে রাফি ও তার মায়ের অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে যথাক্রমে ৬১ লাখ ও ৩১ লাখ টাকার বেশি যা এই শর্তবিরোধী। কারণ একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দুই মাসে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা তোলা যায়।

পরবর্তী অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার রাফি ও তার মায়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে উল্লিখিত সময়ের লেনদেনের ইতিহাস খুঁজে বের করেছে। রাফির বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ আগস্ট তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে (০১৯৯৫৮৮৭১**) জমা ছিল ২ হাজার ৪ টাকা ২৪ পয়সা। ১ আগস্ট থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে ৩২ হাজার ৬০২ টাকা। ১ অক্টোবর তার অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ৯ হাজার ৭ টাকা। ২ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৪৩ টাকা। সে সময় তার অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ১৭৮ টাকা ২৫ পয়সা। রাফি অনলাইন প্লাটফর্ম ফেস দ্য পিপলের একটি লাইভ অনুষ্ঠানেও গতকাল (০৮ জানুয়ারি) তার অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ স্থিতির বিষয়ে একই তথ্য দিয়েছেন।

রাফির মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে খোলা অপর বিকাশ অ্যাকাউন্টে (০১৭০৯১৯৭৩**) ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে গত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে মাত্র ২০ টাকা (২৫ অক্টোবর এই ২০ টাকা লেনদেন হয়)। অ্যাকাউন্টটিতে সর্বশেষ জমা আছে ২৩৮ টাকা ৬১ পয়সা।

Header Ad
Header Ad

বগুড়ার আদমদীঘিতে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে প্রাণ গেল চোরের (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার জিনইর গ্রামে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন অপর এক চোরকে আটক করেছে।

মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহমান (৪২), তিনি উপজেলার ডালম্বা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জিনইর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছিলেন। আটক ব্যক্তির নাম রতন ইসলাম, তিনি জিনইর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে জিনইর গ্রামের পূর্ব মাঠে একটি অগভীর নলকূপের পাশে বিদ্যুতের পিলারের ওপর মৃত অবস্থায় আব্দুর রহমানকে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ উদ্ধার করে এবং মৃত ব্যক্তির কোমরে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি দেখতে পায়।

পুলিশের ধারণা, ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বৈদ্যুৎস্পর্শে তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পুলিশ সন্দেহভাজন রতন ইসলামকে আটক করে এবং তার বাড়ি থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও মালামাল উদ্ধার করে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "মৃত আব্দুর রহমানের কোমরে বৈদ্যুতিক কাজের যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে, যা ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পিলারে উঠে ট্রান্সফরমার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছেন। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা প্রস্তুত করা হচ্ছে।"

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেড়েছে সিগারেটের দাম, অভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে

বেড়েছে সিগারেটের দাম, অভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝে এসে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এতে বাড়ছে সিগারেটের শুল্ক ও দাম। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর মাধ্যমে সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায়ের দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত চলতি অর্থ বছরের শেষ ৬ মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

সিগারেটের অভ্যাস ছাড়তে বহু মানুষই নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। এর পেছনে রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক কারণ, যা বেশিরভাগ সময়ই খুব শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। তবে সঠিক উপায় এবং মানসিক প্রস্তুতি থাকলে সিগারেট ছাড়া সম্ভব। এখানে কয়েকটি সহজ এবং কার্যকরী উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনার সিগারেটের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করতে পারে।

১. বিশেষ সাপোর্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন
যদি একাই সিগারেট ছাড়তে না পারেন, তবে বিশেষ সাপোর্ট প্রোগ্রাম বা কাউন্সেলিং সেশন নেয়া যেতে পারে। অনেক চিকিৎসক এবং ক্লিনিক সিগারেট ছাড়ানোর জন্য বিশেষ চিকিৎসা এবং সেবা প্রদান করে। সেগুলি আপনার অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে।

২. পুনরায় চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য্য রাখুন
সিগারেট ছাড়ার সময় পিছু হটলে হতাশ হবেন না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। ভুল হলে আবার চেষ্টা করুন, আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। ধৈর্য্য রেখে যাত্রা চালিয়ে যান, কারণ সাফল্য আসবেই।

৩. ইনহেলার বা নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার করুন
কিছু মানুষ নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার করে সিগারেট ছাড়ে। এই থেরাপি শরীরে নিকোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য ইনহেলার, গাম, প্যাচ বা লজেনজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি সিগারেট ছাড়ার প্রক্রিয়া সহজ এবং ঝুঁকি মুক্ত করে

৪. নিজের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করুন
সিগারেট ছাড়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো আপনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা। আপনি কেন সিগারেট ছাড়তে চান, তা ভাবুন—স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক কারণে, অথবা পরিবারের জন্য। এই উদ্দেশ্য মনে রেখে কাজ করুন এবং যখনই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হবে, তখন এই উদ্দেশ্যগুলো আপনাকে শক্তি দেবে।

৫. প্রত্যাহারের লক্ষণ মেনে চলুন
সিগারেট ছাড়ার সময় আপনার শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, যেমন তীব্র মাথাব্যথা, একাগ্রতার অভাব, বিরক্তি, এবং উৎকণ্ঠা। এগুলো হলো সিগারেট থেকে বের হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। সেগুলো মেনে চলুন এবং ধীরে ধীরে সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

৬. পর্যায়ক্রমে সিগারেটের সংখ্যা কমান
সিগারেটের অভ্যাস একদিনে পুরোপুরি ছাড়া সম্ভব নাও হতে পারে। শুরুতে আপনার দৈনিক সিগারেটের সংখ্যা কিছুটা কমান এবং এটি ধীরে ধীরে আরও কমাতে থাকুন। যেমন, এক সপ্তাহে একটি সিগারেট কমানোর চেষ্টা করুন এবং পরে পুরোপুরি ছেড়ে দিন।

৭. নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন
সিগারেট খাওয়ার বদলে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, বা প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া আপনার মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে আনবে। চা বা জলপান গ্রহণেও অভ্যস্ত হতে পারেন।

৮. বন্ধুদের সহায়তা নিন
আপনি একাই এই যাত্রা শুরু করতে পারেন, কিন্তু অন্যদের সহযোগিতা এবং উৎসাহ অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীদের সহায়তা নিন যারা আপনাকে সমর্থন করতে পারেন। তারা আপনাকে শক্তি যোগাবে এবং আপনিও তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে অন্যদের সাহায্য করতে পারবেন।

৯. স্ট্রেস ব্যবস্থাপনা
অনেকের জন্য সিগারেট একটি স্ট্রেস কাটানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদে এর পরিবর্তে আপনি মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। এটি আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাফির বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকা লেনদেনের সত্যতা মেলেনি
বগুড়ার আদমদীঘিতে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে প্রাণ গেল চোরের (ভিডিও)
বেড়েছে সিগারেটের দাম, অভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে
ট্রাম্পের অভিষেকে যাচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং
মাজার, কাওয়ালি গানের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: ফারুকী
বেঙ্গলে দুই দিনের সংগীতানুষ্ঠান: শীতের সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসংগীতের সুরধারা
মেজাজ হারিয়ে শাস্তি পেলেন তামিম ইকবাল
দুর্নীতির শঙ্কায় মাল্টার নাগরিকত্ব পাননি টিউলিপের চাচি
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল নেভাতে নামানো হলো কারাবন্দিদের
শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতারে সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি, ধরতে চলছে যৌথ অভিযান
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল: জো বাইডেনের সমালোচনা করে চটেছেন ট্রাম্প
দেশে পাঁচজনের শরীরে নতুন ভাইরাস শনাক্ত
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিনেত্রী নিপুণকে ছেড়ে দিল পুলিশ
নারী শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক
বিমানবন্দরে নায়িকা নিপুণ আটক, লন্ডন যাত্রা বাতিল
কাতারের আমিরের উদ্দেশে ফেসবুকে তারেক রহমানের বার্তা
টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর চিন্তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
ইসরায়েলি হামলায় ৯ দিনে ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত
আপাতত হাসপাতালেই থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া