আওয়ামী প্রেতাত্মাদের অপসারণের দাবি ১২ দলীয় জোটের
ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসন থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা।
এদিন সংলাপের পর ১২–দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের যে-সব প্রেতাত্মা এখনো প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে, তাদের আমরা অপসারণ করতে বলেছি।’
মোস্তফা জামাল হায়দার আরও বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ট্রাকের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি। সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও অবিলম্বে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য যা করা প্রয়োজন, তিনি সেই পদক্ষেপ নেবেন।’
১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের পরিসর বাড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে এনে সুশাসন কায়েম করতে হবে। আমরা সংস্কারের বিষয়ে একমত পোষণ করেছি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করে তৃণমূল থেকে স্বৈরাচারকে উৎখাতের কথা বলেছি। সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছি।’
এর আগে, এদিন বিকেল থেকে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসেন।
সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল ও জোটগুলো হলো গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।
উল্লেখ্য, আওয়ামী সরকারের পতনের দিন গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।