স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক রেলমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ছবি: সংগৃহীত
রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, তার স্ত্রী সাইদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান বরাবর চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিটি দিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম। সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর থেকে ঢাকা প্রকাশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে গত ২৯ আগস্ট অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন জিল্লুল হাকিম। ৫০ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টাকা ধার নিয়ে ঋণ পরিশোধ করে ওই নির্বাচনে অংশ নেন এবং নির্বাচিত হন জিল্লুল হাকিম।
দুই যুগের ব্যবধানে এখন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ (পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দি) আসনের সাবেক এমপি জিল্লুল হাকিম কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমসহ পরিবারটি দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলে আছে অভিযোগ।
তার বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরা, বনানি ও রাজবাড়ি শহরে বিলাসবহুল বাড়ি ও রাজবাড়ীর তিন উপজেলায় ৫০০ বিঘার বেশি জমির মালিকানা থাকার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর বাউন্ডারি দেওয়াল ভেঙে ১৩ শতাংশ জমি ও উপজেলা সদরে সংখ্যালঘু ২০টি পরিবারের ২০ শতাংশ জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নে ১২টি সংখ্যালঘু পরিবারের ১০৭ বিঘা জমি দখল করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে লিখে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জিল্লুল হাকিম নিজের নামের পাশাপাশি স্ত্রী-পুত্রের নামে-বেনামে রাজবাড়ি ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।
একসময় মোটরসাইকেলে চড়ে বেড়ানো সেই জিল্লুল হাকিম এখন কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা করেন। নামে-বেনামে রাজবাড়ীতে তিনি কিনেছেন দুইশ’ বিঘার বেশি জমি। তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল পদ্মা নদীর ৫০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন