রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হওয়ায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তিতুমীর কলেজের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৪৫ মিনিটের এই বৈঠকে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কমিটি গঠনের পর সময়সীমা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করবে।
তিতুমীর ঐক্যের সদস্য মতিউর রহমান জয় জানান, “সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচক মনে করছি। সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের আশ্বাস পাওয়ায় আপাতত আন্দোলন স্থগিত করছি। তবে, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে আমরা আবারো বৃহৎ আন্দোলনে যাব।”
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কলেজ শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছিলেন। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় তারা কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হন।
শিক্ষার্থীদের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. তোয়াহা ও কাউসার।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাভেদ ইকবাল বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা করার আহ্বানে আমরা সাড়া দিয়েছি। তবে যদি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হয়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন হলে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।