বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে মোহাম্মদ আলির ৫ উইকেট শিকার এবং তাওহীদ হৃদয়ের আসরসেরা ব্যাটিংয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ১৬ বল হাতে রেখে চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।
আগামী বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসের প্রতিপক্ষ হবে খুলনা টাইগার্স।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে চিটাগং কিংস। তবে শুরু থেকেই চাপে পড়ে তারা। বরিশালের ক্যারিবীয় তারকা কাইল মায়ার্স প্রথম ১৩ বলের মধ্যেই খাজা নাফায় ও গ্রাহাম ক্লার্ককে ফিরিয়ে দেন। এরপরই নামেন মোহাম্মদ আলি, যিনি তার বিপিএল অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেন।
এই পাকিস্তানি পেসার ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বিপিএল অভিষেকে ফাইফার পাওয়া দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ইতিহাস গড়েন। শুধু তাই নয়, এক ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বিরল কীর্তি গড়েন তিনি।
তবে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও পারভেজ হোসেন ইমন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। পঞ্চম উইকেটে ৫০ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন তারা। শামীম মাত্র ৪৭ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। ইমন ৩৬ বলে ৩৬ রান করেন। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় চিটাগং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং উপহার দেয় বরিশাল। ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ৫৫ রান যোগ করেন তাওহীদ হৃদয়। নবম ওভারে ২৬ বলে ২৯ রান করা তামিম ফিরে গেলেও বরিশালের জয়ের পথে কোনো বাধা আসেনি।
এরপর হৃদয়ের সঙ্গে যোগ দেন ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালান। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ১৬ বল হাতে রেখেই জয় এনে দেন। মালান ২২ বলে ৩৪ রান করেন। অন্যদিকে, হৃদয় ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন, যা এবারের বিপিএলে তার সেরা পারফরম্যান্স।
এই জয়ের ফলে বরিশাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেল। এখন তাদের সামনে মাত্র এক বাধা—বিপিএল ফাইনাল।