বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ওবায়দুল কাদেরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ।

সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি এই আইনজীবী নিজেই জানান। তার এই আবেদনে ওবায়দুল কাদেরের দুই ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও মাহাদাত কাদের মির্জার দুর্নীতির অনুসন্ধান করার বিষয়েও আর্জি জানানো হয়েছে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারদলীয় সাবেক এমপি-মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।

গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সড়ক-মহাসড়কের ব্যাপক উন্নয়ন দাবি করা হলেও সড়ক খাতে ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ১২ বছরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত বচন দিলেও তাঁর সময়ে ঠিকাদারি কাজ ও বিল পেতে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য হয়েছে। নেতা, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের আঁতাতে প্রকল্প ব্যয়ের ১০ থেকে ২০ শতাংশ গেছে। লাইসেন্স ভাড়া, কার্যাদেশ কেনাবেচা, স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজিতে আরও ২ থেকে ৬ শতাংশ টাকার অনিয়ম হয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে এসেছে।

প্রতিবেদনে ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়ন প্রকল্পের ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে সম্পন্ন ২৫টি প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গত ১৫ অর্থবছরে সওজে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে নির্মাণকাজে। ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোট ব্যয়ের ৭২ শতাংশ কাজ পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

মিয়ানমারে সংঘাতঃ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ। ছবিঃ সংগৃহীত

মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কক্সবজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে সেন্টমার্টিনে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের জান্তার সঙ্গে লড়াইয়ের পরে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মংডু শহর পুরোপুরি দখলে নেয় আরাকান আর্মি। এমন সংবাদ পেয়ে বিজিবির অনুরোধে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাফনদী ও সাগরে বাংলাদেশি জেলে ও সব নৌযান চলাচলে সতর্কতা জারি করাসহ সেদেশের সীমানার কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সেইসঙ্গে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সকল ধরনের ট্রলার চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত এই পথ দিয়ে কাউকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এখন আপাতত এপারে কোনো বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছে না।

অপরদিকে নাফনদীতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরাও টহল জোরদার করেছেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নাফ নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবে দুদকের নতুন কমিশন

দুদকদের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ছবিঃ সংগৃহীত

সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দেবেন এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ছিলেন।

চেয়ারম্যান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতি দমনে তাদের কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে জনপ্রত্যাশিত বিষয়গুলো। যেসব বড় বড় দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— সেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। দুর্নীতিবাজরা যাতে ছাড় না পায়, সে কাজগুলো তারা জোর দিয়ে করবেন।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দুদকের নতুন চেয়ারম্যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এবং কমিশনার হিসেবে সাবেক জজ কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী দুদকে যোগ দেন।

কমিশনের অপর সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তিনি যোগ দেবেন বলে দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন বলেন, দুর্নীতি দমনে তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করবেন বলেও জানান। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। সেগুলো আপনারা (সাংবাদিকদের) তদন্ত করে দেখতে পারেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছে। শেষ পর্যন্ত কিছুই পায়নি। এটা একটা হয়রানি বলে তিনি মনে করেন।

এর আগে আজ এক সংবাদ বিবৃতিতে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আয় ও সম্পদ বিবরণী, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানায় টিআইবি।

Header Ad
Header Ad

ভারতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশ ঐক্যবদ্ধ: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়নি। দেশের বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে 'দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ভারতীয় পণ্য বয়কট কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ভারতের পণ্য বর্জন করছি যে, কারণ তারা এই দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না। তাদের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে। সে বন্ধুত্বে জোড়ে শুভেন্দু মমতারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

ভারতে চিকিৎসা বন্ধের হুমকির প্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, মনে করেছেন যে- বোধহয় বাংলাদেশের মানুষ এতে অস্থির হয়ে গেছে। না, বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত এখন। আমাদের অনেক মেডিকেল কলেজ আছে, অনেক হাসপাতাল আছে, আপনারা কিসের অহংকার করেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজন হলে দেশেই চিকিৎসা সেবা নিবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন ভারতের কাছে বাংলাদেশ জিম্মি থাকার মতো অবস্থায় ছিল। জুলাই বিপ্লবের পর আবার একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ভারত। তবে আমরা এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। লড়াই করব, সংগ্রাম চালিয়ে যাব। রাজপথে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান নেতাকর্মীদের।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ
সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবে দুদকের নতুন কমিশন
ভারতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশ ঐক্যবদ্ধ: রিজভী
শীতে দৈনিক দুই কোয়া রসুন খান দেখুন কি হয়!
লালমনিরহাটের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপির লং মার্চ: আগরতলা সীমান্তে সতকর্তা বাড়িয়েছে ভারত
ম্যানসিটির পর আর কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিবেন না গার্দিওলা
আমাকে নেওয়ার ক্ষমতা এদেশের পুরুষদের নেই: বাঁধন
টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা দলের বিজয় র‍্যালি
মাহফিলে ভারতীয় অভিনেত্রীর সৌন্দর্য বর্ণনা, ক্ষমা চাইলেন আমির হামজা
পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের সুখবর দিলেন আইন উপদেষ্টা
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কঠোর নির্দেশনা জারি
অনিয়ম সব জায়গাতেই, তবে পার্বত্য এলাকায় একটু বেশি: প্রধান উপদেষ্টা
আজকের দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় টাঙ্গাইল, উত্তোলন করা হয় স্বাধীন পতাকা
শিবিরের কমিটিতে পূজা চেরির নাম, ক্ষোভ প্রকাশ করে যা জানালেন নায়িকা
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা টবি ক্যাডম্যানের
ভারতে ভেঙে দেওয়া হলো ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের একাংশ
নওগাঁয় ঘন কুয়াশায় বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১০