২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের: রিজভী
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গতকাল ২৫ জন ডিসি দিয়েছেন। এই ২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের। এরা এখন ডিসি হয়ে গেছে, এরা তো গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করবে না।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিন পরিবারের মাঝে তারেক রহমানের অর্থ সহায়তা দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আজকে যারা আয়নাঘর করেছে,সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডকে যারা ধামাচাপা দিয়েছে যারা একের পর এক দুষ্কর্ম করেছে তাদেরকেই তো এরা প্রশ্রয় দেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সবার আস্থা আছে। ড. ইউনুস সবার শ্রদ্ধাভাজন কিন্তু উনাদের দেখতে হবে এই পরাজিত ভয়ংকর স্বৈরশক্তির দোসরা তারা যদি মাথা ছাড়া দেয় তাহলে তো আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে। রাস্তা দিয়ে কোনো সুন্দরী নারী হেঁটে গেলে যাকে পছন্দ হয় তাকে তুলে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দুর্বলতার সুযোগে পরাজিত স্বৈরাচারের লোকেরা যেন কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠা না পায়। হিটলারের যারা সহযোগী ছিল তাদের কি পরবর্তী সরকার কোনো জায়গায় দিয়েছিল? এটাতো আমরা কখনোই শুনিনি।
তিনি আরও বলেন, শিশু-কিশোর ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত নিতে যে নারীটি দ্বিধা করেনি শ্রমজীবীর রিকশাচালকদের হত্যা করতে যার হৃদয় কাঁপে না তারা হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী। যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা বিদেশি কোনো শত্রু নয় দেশেরই মানুষ ইমন, বাবু, নুরু বেপারীরা এই দেশের মানুষ। আপনি ১৬ বছর অবৈধভাবে অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে অবৈধ ক্ষমতা দখল করে রেখেছিলেন আপনার নির্বাচন যে পাতানো ছিল একতরফা ছিল সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনি ক্ষমতা দখল করে রেখেছিলেন। এটা সারা বিশ্ববাসী জানে।
রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোকেরা যে লুটপাট করেছে তিনি প্রকারান্তরে তাদের সমর্থন দিয়েছে। আমরা বলেছিলাম না মেগা প্রজেক্ট মেট্রোরেল ফ্লাইওভার করে তারা অনেক টাকা পাচার করেছে সেটা তো সত্য হয়েছে। তার পিয়ন ৪শ কোটি টাকার মালিক তিনি নিজে মুখে বলেছেন। তার লুটপাটের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছে তাদের হয় গুম করা হয়েছে না হয় আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। আয়নাঘরটা কি তার হদিস কেউ জানে না কিন্তু তার অস্তিত্ব আছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা তার বিরোধীদের নিশ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া একটি কালো জায়গায় অন্ধকার ঘর যেখানে বন্দি করে রাখা হয়। এটা আমার কথা নয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার একটি রিপোর্ট থেকে বলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা অকাতরে জীবন দিয়েছে সেই ছাত্র জনতা এবং শ্রমজীবী মানুষের উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের মধ্যে এই এলাকায় তিনজন যারা শহীদ হয়েছেন তার মধ্যে ইমন নুরু বেপারী এবং বাবু তাদের পরিবার এখানে উপস্থিত রয়েছেন আমরা এই তিন শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।