মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দায়ী করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দখল-ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন, আপনি কেন পদত্যাগ করেননি? আপনারা কাছে চাকরিটাই বড় ছিল, দেশ-রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না? আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য যারা দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।

স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বেইমানি করা জানিয়ে রিজভী বলেন, আমাদের দল এমন একটি রাজনৈতিক দল, এর সাথে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমাদের। একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা অতীতে আঁতাত করা যাদের রেকর্ড আছে তারা ক্ষমার কথা বলছেন। গণহত্যাকারীদের কিসের ক্ষমা?

এখনো সব অফিস ও আদালতে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী বলেন, গণহত্যাকারীদের ও গণহত্যায় জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। বর্তমানে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যা জনগণের নজরে এসেছে।

বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ না করায় মিডিয়া স্বৈরাচারের ডাণ্ডায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের মূল কাজ সত্য উদঘাটন করে নিষ্ঠাবস্তু খবর পরিবেশন করা। এটাই গণতন্ত্র। এর বাইরে গেলে সেটা গণমাধ্যম নয়, প্রচারমাধ্যম বা স্বৈরাচারের ডাণ্ডায় পরিণত হয়। প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীল বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রকে বিকাশ করতে হলে একমাত্র উপাদান হচ্ছে স্বাধীন গণমাধ্যম, আবার সেই গণমাধ্যমকে অবশ্যই সত্য বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।

বিএনপির ওই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১৯৯৭ সালের সব গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল, শুধু চারটি পত্রিকা রেখে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার ভিন্নরূপে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। খুব বেশি পত্রিকা বন্ধ না করলেও দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ, দিনকাল বন্ধ করেছে। কিন্তু যেসব চালু ছিল সেখানে মালিকানা দিয়েছে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠদের। তারা সারাক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, চ্যানেল ২৪ এ প্রকাশিত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সব সাংবাদিক বন্ধুদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশকে কেউ দখল করেনি বরং আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট যারা এতদিন লুটপাট করে কৃষিবিদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর সাধারণ কৃষিবিদদের রোষানল থেকে তারা নিজেদের রক্ষা করতে আত্মগোপন করেছে। উপরন্ত যেখানে দুই বছর পর পর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের নির্বাচনের মাধ্যমে কেআইবি পরিচালনা করার কথা, সেখানে ১৮ বছর নির্বাচনবিহীন জোরপূর্বক তথাকথিত একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান তথা কৃষিবিদদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন জোরপূর্বক দখল করে রাখা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাসিম যারা বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন (খুনি শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী) ও কৃষিবিদ সমীর চন্দ (কৃষকলীগের সভাপতি) যারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ বছর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এখানে উল্লেখ্য যে, কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, সভাপতি, কৃষক লীগ এবং মশিউর রহমান হুমায়ুন, বিশেষ সহকারী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এর নেতৃত্বে অস্ত্রধারীদের সহায়তায় ১/১১ এরপর ২০০৮ সালে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে অ্যাবের বর্তমান আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। অথচ চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত সংবাদে এই ধরনের কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি সম্পূর্ণরূপে হলুদ সাংবাদিকতারই বহিঃপ্রকাশ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রতীয়মান হয়, আওয়ামী লীগের গত ১৮ বছরের প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যারা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন করেছেন তাদের চ্যানেলের মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে মিডিয়া ক্যু এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। শেখ হাসিনার সুবিধাভোগী দোসরদের যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র সাধারণ কৃষিবিদরা নস্যাৎ করে দিতে বদ্ধপরিকর এবং এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সব কৃষিবিদরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাবের নেতা কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ নুরুন্নবী ভূইয়া শ্যামল, কৃষিবিদ আনিসুর রহমান আনিস, কৃষিবিদ ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, কৃষিবিদ ফেরদৌস হাওলাদার, কৃষিবিদ কেএম সানোয়ার আলম, কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন পারভেজ প্রমুখ।

Header Ad

আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) সম্প্রতি আরও ২৯ জন সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট পেশার ব্যক্তির প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রোববার (৩ নভেম্বর) পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা অনুযায়ী এই সাংবাদিকদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া কার্ডধারীদের মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমের সম্পাদক, সংবাদ প্রধান এবং বিশেষ প্রতিনিধি।

কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ২৪-এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন প্রভাষ, দৈনিক ডেসটিনির উপ-সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সময় টিভির সিইও আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, এবং নিউজ২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার জয়দেব চন্দ্র দাস।

এছাড়া, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ.ই. মামুন, বাসসের উপপ্রধান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, দৈনিক পূর্বকোণের ঢাকা ব্যুরো প্রধান কুদ্দুস আফ্রাদ, বৈশাখী টিভির প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্সার নাদিম কাদির, বাসসের নগর সম্পাদক মধুসূদন মন্ডল, এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ ঘোষ সৈকত।

তালিকায় আরও আছেন দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দ বাজারের বিশেষ প্রতিনিধি কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, গাজী টিভির এডিটর রিসার্চ অঞ্জন রায় এবং দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।

এই সাংবাদিকদের কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

Header Ad

কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন

সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের। ২০তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় পুলিশে যোগ দিলেও তার বাবা মো. হাসিদ ভূঁইয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা পরে হারুনের পুলিশের চাকরির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে মারধর করে আলোচনায় আসেন হারুন। এ ঘটনার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা অর্জন করেন তিনি এবং তার পর থেকেই একের পর এক পদোন্নতির মাধ্যমে পুলিশের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মকর্তায় পরিণত হন।

হারুন অর রশীদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়েন। বলা হয়, সাধারণত হেলিকপ্টার ছাড়া তিনি বাড়িতে আসতেন না। তার বিরুদ্ধে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও ওঠে। মিঠামইনে নিজ গ্রামের বাড়িতে শতকোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল 'প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট', যেখানে রয়েছে হেলিপ্যাড এবং অত্যাধুনিক সুইমিং পুল।

প্রেসিডেন্ট রিসোর্টটি একসময় ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রিসোর্টের জৌলুসও কমে যায় এবং অবশেষে রিসোর্টের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেখানে জনমানবহীন ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হারুনের রিসোর্টটির জন্য এলাকার সংখ্যালঘু ও অন্যান্য ভূমি মালিকদের ভয় দেখিয়ে জমি দখল করা হয়েছিল এবং অধিকাংশ মালিক এখনো তাদের জমির মূল্য পাননি। স্থানীয় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি দীলিপ চৌধুরী জানান, তার কোটি টাকার মূল্যমানের জমি হারুন ভয় দেখিয়ে দখল করেছেন, কিন্তু টাকা পরিশোধ করেননি। একইভাবে মানিক মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি তার ৫ একর জমির কোনো মূল্যই পাননি।

স্থানীয়রা বলছেন, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা হারুন পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।

Header Ad

হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী

সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এর ধারাবাহিকতায় বাতিল করা হয়েছে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি শিরীন শারমিন আত্মগোপনে রয়েছেন এবং গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকায় সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

৩ অক্টোবর, তিনি এবং তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হয়ে তারা বাসায় বসেই আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান জমা দেন। অথচ নিয়ম অনুসারে, এসব তথ্য পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হয়।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানায়, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এবং এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করছেন। যদিও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে আইনের সীমার মধ্যে থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর কাজ করে।

সাবেক এ স্পিকারের বাসার ঠিকানা হিসেবে ধানমণ্ডির একটি বাসার উল্লেখ থাকলেও সেই ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি বলে জানান রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মচারী শাহাবুদ্দীন। তিনি জানান, শিরীন শারমিন এ বাসায় থাকেন না এবং এখানে তার উপস্থিতি গত কয়েক মাসে দেখা যায়নি।

পাসপোর্ট বিষয়ক এই বিতর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই সময়ে হত্যা মামলার আসামিদের পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ করা সন্দেহজনক। এতে বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার এ ধরনের সুবিধা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং জানান, নিয়মের বাইরে কেউ এভাবে সুবিধা নিতে পারেন না। এদিকে মামলার তদন্তকারী রংপুর মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শিরীন শারমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে এবং তার সন্ধান পাওয়া মাত্রই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন
হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার