স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে জাপার অবস্থান কী, জানালেন বিশিষ্টজনেরা
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। তবে এ জন্য জাতীয় পার্টির দায়ও দেখছেন বিশ্লেষকরা। দলটির নেতাদের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তবে অস্তিত্ব রক্ষায় এমন অবস্থান নেয়া হয়েছিল, দাবি জাতীয় পার্টির নেতাদের। যাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে বললেন বিশিষ্টজনরা।
রাজনীতিতে রহস্যময় এক দল জাতীয় পার্টি। যারা বেশিরভাগ সময় থেকেছে ক্ষমতাসীনদের ছায়ায়। সদ্য বিলুপ্ত সংসদে কাগজে-কলমে বিরোধী দল থাকলেও রাজনৈতিক মহলে আলোচিত ছিলো গৃহপালিত দল হিসেবে। নানা মহলের অভিমত, পরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও কখনও নীরবে কখনও প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেছে এরশাদের প্রতিষ্ঠিত দলটি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সব মহলে প্রশ্ন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসে জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়েও। যদিও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দাবি, দল বাঁচানোরে জন্যই নির্বাচনে অংশ নেন তারা।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ব্লাকমেইলিং প্রবণতা ছিল। তারা আমার ভাবির নেতৃত্বে একটা গ্রুপ তৈরি করলো আমরা কিছু বলটে গেলেই ওই দলকে জাতীয় পার্টি বানিয়ে নির্বাচন করে দিত। তাই কিছুটা প্রেশারে হলেও এরশাদ সাহেব আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকেছেন। দলকে বাঁচাতে আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করতে তাদের কথা ভেবে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকেছি তবে সেটা ব্লাকমেইল ছিল।
তবে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের দোসরদেরও বিএনপি প্রত্যাখ্যান করে বলে জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোসরদের বাদ দিয়ে আমরা বাকিদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে পেয়েছি। কিন্তু ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোসরকে আমরা পাইনি।
আর দেশে গণতন্ত্র হত্যায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিরও দায় দেখছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সজুন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল। তারা কয়েক দফায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে নির্বাচন করেছে। তাই জাতীয় পার্টি কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। এখন তাদের দিক করতে হবে ভবিষ্যতে তারা কীভাবে কাজ করবে।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ বিনির্মাণের কাজ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান বদিউল আলম মজুমদার।