শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতে না যেতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতে না যেতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাত বা সংঘর্ষ হয় এমন কোনো পরিস্থিতিতে যাবে না আওয়ামী লীগ। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো সংঘাতে না যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকাসহ সব মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের জমায়েতের ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত, সকল জেলা ও মহানগরে কর্মী জমায়েত কর্মসূচি পালন করা হবে। সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশন থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিভেদ নয়, ঐক্যে আমরা বিশ্বাসী। যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতিতে বিশ্বাস করেন তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চাই। সাধারণ শিক্ষাথীদের জিম্মি করে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অর্জনকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সকলের সম্মিলিত প্রয়াস আহবান করছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারই ফিরিয়ে এনেছে। আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত। তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত ও ব্যর্থ। তারা যেকোনো আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ দেওয়ার চেষ্টায় উন্মক্ত থাকে। এখন কোটা আন্দোলনে ভর করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার সরকার ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, সবাই জানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পর্ক কতটা নিবিড়। তারা লাশের রাজনীতি করছে। নাশকতা ও উস্কানি দিয়ে সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে। গতকাল (শুক্রবার) দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটি মহল পরিস্থিতি জিইয়ে রেখে ফায়দা লুটতে চায়, দেশকে অকার্যকর ও খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। এই অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা সফল হতে দিতে পারি না। শিক্ষাথীদের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ কামনা করি। কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নয় বরং সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চান, তাদের কথা শুনতে চান। তিনি কোনো সংঘাত চান না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতারা।