১১ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ বিকেল ৫টার পর বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফিরতে পারেন।
এর আগে গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
এদিকে রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিদেশে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাসপাতালে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ১৬৬ জন সরকারি ও সেনা কর্মকর্তা।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, দীর্ঘদিন থেকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ভয়াবহ অবনতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছি এবং তার সুচিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
অন্যদিকে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই- দেশনেত্রীকে মুক্ত করুন। অন্যথায় আপনাদের (সরকার) যে কোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।
গ্রীষ্মে সূর্যের প্রখরতা, শুকনো মৌসুমে বালুময় পথ, বর্ষায় নৌকায় খেয়া পারাপার আর শীতে ঘন কুয়াশা ভেদ করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলে ধলেশ্বরী নদীর পথ পেরিয়ে নিদারুণ কষ্টে যাতায়াত করছেন ৩০ হাজার মানুষ। ফলে একটি সেতু অভাবে বছরের বছরের পর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই চরবাসীর মানুষ।
সরেজমিনে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়ন সংলগ্ন গোলচত্বর থেকে ধলেশ্বরী নদী পাড়ী দিয়ে মাহমুদনগরের মাকোরকোল গ্রামে যেতে হয়। গোলচত্বর ও মাকোরকোলের মাঝখান দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার প্রশস্ত ধলেশ্বরী নদী।
এর পাশে জেলার নাগরপুর উপজেলা ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা থেকে মাহমুদনগরের মাকোরকোলে নদী তীরে এসে ওই এলাকার মূল পাকা সড়ক পৌঁছেছে।
মাহমুদনগর ইউনিয়নের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী সহ সিরাজগঞ্জের চৌহালী, নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নের পশ্চিম অংশের হাজারো মানুষের চলাচলের এটিই একমাত্র রাস্তা। এরপাশে গোলচত্বর পর্যন্ত পাকা সড়ক রয়েছে। মাঝখানে প্রায় এক কিলোমিটার প্রস্থের ধলেশ্বরী নদী। ওই এক কিলোমিটারে গ্রীষ্মকালে ধূ ধূ বালুচর, বর্ষায় শুধু পানি আর পানি এবং শীতকালে ঘন কুয়াশার রাজত্ব থাকে। ওই ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
এই ইউনিয়নে মেজর মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় নামে দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি পূর্ণাঙ্গ স্বতন্ত্র কারিগরি স্কুল, ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ফাজিল ও একাধিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। ৩০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রই একমাত্র ভরসা।
এদিকে, নৌকায় নদী পারাপার হওয়ার যন্ত্রণা ওই এলাকার ভোগান্তির অপর নাম। অসুস্থ রোগীকে জরুরি প্রয়োজনে জেলা সদরে নিতে না পেরে অনেকে অকালে জীবনও হারিয়েছে। মাহমুদনগর ইউনিয়ন হওয়ার আগে থেকে স্থানীয়রা গোলচত্বর থেকে মাকোরকোলে ধলেশ্বরী নদীতে একটি সেতুর দাবি করছেন। কিন্তু বার বার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ওই দাবি পূরণ হয়নি।
মাহমুদনগর ইউনিয়নের সিঙ্গাপুর প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা রিফাতুল ইসলাম রিপন জানান, একটা সেতুর অভাবে মাহমুদনগর ইউনিয়নবাসীকে দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত থাকতে হচ্ছে। ফলে এ এলাকার জীবনযাত্রার মান মূলধারার জীবমানের সঙ্গে খাপ খায় না। এখনও অনেকটা অন্ধকারে রয়েছে এলাকার মানুষ।
তিনি আরও জানান, মাহমুদনগর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর মাটি অত্যন্ত উর্বর। এ ইউনিয়নে প্রতিবছর ধান, পাট, গম সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। ধলেশ্বরী নদীর টাটকা মাছও সেখানে প্রসিদ্ধ। মাহমুদনগর ও আশেপাশে অনেকগুলো হাট রয়েছে। এরমধ্যে শাহ্জানী, করিমগঞ্জ, বালিয়াপাড়া, চাঁনবয়রা, কাতুলী অন্যতম। এসব হাটে গ্রামের মানুষ ছাড়াও শহরাঞ্চলের মানুষ অল্প খরচে পণ্য কিনতে ভির করেন। এ নদী একটি সেতুর খুব দরকার।
স্থানীয় কৃষক মুন্নাফ আলী, আব্দুল জব্বার, আরফান আলী সহ অনেকেই জানান, ধলেশ্বরী নদীতে সেতু না থাকায় তারা কৃষিপণ্য চাষ করেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। সেতুর অভাবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির জন্য সময়মতো বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। এছাড়া খেয়া পাড়ি দিয়ে বা নদীর তপ্তবালু পেড়িয়ে হাট-বাজারে যেতে সময় বেশি লাগার সঙ্গে খরচও অনেক বেশি হয়। শহরে পণ্য বিক্রি করে এজন্য তাদের পোষায়না। গ্রামেও বিক্রি করলে দাম অনেক কম হয়।
মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ের শান্তা আক্তার, শামসুন্নাহার, আরশেদ আলী সহ অনেকেই জানান- বর্ষাকালে নৌকায় আর অন্য সময় তপ্তবালু পথে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে তাদের খুবই কষ্ট হয়। নদীর উপর সেতু নির্মিত হলে তাদের কষ্ট লাঘব হবে।
ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম জানান- বর্ষায় নদী পথে নৌকায় ভ্যান উঠানো আবার অন্য সময়ে বালুপথে ভ্যান চালানো খুবই কষ্টকর। বর্ষায় খেয়া নৌকায় ভ্যান ওঠাতে অনেক সময় নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
খেয়াঘাটের ইজারাদার সোবহান মিয়া জানান- সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষের কষ্টের অবসানের পাশাপাশি জীবনমান উন্নত হবে। কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে।
তিনি আরও জানান, নদী পাড় হতে প্রতি মোটরসাইকেল ১০টাকা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের ইজারা ৩০টাকা হলেও বেশিরভাগই ১০-১৫ টাকা দিয়ে চলে যায়। আবার অনেকে টাকা না দিয়েই চলে যান। অথচ প্রতি বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকায় খেয়াঘাটটি তিনি ইজারা নেন।
জনতা ব্যাংকের টাঙ্গাইল কর্পোরেট শাখার এজিএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাঁর গ্রামের বাড়ি মাহমুদনগর ইউনিয়নে। ধলেশ্বরী নদীতে সেতু না থাকায় ওই এলাকার মানুষের সমস্যার শেষ নেই। কৃষকের উৎপাদিত সব পণ্য শহরে বিক্রি করতে পরিবহণ খরচে পোষায় না। সীমাহীন কষ্ট ও অধিক ব্যয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে শহরে পণ্য পরিবহন করা হয়। ওই নদী পাড় হয়ে বা নদীর তপ্তবালু পথ দিয়ে ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে।
তিনি আরও বলেন, নদীতে খেয়া মিস করে অনেক প্রবাসী ফ্লাইট মিস করার বহু নজির এলাকায় রয়েছে। প্রসূতি মায়ের উন্নত চিকিৎসার্থে দ্রুত শহরের হাসপাতালে নেওয়া যায় না। অনেক সময় নদীর খেয়ায়ই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আবার জরুরি রোগী নদী পাড় হতে বিলম্ব হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচনের সময় ভোটের আশায় প্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। ভোটের পর ভোট যায়। আলোর দেখা পায়না।
মাহমুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম শিকদার জানান, তার ইউনিয়নের অভিভাবক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নিয়ে টেন্ডার করিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটা বন্ধ হয়ে যায়। মাহমুদনগর ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘবে সেতুটি নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, গোলচত্বরের ওখানে ধলেশ্বরী নদীর উপর সেতু নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক পরিমাপ করা হয়েছে। প্রায় ১ কিলোমিটার প্রস্থের ধলেশ্বরী নদীতে সেতু নির্মাণে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। অচিরেই প্রাথমিক প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য এলজিইডি ভবনে প্রস্তাব পাঠানো পর অনুমোদন ও অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রায় ২৪ টি গ্রাম নিয়ে ৩০ হাজার জনসাধারণের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন মাহমুদনগর। ২০০৪ সাল পর্যন্ত সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসানের জন্মস্থান এ ইউনিয়নের মাকোরকোল গ্রামে হওয়ায় তার প্রচেষ্টায় ২০০৪ সালে ‘মাহমুদনগর’ স্বতন্ত্র ইউনিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (ইনসটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
স্কাই নিউজ বুধবার (৫ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে। এতে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হবে। তিনি বাংলাদেশে উপস্থিত থাকুন বা অনুপস্থিত থাকুন না কেন তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হবেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার সরকারে থাকাকালীন জোরপূর্বক গুমের ব্যবস্থা তত্ত্বাবধান করেছিলেন। সেই সাথে গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভকারীদের গণহত্যার ঘটনাও তার তত্ত্বাবধানে হয়েছে।
স্কাই নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিচার হবে। কেবল তারই (শেখ হাসিনা) নয়, বরং তার সাথে যুক্ত সবার, তার পরিবারের সদস্য, তার মক্কেল বা সহযোগীদেরও বিচার হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গোপন আটক কেন্দ্রের একটি নেটওয়ার্ক তত্ত্বাবধান করেছিলেন। যেখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে আনা হতো, নির্যাতন করা হতো এবং কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। এ সবই হাসিনা করতেন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ এর ব্যানারে।
বাংলাদেশ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ হাসিনার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাননি।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে অথবা ভারতে অনুপস্থিতিতে আদালতের মুখোমুখি হবেন।
অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি আয়নাঘর নামে পরিচিত কুখ্যাত গোপন কারাগারগুলোর মধ্যে একটি পরিদর্শন করেছেন। দরিদ্রদের ব্যাংকার হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেন, তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক। ‘এটি সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস; যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। অনুভব করতে পারছেন, অথবা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত অ্যাক্টিভিস্টকে অপহরণ, নির্যাতন এবং হত্যা তদারকি করছেন।
যদিও হাসিনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ৮০০টিরও বেশি গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকির অভিযোগে অভিযুক্ত। যাদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অপরাধের সাথে জড়িতদের সংখ্যা এবং পরিসর নিয়ে কাজ করতে সময় লাগছে।
ড. ইউনূস বলেন, সবাই এতে জড়িত ছিল। পুরো সরকার (হাসিনার সরকার) এতে জড়িত ছিল। তাই আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কে সত্যিই এবং উৎসাহের সাথে এটি করছিল। কে আদেশে এটি করছিল এবং কে এসব সমর্থন করত না কিন্তু এই ধরণের কাজগুলো বাধ্য হয়ে করেছিল।
তিনি আরও বলেন, কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হবে। কিছু লোক তদন্তাধীন থাকবে। কিছু লোককে শনাক্ত করা যাবে না।
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীসহ মোট ২১ জন।
নিহতদের মধ্যে হামলাকারী ৬ জন, বাকিরা বেসামরিক এবং হামলার শিকার। এই বেসামরিকদের মধ্যে ৪ জন শিশু ও ২ জন নারী রয়েছেন। যে ৬ হামলাকারী নিহত হয়েছেন, তাদেরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত এই ৬ জন পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্য ছিলেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার সময় সেনা নিবাসের ওই এলাকায় দু’টি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ঢুকে পড়ে। তার পরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ধাক্কায় নিকটবর্তী একটি মসজিদ এবং একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হামলায় হতাহতদের নিকটবর্তী ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের একজন মুখপাত্র পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই বেসামরিক। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটেছিল। এতে স্থানীয় শীর্ষ তালেবান নেতাসহ নিহত হয়েছিলেন ৬ জন।