মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রস্তাবিত বাজেট চুরি হালাল করার বাজেট: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বাংলাদেশ লুটেরাদের কবলে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিজেদের চুরি হালাল করার বাজেট। এই বাজেটে দেশের অর্থ নতুনভাবে লুটপাটের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

রোববার (৯ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করে বিএনপি।

তিনি বলেন, জনসাধারণের ম্যান্ডেট ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে। যে সরকার নিজেই আইন-কানুন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সংসদ বানিয়েছে, এমন সরকারের পক্ষে বাজেট প্রদানের কোন নৈতিক অধিকার নেই। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। অথচ সেই জনগণই ভোট দিতে পারেনি। এ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বহীন একটি অবৈধ সরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য এ সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট দেশের সাধারণ দরিদ্র মানুষদের শোষণের লক্ষ্যে একটি সাজানো হাতিয়ার মাত্র। বর্তমান লুটেরা সরকারের এ বাজেট কেবলমাত্র দেশের গুটিকয়েক অলিগার্কদের জন্য, যারা শুধু চুরিই করছে না, তারা ব্যবসা করছে, তারাই পলিসি প্রণয়ন করছে, আবার তারাই পুরো দেশ চালাচ্ছে। দেশ আজ দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এই বাজেট কল্পনার এক ফানুস। এই বাজেট ফোকলা অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেট প্রণয়নের জন্য যে সম্পদ প্রয়োজন, সেটাই এ অলিগার্করা লুট করে নিয়েছে। ব্যাংকগুলো খালি। সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে অলিগার্করা ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে শূন্য করে দিয়েছে। এ অর্থের সিংহভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। আমানতকারীরা ব্যাংকে তাদের নিজস্ব জমাকৃত অর্থের চেক ক্যাশ করতে পারছে না। মানুষের মধ্যে নজিরবিহীন হাহাকার দেখা দিয়েছে। তবে এই হাহাকার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়। সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে দিব্যি ভালো আছে তারা। আর অন্যদিকে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। যেকোনো সময় মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশের রিজার্ভের অবস্থা তলানিতে চলে গেছে। তিন মাসের আমদানি ব্যয় মিটানোর মত ডলার রিজার্ভে নেই। ডলারের অভাবে ব্যবসায় বাণিজ্যে অচলাবস্থা চলছে। দেনা বাড়তে বাড়তে এমন হয়েছে, সেই দেনা শোধ করতেই বাজেটের বড় একটা অংশ চলে যাচ্ছে। তারা বিদ্যুৎ চুরি করবে আর সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতের অসহনীয় বিল পরিশোধ করতে হবে। পানি ও গ্যাসের বেলায়ও একই অবস্থা। তথাকথিত এই বাজেট বাস্তবায়নে যে অর্থ লাগবে সেটা সংকুলানেরও প্রস্তাব করা হয়েছে জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে।

তিনি বলেন, এ বাজেট কর-নির্ভর, এ বাজেট ঋণ নির্ভর, এ বাজেট লুটেরা-বান্ধব। অসহনীয় মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ জনগণের ত্রাহি অবস্থা, এর উপর বাজেটে করের বোঝা। জবাবদিহিতাহীন এ সরকারের কাছ থেকে জনকল্যাণমূলক বাজেট আশা করাটাই বোকামি। এই বাজেট দেশি-বিদেশী ঋণ ও সাধারণ জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া করের নির্লজ্জ ফিরিস্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই বাজেট একদিকে সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ধ্বংসপ্রায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং অন্যদিকে গণমানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থার সঙ্গে এক নিষ্ঠুর তামাশা মাত্র। জনগণের সাথে এক করুণ ও হৃদয়বিদারক প্রতারণাই বটে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ লুটেরাদের কবলে। প্রস্তাবিত বাজেট নিজেদের চুরি হালাল করার ধান্দাবাজির বাজেট। এই বাজেটে দেশের অর্থ নতুনভাবে লুটপাটের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে অনেক বেশি। অথচ পুরো বোঝাটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের ওপরে। ঋণ ও ঘাটতিভিত্তিক বড় বাজেট অতীতে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি, আগামীতেও হবে না। একটি অনির্বাচিত সরকারের ওপর করদাতারা আস্থা রাখে না। এ বছর আগের ১২ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে। এই বাজেট আসলে শূন্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটির মধ্যে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটিই ঘাটতি। অর্থাৎ বাজেটের এক তৃতীয়াশংই ঘাটতি যা মেটানোর প্রস্তাব করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ দেড় লাখ কোটি ও বৈদেশিক এক লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে। ঋণ দিয়ে ঋণ পরিশোধের ফন্দি। অর্থাৎ কৈ এর তেলে কৈ ভাজা আর কি!

তিনি বলেন, এই বাজেটে কর্মসংস্থান তৈরির কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ডলার সংকটের কথা বলে আমদানি সংকুচিত করায় ক্যাপিটাল মেশিনারিস এবং র’ মেটারিয়ালস আমদানি প্রায় অবরূদ্ধ। যার ফলে শিল্প কারখানা বন্ধের পথে। ব্যাংকগুলো শূন্য। সুদের হার অনেক বেশি। সরকার নিজেই ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নেওয়ায় বেসরকারি সেক্টরে ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ কমে গেছে। যার ফলে বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। তিন হাজারের বেশি শিল্প বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে ও যাচ্ছে । নতুন কর্মসংস্থান তো হচ্ছেই না, হাজার হাজার শ্রমিক গ্রামে চলে গেছে ও যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামে তো কর্মের সংস্থান নেই। মানুষের ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ বাজেটে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কোন আশা নেই। বাজেটে চাকুরি হারানো এবং দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য কোনো পুনর্বাসন রোডম্যাপ নেই। বাজেট বক্তৃতায় সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো উন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলা হলেও, তার বাস্তবিক কোনো পথনির্দেশনাই নেই এই বাজেটে।

এই বাজেট শুধু গণবিরোধী নয়, এ বাজেট বাংলাদেশ বিরোধী। যে গণমানুষকে নিয়ে বাংলাদেশ, সেই গণমানুষের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। পুরো বাজেটটিই করা হয়েছে মেগা-প্রকল্প ও মেগাচুরির জন্য, দুর্নীতি করার জন্য। অর্থনীতির এই ত্রিশঙ্কুল অবস্থায় উচিত ছিল অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পসমূহ বা অর্থহীন, অনুৎপাদক দৃশ্যমান অবকাঠামোগুলো বন্ধ রাখা। সেই অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমুখী খাতে ব্যবহার করা যেত, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি আরও সম্প্রসারিত করা যেত। কিন্তু সেগুলো বন্ধ করলে তো দুর্নীতির পথ বন্ধ হয়ে যাবে! তাই বোধগম্য কারণেই সেটা করা হয়নি, বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, এবার শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ জিডিপি’র ১.৬৯%, যা চলতি বছরে ছিল ১.৭৬% এবং ২০২২-২৩ সালে ছিল ১.৮৩%, এবং ২০২১-২২ এ ছিল ২.০৮ শতাংশ। অর্থাৎ বর্তমান গণবিরোধী সরকার শিক্ষা খাতে ক্রমাগত বরাদ্দ কমাচ্ছে। এ বারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রেখেছে জিডিপির ০.৭৪ শতাংশ, যা নিতান্তই অপ্রতুল। আপনারা জানেন, বিএনপি নির্বাচিত হয়ে পুনরায় জনসেবার সুযোগ পেলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি’র ৫% বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে। কৃষির জন্যও বরাদ্দ কমিয়েছে এই মাফিয়া সরকার। অথচ করোনাকালে পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে আমাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি কৃষি। সরকার কৃষককে সহায়তা না করে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ কোটি টাকা ভর্তুকির অর্থ তুলে দিয়েছে বিদ্যুৎ সেক্টরের অলিগার্কদের হাতে, অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ না কিনেই। একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট দাবি করে, অন্যদিকে ভারতীয় আদানি কোম্পানির কাছ থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনে, যার মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে ডলারে। এ চুক্তিকে অসম ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

তিনি আরও বলেন, এই বাজেট কালো টাকাকে সাদা করার বাজেট। কালো টাকায় ঢালাও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১৫% কর দিয়ে ব্যক্তির সাথে যে কোনো কোম্পানিকেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকারের কোনো সংস্থাই কালো টাকা সাদাকারীদের কোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারবে না। অর্থাৎ দায়মুক্তি বা আইনি ছাড় দেওয়া হলো। এর ফলে সৎ ও বৈধ আয়ের করদাতাদের নিরুৎসাহিত এবং দুর্নীতিকে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হলো। দুর্নীতি করার এহেন লাইসেন্স প্রদান অবৈধ, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। ১৫% করে কালোটাকা সাদা করার বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০% হারে কর দেওয়ার বিধান বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক। এই পদক্ষেপ সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কথায় কথায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্সের' বুলি যারা আওড়ায় তাদের পক্ষে রাজস্ব বৃদ্ধির খোড়া যুক্তিতে দুর্নীতির বৈধ লাইসেন্স প্রদান যে অনৈতিক ও সাংঘর্ষিক- তা জেনে শুনেই দুর্নীতিবাজ সরকার অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের দুর্নীতির এই লাইসেন্স দিচ্ছে।

Header Ad

বগুড়ার আদমদীঘি থেকে ৩২৫ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘিতে একটি কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন ৩২৫ কেজি। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টায় হলুদঘর গ্রামের মোস্তফা আকন্দের বাড়ির পাশে একটি রাস্তার সংলগ্ন স্থান থেকে শিবলিঙ্গটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো। উদ্ধারের পর আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান শিবলিঙ্গ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর শিবলিঙ্গটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই ঘটনায় এলাকার মানুষদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে শিবলিঙ্গটির ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে।

Header Ad

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও জুলাই আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

বক্তারা বলেন- মিডিয়া ও স্যোসাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি। এটি সম্পন্ন মিথ্যা। আমরা তার পদত্যাগসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের শাস্তি দাবি যোগ করেন তারা।

এতে বক্তব্য রাখেন- জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, এসএম কামরুল ইসলাম, ফাতেমা রহমান বিথী ও শেরশাহ আহমেদ প্রমুখ।

Header Ad

নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল, ছাত্রদের উত্তাল শ্লোগান

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ এবং ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে পাবনায় মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাষ্ট্রপতিকে ফ্যাসিবাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটক থেকে এই মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি পাবনা শহর ঘুরে আবার এডওয়ার্ড কলেজের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে শহরকে উত্তাল করে তোলেন। তারা বলেন, "দড়ি ধরে মারো টান, চুপ্পু হবে খান খান," "এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়," "স্বৈরাচারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও," এবং "ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।"

মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে শেখ হাসিনার প্রধান দোসর হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ার আদমদীঘি থেকে ৩২৫ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল
নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল, ছাত্রদের উত্তাল শ্লোগান
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে