বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সমর্থনকে তারা মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। তারা মনে করে- বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতা রক্ষা করা যায়, ক্ষমতায় যাওয়া যায়। এখনও তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।

Header Ad

চীনের আগে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : হাছান মাহমুদ

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের আগে ভারত সফর করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে, সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে মন্ত্রণালয়ে আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

বেইজিং না দিল্লি কোথায় আগে সফর হবে এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিল্লি তো আমাদের কাছে, বেইজিং একটু দূরে। চীনের আগে দিল্লিতে সফর হতে পারে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের পর ভারতে সরকার গঠন হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দিনক্ষণ ঠিক হবে।

ভারতের ভিসা নিয়ে জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের ভিসা পেতে জটিলতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশন সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন। দ্রুতই জটিলতার অবসান হবে বলে আশা করছি।

তিস্তা বহুমুখী প্রকল্পে যুক্ত হতে ভারত আগ্রহী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার বিষয়টি চূড়ান্ত। ট্যারিফ নির্ধারণের জন্য অপেক্ষা করছি।

 

গাজায় আরো এক গণকবরের সন্ধান, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

টানা সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। ইসরায়েলি বর্বর এই হামলা নিরলসভাবে চলছে এবং এরই মধ্যে গাজার আল-শিফা হাসপাতালে মিলেছে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান।

এই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বাতাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি মেডিকেল দলগুলো গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবর আবিষ্কার করেছে বলে বুধবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।

মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ জনের লাশ গণকবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে এবং আরও লাশের খোঁজে অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা এখনও চলছে।

আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাতটি গণকবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ৩৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং আরও ৭৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে। এতে আরও বলা হয়, সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে গাজা উপত্যকা শাসনকারী দল হামাস।

গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন গণকবরের আবিষ্কার ‘আমাদের জনগণ এবং চিকিৎসাখাতের বিরুদ্ধে অপরাধী দখলদার সেনাবাহিনীর বর্বরতার নতুন প্রমাণ’।

হামাস আরও বলেছে, (ইসরায়েলি) দখলদারিত্ব তাদের নির্মূল ও বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনা অর্জনের জন্য (গাজায়) মানুষের জীবনের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি সমস্ত মানবাধিকার গোষ্ঠীকে ইসরায়েলের এই অপরাধ নথিভুক্ত করার পাশাপাশি দেশটির দুর্বৃত্ত সত্তা ও অপরাধী নেতাদের জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং অন্যান্য উপযুক্ত আদালতে সেগুলো পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে।

সেসময় ওই রায়ে ইসরায়েলকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ, টেকনাফ সীমান্তে ফের আতঙ্ক

ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে। মংডুর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে দুই পক্ষই বোমা ও মর্টার শেল হামলা বাড়াচ্ছে। এতে সেখানে রোহিঙ্গা বসতিতে হতাহতের ঘটনা বাড়ায় পালাচ্ছে মানুষ।

সংঘাত বাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাটে মানুষ চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাট এলাকায় ট্রলারে মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে নাফনদ জেটিঘাট জনশূন্য পড়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকাল ৫টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জালিয়াপাড়া গ্রামের ওপারে সুদারপাড়া থেকে থেমে থেমে আসা গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। সীমান্তে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের ঘটনায় এপারে বসবাসকারীদের মাঝে অস্তিত্ব বাড়ছে।

সীমান্তে বসবাসকারীরা বলছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া আরাকান আর্মি ও সরকারি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান গোলা হামলার ঘটনায় এপারে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, খোনকারপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া ও দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। আগের দিনের তুলনার এপারে গোলার শব্দ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এতে লোকজনের মাঝে অস্বস্তি বাড়ছে।

দুপুরে জালিয়াপাড়া বেড়িবাঁধে উদ্বিগ্ন চোখে বসে ছিলেন বৃদ্ধ শফিক চৌধুরী। দিনমজুর শফিক জানালেন, ‘সীমান্তে গোলাবারুদের ব্যাপক শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ওপারের গোলার শব্দে বাড়িঘর কাঁপছে। মনে হচ্ছে এখুনি সব তছনছ হয়ে যাবে। অস্বস্তি নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। রাতের তুলনায় দিনে আরও ব্যাপক গোলাবর্ষণ হচ্ছে। সীমান্তের লোকজন খুবই চিন্তিত। এই ভিটা-মাটি ছাড়া আর কোনও আশ্রয়স্থল আমাদের নেই। এটা ছেড়ে যাবো কোথায়? এখনও মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ হচ্ছে। বিশেষ করে রাত হলে পরিবারের লোকজন নিয়ে ভয়-ভীতিতে থাকতে হচ্ছে। অনেক সময় গোলার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।

মুন্ডারডেইল সীমান্তের বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন, আমাদের সীমান্তে নাফনদ না থাকলে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হতো। নাফনদের কারণে সীমান্তে দূরত্ব রয়েছে। না হয় যেভাবে গোলাবর্ষণ চলছে, এপারে হতাহত এড়ানো যেতো না। কিন্তু সীমান্তে এখন যে পরিস্থিতি তাতে আমরা খুব ভয়ে আছি। ওপারের গোলার শব্দ এত তীব্র যে এপারে আমরা আতঙ্কে চমকে উঠি। তবে মিয়ানমারে এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলে ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।

ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মতে, গত কয়েকদিন ধরে মংডু টাউনশিপে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১ নম্বর সেক্টরে হামলা চালায় আরাকান আর্মি। বিজিপির ক্যাম্প দখলে নেয় তারা। কিন্তু বেদখল হয়ে যাওয়া বিজিপির সেক্টরটি পুনরুদ্ধারে হামলা শুরু করে সরকারি বাহিনী। এতে মংডুর রোহিঙ্গাদের আটটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘরবাড়ি হারিয়ে আবার অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রাখে।

তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, রাখাইনের সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবু সীমান্তে ও নাফনদ জেটিতে প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে। বিশেষ করে ওপারে চলমান সংঘাতের কারণে যেন কোনভাবে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পরে সেজন্য বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার নাফনদের কাছাকাছি বসবাসকারী মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বড় ধরনের গোলার শব্দ এপারে পাওয়া যাচ্ছে। ভয়াবহ শব্দে আতঙ্কে অনেকের ঘুম ভাঙছে। এই সীমান্তের ওপারে মংডুতে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে আরকান আর্মি এবং জান্তা সরকারের মধ্য। গোলার বিকট শব্দে আমাদের ঘরবাড়ি কাঁপছে। অনেক সময় মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে।

এদিকে দিন দিন সংঘাত বাড়ার কারণে মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা সংলগ্ন নাফনদে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে মানুষ চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফ কায়ুকখালী ঘাটে ট্রলারে মাছ শিকার আপাতত বন্ধ রাখা রয়েছে।

সীমান্তের নাফ নদের ওপারে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের কারণে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়েছেন টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। তিনি বলেন, সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ায় আপাতত মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। তবে মাছ শিকার বন্ধে এই ঘাটের মাঝিমল্লাররা খুব কষ্টের জীবনযাপন করছেন।

নাফনদে ট্রানজিট জেটি ঘাটে টোল আদায়কারী ইমাম হোসেন বলেন, গত দুই দিন ধরে মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে সীমান্ত উত্তাল। এ কারণে জেটি ঘাটে আগের মতো লোকজন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গতকালের তুলনায় আজকেও সীমান্তে অনেক ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে নাফনদ জেটি ঘাটে শূন্য পড়ে আছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, ওপারে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো সর্তক অবস্থায় রয়েছে। মানুষ যাতে নির্ভয়ে থাকে সেজন্য সীমান্তে বসবাসকারীদের খোঁজ রাখছি।

এদিকে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। দেশটির সরকারি সংস্থা বিজিপির সদস্যদের কেউ কেউ বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ১২৮ জনের মতো বিজিপি সদস্য এ পারে আত্মসমর্পণ করেছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের কাছে। নিরস্ত্র করে সবাইকে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। বর্তমানে বিজিপির ১২৮ জনকে হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন বিজিপি-সেনা এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

সর্বশেষ সংবাদ

চীনের আগে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : হাছান মাহমুদ
গাজায় আরো এক গণকবরের সন্ধান, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার
মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ, টেকনাফ সীমান্তে ফের আতঙ্ক
ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট
নির্বাচনে হেরে গেলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের খালাতো ও মামাতো ভাই
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
'পুনর্জন্ম'র প্রযোজক রূহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক
২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই অলআউট
পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
সন্ধ্যার মধ্যে ৬ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ শতাধিক
বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
হজের প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ৪১৯ হজযাত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
বগি লাইনচ্যুত: ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ