মির্জা আযমকে ক্ষমা চাইতে বললেন চিকিৎসক রফিকুল
বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনাে চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের যে দুর্নীতি হয় তার সঙ্গে বর্তমান মিডনাইট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা, এমপি, মন্ত্রী, আমলা ও ঠিকাদাররা জড়িত, চিকিৎসকরা নয়।
চিকিৎসকদের হেয় করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মির্জা আযমের দেওয়া বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এই চিকিৎসক নেতা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-গত ১৯ জানুয়ারি জামালপুর জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সঙ্গে এক আলোচনায় সভায় জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আযমের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীদের চোর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন-যা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর বলে প্রতীয়মান হয়।
চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে চিকিৎসকদের অবদান সর্বজনবিদিত। সকল মহামারি-অতিমারিতেও তাদের অগ্রণী ভূমিকা প্রশংসিত। করোনাকালীনও প্রায় দুই শতাধিক চিকিৎসক সেবা দিতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও অধিক চিকিৎসকসহ দশ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সকলের পরিবারের সদস্য তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন। নিজেদের ও পরিবারের জীবন বাজি রেখে জনগণের চিকিৎসায় নিয়োজিত হওয়া চিকিৎসকদেরকে চোর বলে আখ্যায়িত করে তিনি নিজের অসুস্থ ও বিকারগ্রস্ত মানসিকতারই পরিচয় দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কোন নীল-নকশা থেকে জনগণের দৃষ্টি এড়ানোর জন্যও বিষয়টির অবতারণা হতে পারে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া সংবাদ মারফত জানা যায় যে, আলাদীনের চেরাগের ন্যায় সংসদ সদস্য হয়ে তেত্রিশ গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পাওয়া মির্জা আযমের এধরনের বক্তব্য সকল পেশাজীবীদেরকে ব্যথিত করেছে। অথচ স্বাস্থ্যখাতের যে দুর্নীতি হয় তার সঙ্গে বর্তমান মিডনাইট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা, এমপি, মন্ত্রী, আমলা ও ঠিকাদারগণ জড়িত, চিকিৎসকরা নয়। কারণ বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোন চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না।’
বর্তমান নিশিরাতের ভোটের সরকারের এই সংসদ সদস্যের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের ও সকল পেশাজীবীদের কাছে ক্ষমা চা্ওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
এমএইচ/এমএমএ/