মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কাজী ফিরোজ রশীদ খুনীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন : জাসদ

জামায়াত, হেফাজত, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে জাসদের বলিষ্ঠ অবস্থানই জাসদের প্রতি ফিরোজ রশীদসহ অন্যান্যদের বিদ্বেষের মূল কারণ বলে জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দলটির দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় গত ২৭ জানুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও অযাচিতভাবে ‘আমাদের হেফাজতে ইসলাম তাদের জঙ্গি বানাইছে ইনু সাহেব। আরে জঙ্গি কারে বলে? আন্দোলন তো মানুষেই করে, আন্দোলন সাধারণত ভায়োলেন্সে চলে যায়। তারা জঙ্গি না, জঙ্গি হচ্ছে সশস্ত্র বিপ্লব যারা করে সরকারকে হটানোর জন্য। যেটা ইনু সাহেবরা করেছিলেন।’ জাসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কাজী ফিরোজ রশীদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শুধু সর্বৈব মিথ্যাচার ও জাসদবিরোধী বিদ্বেষে পরিপূর্ণ।

আরও পড়ুনজাসদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল: ফিরোজ রশীদ

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কাজী ফিরোজ রশীদ প্রায়শই জাসদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন এবং মিথ্যাচার ছড়ান। অবশ্য তার বক্তব্যে জাসদের বিরুদ্ধে তার এই বিদ্বেষের কারণ তিনি নিজেই প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজে তার থলের বিড়াল বের করেছেন। জাসদের জামায়াত, হেফাজত, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ বিরোধী জাসদের বলিষ্ঠ অবস্থানই কাজী ফিরোজ রশীদের গাত্রদাহ, জাসদের প্রতি বিদ্বেষের মূল কারণ। কাজী ফিরোজ রশীদ তার নিজের ভাষায় ‘আমাদের হেফাজতে ইসলাম’ বলে প্রমাণ করেছেন তিনি বার বার দল বদল করে উপরে উপরে যেই দলই করেন না কেন, তিনি আসলে হেফাজত, জামাত, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, জঙ্গীবাদীদের পক্ষেরই লোক। তিনি তার এই আসল চেহারা প্রকাশ করে ফেলেছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডব বা ২০২১ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাঠহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের সহিংস তাণ্ডব দেখার পরও হেফাজতকে জঙ্গী হিসাবে চিহ্নিত করায় গোস্বা করে এবং হেফাজতের সহিংস তাণ্ডবকে মানুষের আন্দোলন হিসাবে চিহ্নিত করে কাজী ফিরোজ রশীদ প্রমাণ করেছেন যে তিনি হেফাজতের বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত।’

জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে কাজী ফিরোজ রশীদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর খুনী মুশতাক, সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে আখের গোছানোয় ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন সেই কাজী ফিরোজ রশীদের বঙ্গবন্ধুর জন্য কান্না-মায়াকান্না ও কপটতা ছাড়া আর কিছুই না। কাজী ফিরোজ রশীদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা থাকতো তাহলে কাজী ফিরোজ রশীদ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতা করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়ার প্রকাশ্য হুমকি দাতা হেফাজতের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি করতেন না। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাসদ প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য রাজনৈতিক অবস্থানে ছিল। সেই সময়ে পুলিশ ফাঁড়ি, থানা লুট, ব্যাংক ডাকাতি, পাটের গুদামে আগুণ দেয়া, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যার সাথে জাসদের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী যুক্ত থাকতেন তাহলে নিশ্চয়ই তৎকালীন সরকার-প্রশাসন-পুলিশ জাসদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দিয়ে আদালতে বিচারের সম্মুখীন করে শাস্তি নিশ্চিত করতো। কিন্তু সেই সময়কালে উল্লেখিত অভিযোগে বাংলাদেশের কোনো থানায়ই জাসদের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি। খোদ বঙ্গবন্ধুও কখনই জাসদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন নাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুত করাসহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কোনো পর্যায়ে জাসদের কোনো নেতা-কর্মীর সামান্যতম সংশ্লিষ্টতা থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এফআইআর, তদন্ত, চার্জশীট, সাক্ষীদের সওয়াল জবাব, চার্জ ফ্রেম, মূল রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণে জাসদের নেতা-কর্মীদের নাম আসতো। কিন্তু তা আসেনি।’

এসএম/এপি/

Header Ad
Header Ad

ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক বাড়িতে ডাকাতি করতে এসে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়া গৃহকর্তাকে প্রথমে পানি খাইয়ে সেবা করে পরে ঘরের মালামাল লুট করেছে ডাকাতরা। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সোবাহান হাওলাদার (৬০) জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে তার পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে মুখোশধারী ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে নিজেদের পরিচয় দেয়। তখন তিনি ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাকাতরা তাকে পানি পান করিয়ে সেবা করে। এরপর একাধিক আলমারি ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী ঘরে ছিলাম। ডাকাতরা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। বরং আমি অসুস্থ হলে তারা আমাকে পানি খাওয়ায়।”

একই রাতে সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধাপাকা ঘরে ঢুকে ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের চোখ-মুখ বেঁধে রাখে এবং ঘর তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের দাবি, দুই ঘর থেকে মোট সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Header Ad
Header Ad

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডর’ স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে নানা গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি জানান, জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে নীতিগতভাবে প্রস্তুত আছে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী পক্ষের দাবি, এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক দলসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এ প্রসঙ্গে প্রেসসচিব বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং যথাসময়ে প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

তিনি আরো জানান, রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের জন্য নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে, যা দেশের পক্ষে বহন করা কঠিন।

প্রেসসচিব ‘বড় শক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনা’ সংক্রান্ত অভিযোগকে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পিত অপপ্রচার” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

 

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভিম্বর জেলার মানাওয়ার এলাকায় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়।

সূত্র মতে, ভারতীয় বাহিনী গোয়েন্দা নজরদারির উদ্দেশ্যে ড্রোনটি পাঠিয়েছিল। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড্রোনটিকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।

ঘটনাস্থল থেকে ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানানো হয়। তবে এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রায়ই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে এবং আকাশপথে নজরদারি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি