সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, ভারত: রিজভী

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ভোটে নয়, ভারতের সহায়তায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তাই তারা ভারতকে খুশি করতে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, ভারত।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের আওতার মধ্যে ক্রমাগতভাবে ঠেলে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব দুর্বল করে একটি ডামি রাষ্ট্র বানানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কার্যকর করছেন তিনি। বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য তারা পুরো দেশটাকেই ডামি রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, তাদের ক্ষমতার উৎস ভারত।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের ভোটের আশা করে না এবং বাংলাদেশের জনগণের ভোটের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস নেই। ভারত সরকারের ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি বার বার বলেছেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, বিদেশি প্রভু। তারা দেশকে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের গোলামি করলেও এ দেশের মানুষ ভারতের গোলামির জিঞ্জির পরিধান করবে না। ঐতিহাসিকভাবেই যেকোন ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাহসী জনগণের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের বীরত্বগাঁথা ঐতিহ্য রয়েছে। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নাই। তবে আমাদের আপত্তি ভারতের শাসকদের পলিসি, নীতি নিয়ে। তাই দল- মত নির্বিশেষে ভারতীয় এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

মারা গেছেন পোপ ফ্রান্সিস

ছবি: সংগৃহীত

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস পরলোক গমন করেছেন। ইস্টারের পরেরদিন মারা গেলেন তিনি।তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার ইস্টার ছিল, পালনও করেছিলেন তিনি, তার পরে সোমবারই প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস। এ তথ্য জানিয়েছে ভ্যাটিকান।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের

ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট ব্যবহারে ভোক্তাদের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জনপ্রিয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোম তাদের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সার্কিট (আইটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম যথাক্রমে ১০, ১০ এবং ১৫ শতাংশ হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার ব্যয় হ্রাস পাবে, যা পর্যায়ক্রমে গ্রাহক পর্যায়েও প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়া ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, এখন থেকে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা মাত্র ৫০০ টাকায় গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ সাধারণ গ্রাহকদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে তাদের সব সেবায় ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকও ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে মোবাইল ইন্টারনেট সরবরাহ করছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার ইতোমধ্যে মোবাইল অপারেটরদের জন্য ডিডব্লিউডিএম ও ডার্ক ফাইবারের মতো সুবিধা চালু করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে পাইকারি ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। তাই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের পক্ষে এখন দাম না কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিনি আরও বলেন, চলমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমালে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কিছুটা লাঘব পাবে। সরকার চাইছে মোবাইল কোম্পানিগুলো দুইটি দিক থেকে মূল্যছাড় দিক—প্রথমত, পূর্বে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আরোপ করা বাড়তি মূল্য তুলে নেওয়া; দ্বিতীয়ত, আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন স্তরে যেভাবে পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, সেভাবে গ্রাহক পর্যায়েও মূল্য হ্রাস করা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গুণগত মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেবার মানের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের লক্ষ্য হলো—একটি যৌক্তিক ও সমন্বিত মূল্যনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেবা মানোন্নয়ন ও গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশে ডিজিটাল সংযোগ আরও বিস্তৃত হবে এবং সাধারণ মানুষ আরও সহজে সাশ্রয়ী দামে ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

Header Ad
Header Ad

আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই চীনের সঙ্গে শুরু করেছেন বাণিজ্যযুদ্ধ। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই চীন বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও বাণিজ্যচুক্তিতে না যায়, যা চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, চীন বিশ্বাস করে—সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে পারে। তবে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি করে যা চীনের ক্ষতি করে, তাহলে বেইজিং তাতে কঠোরভাবে আপত্তি জানাবে। তিনি আরও বলেন, কেউ চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করলে চীন 'সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া' জানাবে।

এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য দেশগুলোর ওপর চাপ দিচ্ছে—তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় পেতে চাইলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করে। চীনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র সমতার কথা বলে একতরফাভাবে সব দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে দিচ্ছে এবং দেশগুলোকে তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আলোচনায় বাধ্য করছে।

চীন জানিয়েছে, তারা নিজের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চায়। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তি শুল্ক নিয়ে আলোচনায় নেমেছে। জাপান সয়াবিন ও চালের আমদানি বাড়ানোর কথা ভাবছে, আর ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে অন্য উৎস নির্ভরতা কমাতে চাইছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেও, চীনের ওপর তা বহাল রেখেছেন। চীনই এই শুল্ক নীতির মূল লক্ষ্য। এর জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করেছেন, যেখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল—আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলা।

(সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান)

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মারা গেছেন পোপ ফ্রান্সিস
দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের
আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩ জন
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন