বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোরআনের শাসন দিয়ে বাংলাদেশ চলবে না : শাহরিয়ার কবির

ছবি: সংগৃহীত

কোরআনের শাসন দিয়ে বাংলাদেশ চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) ‘স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের বিষয় নিয়ে মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সাম্প্রতিক ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার কবির বলেছেন, থার্ড জেন্ডার তো পাঠ্যপুস্তকে রয়েছে। থার্ড জেন্ডার আমাদের সংবিধান স্বীকৃতি দিয়েছে। থার্ড জেন্ডার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। স্রষ্টাই এভাবে মানুষকে তৈরি করেছেন। আপনি স্রষ্টার সৃষ্টির বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়াবেন নাকি? তারা যেভাবে কোরআনের ব্যাখ্যা দিচ্ছে, তারা কে কোরআনের ব্যাখ্যা দেওয়ার এবং সেটা আমাকে মানতে হবে কেন? আর কোরআনের শাসন দিয়ে তো বাংলাদেশ চলবে না। আমাদের তো একটি সংবিধান আছে। তারা (মৌলবাদী) দরকার হলে আফগানিস্তান-পাকিস্তানে চলে যাক। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা আফগানিস্তান বানাতে দেব না।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ে ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ অধ্যায়ে ‘শরিফার গল্প’ নামে একটি রচনা রয়েছে। এটা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সম্পর্কে যথাযথ ধারণা দেওয়ার জন্য। পাঠ্যপুস্তকে মুদ্রণ এবং তথ্যগত ত্রুটি সম্পর্কে বিভিন্ন দৈনিকের কিছু প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে, যা নতুন কোনো বিষয় নয়। এ ধরনের ত্রুটি ধরা পড়লে তা সংশোধন করা যায় এবং করা উচিতও। পাঠ্যপুস্তকে এ ধরনের ত্রুটি কখনও কাম্য নয়। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব আলোচনার এক পর্যায়ে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বইয়ের উপরোক্ত রচনাটি ছিঁড়ে ফেলে গণমাধ্যমের সামনে যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন এটাকে হালকাভাবে দেখার কোনো কারণ নেই। তার এই কর্মকাণ্ডের পর ঝিম মেরে বসে থাকা হেফাজতীরা এবং তাদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক সংগঠন মাঠে নেমে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯ জানুয়ারির সেমিনারে মৌলবাদী শিক্ষকদের ফোরামের নেতারা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি বিষদগার করে বলেছেন নতুন পাঠক্রমের সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে হবে, কারণ এটি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য, ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য, যা তাদের ভাষায় ‘ইসলামবিরোধী’। এই অনুষ্ঠানের বক্তাদের সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ইউটিউবে এখনও প্রচারিত হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষক তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি ও মর্যাদা বিষয়ক পাঠে সমকামিতা প্রচারের অভিযোগ এনেছেন বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। তিনি জানতেন এর প্রতিক্রিয়া কী হবে। তিনি বলেছেন ইসলামের মর্যাদা রক্ষার জন্য নাকি এ কাজ করেছেন। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলামীর ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে গিয়ে ইসলামের নামে যেভাবে গণহত্যা ও গণধর্ষণের মতো নৃশংস অপরাধসমূহ জায়েজ করতে চেয়েছে, সেই এজেন্ডা থেকে তারা এখনও বিচ্যুত হয়নি। এখন তারা ’৭১-এর ভাষায় পাঠক্রম পরিবর্তন করতে চাইছে। ৭১-সালে জামায়াত নেতা মুজাহিদ বলেছিলেন, পাঠ্যপুস্তকে কোনো হিন্দু লেখকের লেখা কিংবা ইসলামবিরোধী লেখা থাকতে পারবে না।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক নাগরিক সমাজের ধারাবাহিক আন্দোলনের কারণে এবং সাধারণ পাঠক্রম যুগোপযোগী করার প্রয়োজনে বর্তমান পাঠক্রমে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা সাধারণভাবে প্রশংসিত হলেও ৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সহযোগীরা যেভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে, এটাকে কঠোরভাবে দমন করা না হলে দেশ ও জাতির সামনে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে। আমরা আশা করব, পাঠ্যপুস্তকে মুদ্রণ ও তথ্যগত যেসব ভ্রান্তি আছে, তা দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে, কিন্তু কোনো অবস্থায় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাবি মেনে কোনো রচনা বা বিষয় প্রত্যাহার বা পরিবর্তন করা যাবে না।

শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যাপারে আপাতদৃষ্টিতে যে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে, সেখানে তারা থার্ড জেন্ডার, ট্রান্সজেন্ডার এবং ট্রান্সজেন্ডার থেকে সমকামীতা নিয়ে আসছে। কিন্তু এগুলো কোনো বিষয় নয়। সেদিনের আলোচনায় তাদের মূল বিষয় ছিল, ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি থাকতে পারবে না, সমতাভিত্তিক শিক্ষানীতি থাকতে পারবে না৷ তাদের ভাষায় ইসলামে তৃতীয় লিঙ্গের কোনো স্বীকৃতি নেই। তারা সমতাভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি চায় না, পাঠ্যক্রম চায় না। এটা করে তারা সংবিধানকে শুধু আঘাত করেনি, বাংলাদেশের অস্তিত্বকেও আঘাত করেছে। লড়াইটা হচ্ছে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এখানে সরকার যদি কোনো রকম সমঝোতা করে, সেটা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, পাঠক্রম নিয়ে বিতর্ক চলছে আজ প্রায় ৮০ বছর। বঙ্গবন্ধুর সরকার ব্যতীত আর কোনো সরকার শিক্ষা সংক্রান্ত নীতি বা পাঠক্রম দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। উপমহাদেশে, ভারতে এই বিতর্ক এখন চরমে। যেসব দেশে গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা পেয়েছে এবং দৃষ্টিভঙ্গি মোটামুটি ধর্মনিরপেক্ষ সেসব দেশে পাঠক্রম নিয়ে বিতর্ক কমেছে। যুগোপযোগী পাঠক্রম তৈরির জন্য সেখানে আলাদা সংস্থা আছে।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বই থেকে পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট মমতাজ লতিফ।

Header Ad

এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি পরিষেবায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠাসহ জনবান্ধব ভূমি পরিষেবায় জনদুর্ভোগ ও হয়রানি পরিহারের লক্ষ্যে ভূমি কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ভূমি কর্মচারী কর্মস্থলে বা একই শাখায় তিন বছরের বেশি সময় কর্মরত থাকলে তাকে অন্যত্র বদলি করাতে হবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত পরিপত্রে বলা হয়, সব নাগরিকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন, জনবান্ধব ও হয়রানিমুক্ত ভূমিসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন কর্মরত (১০ম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের) কর্মচারীদের ওই কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলি করা সমীচীন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কর্মচারীদের ওই কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলির ক্ষেত্রে চারটি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো- মাঠ পর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মচারীদের জন্য পর্যায়ক্রমে সব বিষয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া। মাঠ পর্যায়ে জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি পরিহারে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের মধ্যে যিনি বা যারা একই কর্মস্থলে বা একই শাখায় ৩ বছরের বেশি সময় কর্মরত আছেন, তাদের কর্মস্থল বা শাখা পরিবর্তন বা অন্যত্র বদলি করা।

দুর্গম বা প্রতিকূল যোগাযোগসম্পন্ন এলাকায় কর্মরত কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর হলেই তাকে অন্যত্র বদলি করা। শারীরিক অসুস্থতা বা নৈতিক স্খলনজনিত বা সুনির্দিষ্ট বা যুক্তিসঙ্গত কারণে নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো কর্মচারীকে অন্যত্র বা আন্তঃজেলায় বদলি করা হলে জেলা প্রশাসক এবং ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় কমিশনারের বদলির কারণ দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন আকারে ভূমি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা।

Header Ad

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উত্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি কলেজ, নজিপুর সরকারি মহিলা কলেজ, নজিপুর হাইস্কুল, নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা ও নজিপুর বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন তারা।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাওছার মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল মুরছালিন, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় কুমার সরকারসহ স্থানীয় ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে চাই। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, আমরা সেই ত্রাসের রাজনীতি না করে, ছাত্র রাজনীতিতে সংস্কার করতে চাই। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে এসেছি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে এই সংক্রান্ত ৩১ দফা শিক্ষার্থীদের কাছে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।

মতবিনিময়কালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। এছাড়া ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দেশে কী ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা, শিক্ষার্থীরা কী ধরনের পরিবর্তন চান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নেন।

Header Ad

বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। তাই খেয়াল রাখতে হবে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো দেশ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে না পারে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ২০০৫ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত জেলা জজ আদালতের দুই বিচারক জগন্নাথ পাড়ে ও সোহেল আহমেদের স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় কোনোভাবেই উগ্রবাদকে গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এ দেশে যা ঘটে তা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরা হয়। খেয়াল রাখতে হবে, ভবিষ্যতে যেন, এমন সুযোগ আর কেউ না পায়।

তিনি বলেন, এ দেশের চারপাশে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। তাই আর কেউ যেন শত্রু না হয়। বিষয়টির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। কোনো বিভেদের পথে হাঁটা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

প্রয়াত দুই বিচারককে স্মরণ করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, জঙ্গিবাদ কত ভয়াবহ। এখানে আমাদের দুটি শিক্ষা আছে। জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ কী ভয়ংকর জিনিস। মানুষকে কত যুক্তিহীন অমানুষ ও নিষ্ঠুরে পরিণত করে। আমার মনে হয় না পৃথিবীতে অন্য কোনো কিছু মানুষকে এতটা নিষ্ঠুর মরিয়া বেপরোয়া করতে পারে। জঙ্গিবাদ যেকোনো ধর্মের হতে পারে। ... এটা আমাদের শিক্ষা দেয় আমরা কোনোভাইবে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদকে অ্যালাউ করতে পারি না। কোনো অজুহাতেই না। কোনো মোড়কেই না।

অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি
৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
উদ্বোধন হলো বেনাপোলের কার্গো ইয়ার্ড টার্মিনাল: বাড়বে বাণিজ্য, কমবে যানজট
চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর বাজার তদারকি অভিযান, জরিমানা আদায়
ব্রিকসে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব পেল তুরস্ক
জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ
ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: সালাহউদ্দিন