সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কখনোই চাইনি বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিসহ যারা আসেননি, তারা আসলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, 'বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক এটা আমরা কখনোই চাইনি। অনেকেই এসেছেন কিন্তু বিএনপিসহ যারা আসেননি, তারা আসলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।'

আজ মঙ্গলবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুস্থ ও সুষ্ঠু করবে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মনে করেছিল তারা না থাকলে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে না, ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোটায় যাবে। এরকম দুঃস্বপ্ন নিয়ে তারা আন্দোলন করে ব্যর্থ।

তিনি বলেন, 'এখন তারা সরকার কীভাবে ব্যর্থ হবে, ভোটার টার্নওভার কীভাবে কম হবে এবং নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে না বলে নানান গল্প বলে যাচ্ছে।'

দলীয় এজেন্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, 'এবারের নির্বাচনটা আমরা খুব ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন সত্যিকার অর্থে চান। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে। সে ব্যাপারে পোলিং এজেন্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।'

ইউক্রেন, সুদান ও মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, 'এরকম পরিস্থিতিতে আমরাও সংকটে আছি। দোষটা বড় বড় দেশগুলোর, কিন্তু দায় পড়ছে আমাদের ওপর, শাস্তি পাচ্ছি আমরা। দেশে আমাদের গরিবেরা সাফার করছে, প্রান্তিক মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। বাজারে জিনিসপত্রের যে ঊর্ধ্বগতি, সেটা নিয়েও মানুষের দুঃখ-কষ্টের আবহ তৈরি হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে, ডলারের সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহনে অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে।'

তারেক রহমানের সমালোচনা করে কাদের বলেন, 'তিনি এখন রাজনীতি করছেন না, রাজনীতিটাকে ধ্বংস করছেন। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন। তার বাবা জিয়াউর রহমান এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।'

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর পোরশা উপজেলার পোরশা পূর্ববাড়ি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ভাই-বোনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এক ঘরে ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ, আরেক ঘরে বোনের লাশ পড়েছিল।

গতকাল রোববার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দুইজনকে দুই-তিন আগে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত দুইজন হলেন, পোরশা পূর্ববাড়ি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেন শাহর ছেলে নূরমোহাম্মদ শাহ (৫৫) ও তাঁর বোন রেজিয়া বেগম (৫৮)।

থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর প্রায় ১৫ বছর ধরে রেজিয়া ভাই নূর মোহাম্মদের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। নূর মোহাম্মদের স্ত্রী মারা গেছেন। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়েছে পাশের উপহেলা নিয়ামতপুরে। ফলে পোরশা পূর্ববাড়ি এলাকার ওই বাড়িতে নূর মোহাম্মদ ও তাঁর বোন বসবাস করতেন। বাড়ির বাইরে থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশিরা তাদের খোঁজ করতে গতকাল রোববার রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে নূর মোহাম্মদ ও তার বোনের লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে রাত ১২ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পোরশা থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব আলম বলেন, অর্ধগলিত অবস্থায় মরদেহ দুটি পাশাপাশি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নূর মোহাম্মাদের পেটে ধারালো চাকু কিংবা ছুড়ি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে পাশের কক্ষ থেকে রেজিয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। রেজিয়ার ঘর থেকে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি কিংবা ডাকাতির কাজে বাধা দেওয়ায় তাদেরকে হত্যা করা হয়ে থাকলে পারে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বাড়ির প্রধান দরজায় বাহির থেকে তালা লাগানো এবং অন্য দরজায় ভিতর থেকে আটকানো ছিল। লাশ দুটি অধিক ফোলা এবং দূর্গন্ধযুক্ত পচন ধরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নওগাঁ পিবিআই ও সিআইডির কর্মকর্তাগণও পরিদর্শন করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ সোমবার সকালে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি চুরি কিংবা ডাকাতিজনিত হত্যাকাণ্ড নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড সেই রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস-পরীক্ষা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করে একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন তাঁরা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলটির সামনে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।

সকাল থেকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সেনা সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, তাঁরা এক প্রকার মানবপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন। অধিকাংশ মানুষদের তল্লাশি করা হচ্ছে। কাউকেই ফুটপাতে বা রাস্তায় দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।

বেলা ১২টার দিকে নতুন বাজারের মূল সড়কের একপাশ খুলে দেওয়া হয়। যানচলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ মিছিলটি ঘিরে রয়েছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। গুলশান বিভাগ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত আছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম বলেন, ‘ফিলিস্তিন গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন এই পৃথিবী থাকতে ততদিন ওই ইসলামের ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। এখন দরকার পুরো পৃথিবীর মুসলিমদের এক হওয়া। জিহাদ ঘোষণা করা। সেটারই প্রথম ধাপ পুরো বিশ্বে এই বিক্ষোভ।
এর আগে সকাল থেকে বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ’ ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ বলে স্লোগান দেন।

 

Header Ad
Header Ad

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে প্রাণ যায় শত শত মানুষের। আহত হন অনেকে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তদন্তে নেমে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পায় জাতিসংঘ।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, হত্যায় জড়িত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

আন্দোলন দমানোর নামে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ১০ জুলাইয়ের পর এসব আলামত নষ্টের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার।

তিনি বলেন, শুধু ডিলিট না, কথাও যেন কোন ডেটা না থাকে সেজন্যে স্থায়ীভাবে ডিলিট করার নির্দেশনাও আমরা তদন্তে পেয়েছি। সেসমস্ত জিনিস আমরা পুনরুদ্ধার করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আদালতে প্রেরণযোগ্যের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়টি নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর সুযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, এটি পাঠাতে পারলে সুবিধা হচ্ছে সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে পারবে কি নৃশংসভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা চালান হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, রোম আইনের বলে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই আদালত। ১২৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশও এর সদস্য। জেনোসাইড, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার হয় আইসিসিতে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত
পুরান ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডে আগুন, নিহত ১
ইসরাইলি বসতিতে হামাসের মুহুর্মুহু রকেট হামলা (ভিডিও)
আমরা গাজায় আরও তীব্র হামলা চালাব: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙল বিয়ে
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ছাত্রদলের নিন্দা ও কর্মসূচি ঘোষণা
দপ্তর হারালেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসনকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন
ফেসবুকে নির্বাচনের কথা লিখলে সংঘবদ্ধ গালি শুরু হয়ে যাচ্ছে: ইশরাক
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা