নতুনরূপে বাকশাল কায়েম হয়েছে: মির্জা আব্বাস
আওয়ামী লীগ যেখানে সেখানে গণতন্ত্র নেই। কথা বলার স্বাধীনতাও রুদ্ধ হয়েছে। তাই নতুনভাবে বাকশাল কায়েম করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হল মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, 'যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে গণতন্ত্র নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই, আছে লুটপাট। তাই আজকে নতুনরুপে বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। সত্য কথা কেউ লিখতে পারেন না, লিখলে তাকে হয় জেলে যেতে হয় নতুবা সাগর-রুনির পরিণতি বরণ করতে হয়। দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে হয়। ঠিক একই অবস্থা হয়েছিল স্বাধীনতার পর যখন আওয়ামী লীগ বাকশাল গঠন করেছিল। তখন ১৮ থেকে ২৪ বছরের কোনো যুবক তার মায়ের কোলে থাকতে পারেনি, বাড়িতে থাকতে পারেনি। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেরিয়েছে। কারণ ভিন্নমত ভিন্নপথে চলাদের রক্ষাবাহিনী দিয়ে হত্যা করেছিল।'
'আজকে বিধিবদ্ধ আইনে ঘরের মধ্যে সভা সমাবেশ করতে হচ্ছে। পুলিশ ও র্যাব জনগণের সেবায় পাহারাদার। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয় অথচ তারা এখন হত্যা করছে, গুম করছে।'
বিদেশে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে ক্ষমতাসীনদের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, 'লবিস্ট কী? লবিস্টের কাজ কী, তা আমরা জানতাম না। লবিস্টের নামও শুনি নাই। বরং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা লবিস্টের নাম ও কার্যক্রম শুনেছি।'
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দেশের কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর অন্য দেশের নিষেধাজ্ঞা কামনা করি না, এটা লজ্জার বিষয়।'
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাবেকমন্ত্রী বলেন, 'হঠাৎ করোনা ভাইরাস বেড়ে গেল, আমরা জনগণকে ভালোবাসি সেই। ভালোবাসার কারণে কিছুদিন বন্ধ রেখেছি, আন্দোলন থেমে নেই। ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা জারি ভাঙা শুরু হয়েছিল, তাই করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলে আন্দোলন কাকে বলে, মাসে কয়দিন যায় সেটা টের পাবেন। আন্দোলনে আপনাদের অনেক কিছু ভেসে যাবে, খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। দেশে কথা কম বলেন, বুঝে শুনে কাজ করেন।'
'টাকা-পয়সা যা কামিয়েছেন, তা সামাল দেন। যেভাবে বিশ্ববাসী আপনাদের অপকর্মের স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে, সেটাও বোধ হয় পারবেন না।'
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কৃর্তক নির্বাচন ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে বিএনপির রুপরেখা পরিষ্কার ও প্রকাশিত বলেও মন্তব্য করেছেন মির্জা আব্বাস।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেছেন ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর) সদস্য সচিব আমিনুল হক।
টিটি/