মেরে আঙান মে তুমহারা কেয়া কাম হ্যায়: সাঈদ খোকন
কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘মেরে আঙান মে তুমহারা কেয়া কাম হ্যায়।’ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে উদ্দেশ্য করে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন একথা বলেন।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
এ সময় ঢাকা-৬ এর বর্তমান সংসদ সদস্য মহাজোটের কাজী ফিরোজ রশীদের প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা। আওয়ামী লীগ জোটে গেলে যদি এই ঢাকা-৬ আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড়তে হয় তখন আপনার (মোহাম্মদ সাঈদ খোকন) করণীয় কি হবে? এই প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন হিন্দি গানের লাইনটি বলেন, ‘মেরে আঙান মে তুমহারা কেয়া কাম হ্যায়।’
আওয়ামী লীগ তার নেতাকর্মীদের জন্য যা নির্ধারণ করবে তা দলের নেতাকর্মীদের আইন, অনুসরণীয়-অনুকরণীয় জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, এটা প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনীতি করি। দলের কথাই শেষ কথা, দলের কথাই চূড়ান্ত। পার্টির ডিসিশন-ই ফাইনাল।
দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-৬ আসনে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি আশা করি, এই আসনটা আমরা তাকে উপহার দিতে পারবো। এ জন্য ঢাকাবাসীসহ দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ওয়াদা করেছিলেন। বাস্তবতায়ও তিনি তার ওয়াদা অক্ষর অক্ষরে পালন করেছেন। তার কল্যাণে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। সে জন্য আমি মনে করি এবারের নির্বাচনটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে নৌকা প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন-অগ্রগতি, অগ্রযাত্রা যেভাবে বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন এবং করে চলছেন সেই সমস্ত উন্নয়নের গল্গ, সেই সমস্ত উন্নয়নের কথা আমরা প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায়, প্রতিটি ঘরে ঘরে নৌকা প্রতীক নিয়ে পৌঁছে দেব এবং নৌকার পক্ষে ভোট চাইবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী, ‘আই আম ভেরি ম্যাচ কনফিডেন্ট’ আমার এলাকার মানুষ, ঢাকা-৬ নির্বাচনী এলাকার মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীত্ত্ব তুলে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।