সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি:সংগৃহীত

২৩ নভেম্বর ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের (রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারী) উপজেলার সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন কে দলীয় মনোনয়ন না দিতে লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। ওই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত আবেদনে এই অনুরোধ জানিয়েছেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) আবেদনপত্রটি দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগকারীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার স্বাক্ষর

অভিযোগপত্রটির একটি অনুলিপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার স্বাক্ষর রয়েছে।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুর্নীতির অভিযোগপত্র

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে ‘দুর্নীতিবাজ, গণবিচ্ছিন্ন ও বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘ সংসদ সদস্য জাকির হোসেন একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তিনি রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল করেছেন।’

জাকির হোসেন এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী- নিজস্ব ছবি

অভিযোগের তালিকায় ৩ নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ তিনি ( জাকির হোসেন) নিজে একজন মাদকসেবী এবং তার পরিবার দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চোরাকারবারী নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।’

প্রতিমন্ত্রীর পরিবারের অনেকে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত দাবি করে অভিযোগের ৫ নং ক্রমিকে আওয়ামী লীগ নেতারা আরও দাবি করেছেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় জাকির হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার অনেক চাকরি প্রার্থীর কাছে টাকা নিয়ে চাকরি দেননি। এতে হাজার হাজার পরিবার পথে বসেছে। এসব কারণে ওই আসনের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ জাকির হোসেনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মখিন হয়ে বিব্রত হচ্ছেন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পার্লামেন্টারি বোর্ড ও দলীয় সভাপতির প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকা মার্কায় জাকির হোসেন ব্যতিত আওয়ামী লীগের যে কাউকে মনোনয়ন দিলে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আসনটি দলীয় সভাপতিকে উপহার দেবেন।

আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার, রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফিউল আলম, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সহ আরও কয়েকজন নেতাকর্মী।

রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘অভিযোগুলো সত্য এবং আমরা সর্বসম্মতিক্রমে স্বাক্ষর করে তা দলীয় প্রধান বরাবর পাঠিয়েছি।’

রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন, ‘জাকির সাহেবের বিরুদ্ধে বঙ্গমাতার নামে জমি দখল সহ উল্লেখ করা সকল অভিযোগ সত্য। সত্য না হলে আমরা স্বাক্ষর করতাম না।’

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, ‘ জাকিরের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি অভিযোগ সত্য। এই আসনের মানুষ তার ওপর এতটাই অতিষ্ট যে তাকে মনোনয়ন দিলে মানুষ নৌকায় ভোট দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে।’

অভিযোগপত্রে কয়েকজন মানোনয়ন প্রত্যাশীর নাম না থাকলেও অভিযোগের সাথে একমত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবির বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপিকে বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভি করেননি। তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। ফলে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

অ্যানফিল্ডে শিরোপা উৎসব করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন লিভারপুলের ফুটবলার ও সমর্থকরা। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে নিস্তব্ধতা নেমে আসে গ্যালারিতে।

এক গোল খেয়ে গর্জে উঠতে সময় লাগেনি অলরেডদের। একের পর এক গোলে গ্যালারির লাল সমুদ্রে যেন উত্তাল ঢেউ উঠেছিল, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তা সুনামিতে রূপ নেয়। ২০২৪-২৫ চ্যাম্পিয়ন্স লেখা জার্সি পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। বিশেষ জার্সি পরে উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায় মোহাম্মদ সালাহ-ভার্জিল ফন ডাইকদের। রেকর্ড ছোঁয়া ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ছুঁয়েছে তারা।

রবিবার লিভারপুলের দরকার ছিল কেবল এক পয়েন্ট। অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করলো তারা। জিতেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করলো অলরেডরা। ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট তাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের ৬৭ পয়েন্ট। আর কোনোভাবেই লিভারপুলকে পেছনে ফেলা সম্ভব নয়। তাতে চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে লিভারপুল।

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

১২ মিনিটে ডমিনিক সোলাঙ্কের হেডে টটেনহাম এগিয়ে গিয়েছিল। লিভারপুল পিছিয়ে পড়লেও গর্জে ওঠে। গোল খাওয়ার চার মিনিট পর লুইস দিয়াজ সমতা ফেরান। ২৪তম মিনিটে অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার লিভারপুল এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ৩৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল করেন কডি গাকপো।

৬৩ মিনিটে সোবোসলাইয়ের পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে জাল কাঁপান মোহাম্মদ সালাহ। চলতি প্রিমিয়ার লিগে ২৮তম গোল করে শীর্ষ গোলদাতার আসন আরও সুসংহত করলেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ১৮৫তম গোলে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে গেলেন সালাহ।

ছয় মিনিট পর আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস সালাহর কাছে পৌঁছানোর আগেই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান টটেনহাম ডিফেন্ডার উডোগি।

ছবি: সংগৃহীত

লিভারপুলের আর্নে স্লট পঞ্চম কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতলেন। হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি ও আন্তোনিও কোন্তে এর আগে এই কীর্তি গড়েন।

ফেনুর্দকে শিরোপা জিতিয়ে ইংল্যান্ডে পা রেখে সফল হলেন স্লট। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বললেন, ‘কিছু জেতা সবসময় বিশেষ। আর সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যদি আপনি প্রথম হন। আরও বিশেষ হওয়ার কারণ এমন একটি ক্লাবে এই সাফল্য পাওয়া, যাদের প্রত্যেক বছর লিগ জেতা হয়ে ওঠে না।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ