অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কোনো কথা শোনা হবে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
বিদেশিদের সঙ্গে উন্নয়ন বা দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়, তবে দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নিয়ে তাদের কোনও কথা শোনা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশ কি আমাদের দেশের পরামর্শ নেয়? তাদের নির্বাচনের সময় এমন প্রশ্ন ওঠে? তাহলে আমাদের নির্বাচন নিয়ে তারা কেন কথা বলবে আর আমরা কেন তাদের কথা শুনবো?
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের বিবৃতিতে দে হ্যাভ বিন মিসলেড। আমরা বলতে চাই জাতিসংঘের আসলে বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এটা নয়।
তিনি বলেন, সুদান দুই ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আজ ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? জাতিসংঘের কথা কেউ শোনে? আজ গাজায় যা হচ্ছে জাতিসংঘের একটি কথা কেউ শুনছে? জাতিসংঘ তো নামকাওয়াস্তে। জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা তো বাস্তবে নেই। বাংলাদেশের ইলেকশন নিয়ে এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন যেতে পারে, এটাতে তো তাদের (জাতিসংঘ) কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তারা তো আসল দায়িত্বটাই পালন করতে পারছে না।
ভালো কিছু কথা বলা ছাড়া বিশ্বে জাতিসংঘের আর কোনো ভূমিকা নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউক্রেনে তারা কিছু শব্দচয়ন করে সুন্দর সুন্দর কথা বলেছে। ক্লাইমেট চেঞ্জের অবনতি ঘটছে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল মাঝে মধ্যে সুন্দর ভাষায় আপন মনে মাধুরী মিশিয়ে ভালো ভালো কথা বলেন। ভালো ভালো কিছু কথা বলা ছাড়া তাদের আর কোনো ভূমিকা আছে বলে আমাদের জানা নেই। বাংলাদেশ নিয়ে তারা মাথা ঘামাচ্ছে, আমরা অনেক ভালো আছি।
বিএনপি ছাড়া আরেকটি নির্বাচনের দিকে দেশ এগোচ্ছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আই ডোন্ট নো। বিএনপির অধিকার ইলেকশন করার। তারা ইলেকশন না করলে করবে না। আমার কথা হলো বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে না। সংবিধান যেভাবে বলছে আমাদের ইলেকশন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক সেভাবে চলবে, এতে কে এলো বা কে এলো না দ্যাট ডাজেন্ট ম্যাটার।
বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্পেস দেন, সময় আসুক।