গণআন্দোলনে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: মির্জা ফখরুল
দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এখন সর্বত্রই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দখলবাজদের দখলের জয়জয়কার চলছে। অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা, আশ্রয়, পেশা, ব্যবসা বানিজ্য সবকিছু এখন নৈরাজ্যের করাল গ্রাসে নিপতিত। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত এবং বিদেশে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’
সোমবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেছেন।
অসহনীয় দু:শাসনের অবসান ঘটাতে দেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। কথা, চিন্তা, বিবেক, মত প্রকাশ, সংগঠন ও সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে হুকুমবাদের দৌরাত্বে। বহুত্ত্ববাদীতা বিনষ্ট করে মানব সমাজের সামাজিক স্থিতি ও ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে।’
‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে ভুয়া ভোটের নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এখন দেশে দ্বিতীয় বাকশালী রাজত্ব কায়েম করেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিবে বলেই আগেভাগে আওয়ামী সরকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে।’
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, ক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। একটি মাত্র দল বাকশাল ছাড়া অন্য সকল দল এবং সরকার অনুগত ৪টি সংবাদপত্র ছাড়া সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, সভা-সমাবেশ এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করে তারা বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে মূলতঃ মানবাধিকারকেই পদদলিত করেছে।
বিএনপি সবসময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র, গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ বলেও বাণীতে উল্লেখ করা হয়।
এমএইচ/