সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হতে পারে বলে গুঞ্জন ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তার নাম দেখা যায়নি।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে বর্তমানে সারা বিশ্বের ৬,৬৫৮ জন সন্দেহভাজন অপরাধীর তালিকা রয়েছে। এর মধ্যে ৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তারা দেশে বা বিদেশে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত। এসব অপরাধীর মধ্যে চাঁদপুরের রাজু ঢালীকে সিঙ্গাপুর খুনের অভিযোগে খুঁজছে। ঢাকার মো. মিলন ও লিটন ব্যাপারীকে খুঁজছে ইসতাওয়ানি, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা খুঁজছে নোয়াখালীর মিজান মিয়াকে।
ভারত মুদ্রা জালিয়াতির অভিযোগে খুলনার আজিজুর রহমান, নোয়াখালীর সবুজসহ আরও কয়েকজনকে খুঁজছে। বেলজিয়াম খুনের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের খোরশেদ আলমকে খুঁজছে, আর মালয়েশিয়া নাটোরের সিরাজ মোস্তফাকে চোরাচালানির অভিযোগে খুঁজছে। এছাড়া যৌন নির্যাতন ও অস্ত্র মামলার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র জাহিদুল ইসলাম এবং ফজলুল আমীন জাভেদকে খুঁজছে।
বাংলাদেশ নিজেও বিভিন্ন অভিযোগে অনেক অপরাধীকে খুঁজছে। এ তালিকায় রয়েছেন বাগেরহাটের রবিউল ইসলাম, টাঙ্গাইলের তাজউদ্দীন, ঢাকার তানভীর ইসলাম জয়সহ বেশ কয়েকজন। মানবপাচারের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবাল ও মাদারীপুরের মোল্লা নজরুল ইসলামকে খুঁজছে। পর্নোগ্রাফির অভিযোগে টাঙ্গাইলের ওয়াসিম এবং জালিয়াতির অভিযোগে জামালপুরের আমানুল্লাহকেও খুঁজছে বাংলাদেশ।
ইন্টারপোলের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারপোল বর্তমানে ১৯৬টি দেশের মধ্যে পুলিশি সহযোগিতা ও সমন্বয় করে। কোনো দেশের অপরাধী অন্য দেশে পালিয়ে গেলে তাকে ধরতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশকে অভিযুক্তের বিস্তারিত তথ্য এবং মামলার নথি ইন্টারপোলের কাছে জমা দিতে হয়।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৭ জন অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য।