‘মেহনতি মানুষের মুক্তি ছাড়া দেশের মুক্তি নেই’
বাংলাদেশের শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে তাদের অধিকার ও মুক্তির লড়াই এগিয়ে নিতে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, মেহনতি মানুষের মুক্তি ছাড়া সমাজ ও দেশের মুক্তি নেই।
সোমবার (১ মে) মে দিবস উপলক্ষে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জীবনযাত্রার অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশের শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে চরম দুঃসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। শ্রমিক পরিবারসমূহের খাদ্যগ্রহণ কমে গেছে। বাজারের নৈরাজ্য শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।
সাইফুল হক বলেন, ট্রেড ইউনিয়নসহ তাদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার আজ নিশ্চিত নয়। বিদ্যমান শ্রম আইনও শ্রমিকদের অনুকূলে নয়। শ্রমিকদের বাঁচার ন্যায্য আন্দোলনকে মালিকেরা ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করে।
তিনি বলেন, ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমিক মেহনতিরা আরও ক্ষমতাহীন ও গরিব হয়েছে। সরকার শ্রমিকদেরকে কেবল উৎপাদন বাড়াতে বলে, কিন্তু তাদের অধিকার দেয় না।কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনে শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত ও বঞ্চিত। রাষ্ট্র-রাজনীতিতেও শ্রমজীবী মেহনতীদের ভুমিকাকে দাবিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে শ্রমজীবী-মেহনতিদের বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পাশাপাশি তিনি অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি, রেশনিং ব্যবস্থা ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তোপখানা রোডে মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, খেতমজুর ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক আকবর খান, বিপ্লবী পাদুকা শিল্প শ্রমিক সংহতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক কবি জামাল সিকদার, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সংগঠক এম ডি ফিরোজ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, সচেতন শ্রমিকশ্রেণি রাজপথে নেমে এলে রাজনীতির বর্তমান সমীকরণ পালটিয়ে দিতে পারে। নেতারা বিদ্যমান গণসংগ্রামের বিজয়ে শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে অগ্রণী ভূমিকা নেবার আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে শ্রমিকদের মে দিবসের র্যালি বিজয়নগর ও তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে।
এমএমএ/