গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেওয়া শুভ লক্ষণ নয়: বাংলাদেশ ন্যাপ
সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
গভীর রাতে সাধারণ পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একজন সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া কিসের লক্ষণ, প্রশ্ন দলটির।
বুধবার (২৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা ও দাবি ছিল গণতন্ত্র। সংবিধানেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করা হয়েছে। যদিও দেশে মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করতে নানা আইন সৃষ্টি করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য চরম হুমকি।
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রকৃত অর্থে শাসকগোষ্ঠী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা মুখে বললেও উল্টো তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিপক্ষেই নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন।
শাসকগোষ্ঠী ভুলে যান গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের হাত পা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয়। গণতন্ত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি চেতনা, একটি স্বপ্ন ও একটি দাবি। গণমাধ্যম কর্মীদের গভীর রাতে তুলে নিয়ে গণতন্ত্রকে ব্যহত করার চেষ্টা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী।
অবিলম্বে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, শাসকগোষ্ঠীকে মনে রাখতে হবে সাংবাদিকের কলম যত মুক্ত হবে, সমাজ তত বেশি উপকৃত হবে। স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রই যদি মূল প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তখন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ আরও বেশি সংকটে পড়তে বাধ্য।
নেতৃদ্বয় বলেন, গণতান্ত্রিক-শোষণমুক্ত মানবিক সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে এবং বর্তমানেও আমরা দেখছি সমাজের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি-অসামঞ্জস্য সংবাদমাধ্যমগুলো তুলে ধরছে। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের এমন আচরণের কারণে দিনদিন কার্যকর গণমাধ্যমের সংখ্যা কমে আসছে।
গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাবার ঘটনা এ দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরার বিষয়গুলো অনেক বেশি কমে আসতে বাধ্য হবে সংবাদমাধ্যমে।
এমএইচ/এমএমএ/