‘আওয়ামী দুঃশাসন থেকে দেশের জনগণ মুক্তি চায়’
আওয়ামী দুঃশাসন থেকে আমরা মুক্তি চাই, দেশের জনগণ মুক্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সকল দ্রব্যমূল্য। সাধারণ জনগণ একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। ভালো আছে গুটি কয়েক দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, সরকার দলীয় লুটেরা রাজনীতিবিদ ও দখলদার-মজুতদার ব্যবসায়ীরা।’
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গণফোরাম চত্বরে গণ-সমাবেশ করে গণফোরাম-বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্টু এসব কথা বলেন। গণ-সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভালো নেই। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স রিজার্ভ ফান্ড থেকে চুরি করে দেশের বাইরে পাচার করছে। আমরা সাধারণ মানুষ লুটপাট ছাড়া কিছুই পাই না। এই দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে এই অবৈধ সরকারকে হটাতে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে জনগণ অর্থনৈতিক মুক্তি এবং ভোটাধিকার ফিরে পাবে। আজ দুর্নীতি বিরোধী গণ-সমাবেশে এই আমাদের শপথ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী বলেন- আমাদের চাওয়া জনগণের অধিকার আদায়। বিশেষভাবে জনগণের ভোটাধিকার আদায় যে সরকার জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে বাধা দেয় তারা গণতন্ত্র বিরোধী সরকার। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে এদেশের জনগণ নির্বাচনে যাবে না। জনতার পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সংগ্রাম চলবে।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সবকিছুতে দখলের রাজনীতি শুরু করেছে অবৈধ আওয়ামী সরকার। সর্বশেষ এই জাতি দেখেছে কীভাবে সুপ্রিম কোর্ট দখল করেছে। আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীদের দিকে তাকালে দেখি কতগুলো দানব-দৈত্য যারা দেশটাকে ছারখার করে দিচ্ছে। দানব-দৈত্য বিনাষের জন্য গণফোরাম ও পিপলস পার্টি রাজপথে নেমেছে। সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে চলবে।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব আব্দুল কাদের বলেন, এই সরকার বলে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে কিন্তু বাস্তবতা হলো টিসিবির লাইনে ভোর চারটা থেকে দাড়িয়ে থাকে সাধারণ মানুষ একটু কম দামে কেনার জন্য। শেয়ারবাজার, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য এই সরকার দায়ী। অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিকুর রউফ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলীনূর খান বাবুল, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ মির্জা হাসান, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. নাছির হোসেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পাদক রনজিত শিকদার, ছাত্র সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম.এ. কাদের মার্শাল, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ জাহান সুমনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রণো, প্রেসিডিয়াম সদস্য- মোস্তফা কামাল, নাজমা আক্তার, রানি শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল এবং জসিম উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এমএইচ/এমএমএ/