‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে একতরফা ভোট হয়েছে’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে একতরফা ভোট হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে নারকীয় কাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অসংখ্য আইনজীবী আহত হয়েছেন। হাজার হাজার পুলিশ দিয়ে আইনজীবীদের বের করে দিয়ে একতরফা ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যদিও সুপ্রিম কোর্টে যে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হলো সেই ঘটনা কিন্তু আজকে নয়। ১৯৭৩ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সেদিন ডাকসু থেকে ব্যালট বক্স ছিনতাই করা হয়েছিল। কার নেতৃত্বে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছিল সেটা মানুষ জানে। আমরা দেখেছি ১৯৭৩ সালে প্রথম ব্যালট বক্স ছিনতাই এবং নির্বাচনের রেজাল্ট পাল্টে দেওয়ার সংস্কৃতি এ দেশে চালু হয়েছিল।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতীকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ প্রতীকী অনশনের আয়োজন করেছে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
বরকত উল্লাহ বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের প্রিয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া গত ৫ বছর ধরে কারান্তরীণ আছেন। যে ২ কোটি টাকা নিয়ে ওনাকে জেল দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা ব্যাংকে আজ ১০ কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার চেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এখন পর্যন্ত নাই। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৩টি আসনে ভোট করেছেন। কিন্তু কোনো আসনে তিনি কখনো পরাজিত হন নাই। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি প্রত্যেকটি আসনে জয়লাভ করেছেন।
প্রতীকী অনশনে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, যুগ্ম সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি