বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে একতরফা ভোট হয়েছে’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে একতরফা ভোট হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে নারকীয় কাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অসংখ্য আইনজীবী আহত হয়েছেন। হাজার হাজার পুলিশ দিয়ে আইনজীবীদের বের করে দিয়ে একতরফা ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যদিও সুপ্রিম কোর্টে যে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হলো সেই ঘটনা কিন্তু আজকে নয়। ১৯৭৩ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সেদিন ডাকসু থেকে ব্যালট বক্স ছিনতাই করা হয়েছিল। কার নেতৃত্বে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছিল সেটা মানুষ জানে। আমরা দেখেছি ১৯৭৩ সালে প্রথম ব্যালট বক্স ছিনতাই এবং নির্বাচনের রেজাল্ট পাল্টে দেওয়ার সংস্কৃতি এ দেশে চালু হয়েছিল।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতীকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ প্রতীকী অনশনের আয়োজন করেছে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।

বরকত উল্লাহ বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের প্রিয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া গত ৫ বছর ধরে কারান্তরীণ আছেন। যে ২ কোটি টাকা নিয়ে ওনাকে জেল দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা ব্যাংকে আজ ১০ কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার চেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এখন পর্যন্ত নাই। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৩টি আসনে ভোট করেছেন। কিন্তু কোনো আসনে তিনি কখনো পরাজিত হন নাই। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি প্রত্যেকটি আসনে জয়লাভ করেছেন।

প্রতীকী অনশনে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, যুগ্ম সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

ভারতে স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেসার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক

ছবি: সংগৃহীত

নিজের স্ত্রীকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে খণ্ডিত মরদেহ গুম করতে প্রেসার কুকারে রান্না করার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। মূলত স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ গুম ও নিজের অপরাধ ঢাকতেই পৈশাচিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন তিনি।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ভারতের সাবেক সেনাসদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হায়দরাবাদের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে এবং মৃতদেহকে একাধিক টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম গুরু মূর্তি।

স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে হত্যাকাণ্ডের এই কাহিনি বর্ণনা করেন ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। তার বর্ণিত দাবিগুলো যাচাই করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ভেঙ্কটা মাধবী। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে নিহত ওই স্ত্রীর নাম ভেঙ্কটা মাধবী। ৩৫ বছর বয়সী এই নারী গত ১৬ জানুয়ারি নিখোঁজ হয় বলে জানায় তার পরিবার। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর তারা তার স্বামীকে সন্দেহ করে। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, স্ত্রীকে হত্যার পর লোকটি মরদেহ বাথরুমে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে এবং প্রেসার কুকারে মরদেহের এসব অংশগুলো সিদ্ধ করে।

তারপর তিনি মরদেহের হাড়গুলোকে আলাদা করেন এবং হামানদিস্তা ব্যবহার করে সেগুলো গুঁড়ো করার পর আবারও সেদ্ধ করেন। এভাবে তিন দিন ধরে একাধিক রাউন্ড মাংস এবং হাড় রান্না করার পরে অভিযুক্ত ওই লোকটি সেগুলো প্যাক করে মিরপেট লেকে ফেলে দেয় বলে জানা গেছে।

এনডিটিভি বলছে, অভিযুক্ত গুরু মূর্তি ভারতের একজন সাবেক সৈনিক এবং বর্তমানে তিনি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে (ডিআরডিও) নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিযুক্ত আছেন।

গুরু মূর্তি ও ভেঙ্কটা মাধবী দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে যাদের একটি ছেলে এবং অন্যটি মেয়ে। জানা গেছে, দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এছাড়া কেন এবং কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে

ফিদা হুসেনের চিত্রকর্ম জব্দের নির্দেশ  

ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। ছবিঃ সংগৃহীত

দিল্লির একটি আদালত ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের দুটি বিতর্কিত চিত্রকর্ম জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, চিত্রকর্মগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

সোমবার পাতিয়ালা হাউস কোর্ট পুলিশকে চিত্রকর্মগুলো জব্দ করার অনুমতি দেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত ওই চিত্রকর্ম দুটি হিন্দু দেব-দেবীকে নগ্ন রূপে চিত্রিত করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পীর ১০০টিরও বেশি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছিল। এক বিবৃতিতে গ্যালারিটি জানায়, তারা আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষ নয় এবং বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে।

আইনজীবী অমিতা সচদেবা ৪ ডিসেম্বর চিত্রকর্ম দুটি গ্যালারিতে দেখে ছবি তোলেন এবং পূর্ববর্তী অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ৯ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর ১০ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে গ্যালারিতে গেলে দেখতে পান চিত্রকর্ম দুটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গ্যালারি কর্মকর্তারা তখন দাবি করেন, তারা কখনোই চিত্রকর্মগুলো প্রদর্শন করেননি।

অমিতা সচদেবা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের আবেদন করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে জানায়, প্রদর্শনীটি ব্যক্তিগত স্থানে আয়োজন করা হয়েছিল এবং এটি শুধু শিল্পীর মৌলিক কাজ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ছিল।

মকবুল ফিদা হুসেনকে ‘ভারতের পিকাসো’ বলা হতো। তাঁর চিত্রকর্ম বহুবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০০৬ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ চিত্রকর্মের জন্য তাঁকে অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ওই চিত্রকর্মে এক নগ্ন নারীকে ভারতের মানচিত্রের রূপে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বিতর্কের মুখে হুসেন দেশ ছেড়ে লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করেন এবং ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

২০০৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হুসেনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। আদালত বলেন, হুসেনের চিত্রকর্ম ভারতীয় প্রতীক ও ইতিহাসে প্রচলিত নগ্নতার ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বহু শিল্পী ও সমালোচক মনে করেন, ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অক্টোবরে বোম্বে হাইকোর্ট এফএন সাউজা ও আকবর পাদামসির শিল্পকর্ম ‘অশ্লীল’ বলে কাস্টমস বিভাগের জব্দের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন। আদালত রায় দেন, প্রতিটি নগ্ন চিত্রকর্ম অশ্লীল নয়।

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  

ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং দেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি।

এক বিবৃতিতে কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১৬, পাকিস্তানের ৩, মিশর ও সুদানের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃদের নথিপত্র ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেসার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক
ফিদা হুসেনের চিত্রকর্ম জব্দের নির্দেশ  
মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  
রমজানের খেজুর ও ছোলা কিনতে হিমশিম খেতে পারে সাধারণ মানুষ  
চুরির টাকা ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  
ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  
এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  
ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল