মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ: মির্জা ফখরুল

নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে ‘বিএনপি কোনো ছাড় দেবে না’ বলে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা আর ছাড় দেব না, এদেশের মানুষের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমার কথা বলছি না। চলেন না বের হই এক সঙ্গে। দ্যাট গো-আউট। টক টু দ্য পিপলস, ফারমার্স, রিকশাপুলার্স। নিরপেক্ষভাবে চলেন, আপনি ইনভেস্টিগেশন করেন-দেখেন মানুষ কী বলে।’

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল আমাদের অনির্বাচিত স্বঘোষিত, প্রবল প্রতাপশালী, অহংকারী, দাম্ভিক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নো প্রেসার উইল ওয়ার্ক অন মি। তার ওপর কোনো চাপই কাজ করবে না। এখানেই বোঝা যায় তার (প্রধানমন্ত্রীর উক্তিতে) এদেশের প্রতি, এই মানুষের প্রতি তার যে কোনো দায়িত্ব নেই, তার যে সন্মান নেই, তার যে কোনোরকমে জনগণের ভবিষ্যত নিয়ে এই রাষ্ট্রকে একটা সত্যিকার অর্থে কার্যকর রাষ্ট্র করার চিন্তা তার নেই।’

চাপ কেনো পড়ছে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে গত দুইটা নির্বাচন তারা করেছেন সম্পূর্ণভাবে একতরফাভাবে তাদেরকে ক্ষমতায় বসানো জন্য যত রকমের ভোট জালিয়াতি,যত রকমের কারচুপি, যত রকমের সন্ত্রাস, সেই সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া বাধা দিয়ে ভোট কেন্দ্রে শূন্য করে তারা ফলাফল ঘোষণা করে বেআইনভাবে ক্ষমতায় গেছেন।’

যখন আবার নির্বাচন আসছে তখন তারা দেখছেন যে, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। সত্যিকার অর্থে যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এই কারণে তারা যেটা করছেন আগে থেকেই একটা অবস্থা তৈরি করছেন সেই অবস্থাটা হচ্ছে যে, আমাদের দেশের নির্বাচনের ব্যাপারে কেউ বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করবে না, কেউ কথা বলবে না এবং নির্বাচনটা আমাদের মতোই করছি এবং বিদেশীরা যারাই যাচ্ছে তারাই বলছে যে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই।

সরকার বলছে যে, না সব ঠিক আছে তো। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে, তারা ফ্রি যা-খুশি তাই করতে পারবে। এই যে গতকালও একজন বৃটিশ মন্ত্রী দেখা করতে গেলেন, এর আগেও একজন গেলেন তাদের উনি (প্রধানমন্ত্রী) একই কথা বলছেন।

সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সত্যের অপলাপ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে সংলাপের ফল কী? আমাদেরও প্রশ্ন ‘হোয়াট ওয়াজ দ্য রেজাল্ট’।

প্রধানমন্ত্রী সকলের সামনে মিটিংয়ে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। পুলিশ আর গ্রেপ্তার করবে না, পুলিশ কোনো মামলা দেবে না, কাউকে গ্রেফতার করা হবে নির্বাচন পর্যন্ত।

তার বক্তব্যের তিনদিন পর থেকে সারাদেশে পুলিশি নির্যাতনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের তারা সব পালিয়ে গেছে। ঘরে থাকতে পারেনি, রাস্তায়ও থাকতে পারেনি। আমি বিএনপির মহাসচিব আমি আমার এলাকায় প্রথম গিয়ে ঢুকেছি। আমি যে এলাকায় গেছি সেখানে আমার গাড়ির উপরে আক্রমণ হয়েছে, আমার কনভয়ের উপরে আক্রমণ হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। নির্বাচনের ৭/৮ দিন আগ থেকে সেখানে নতুন নতুন প্লট তৈরি করা হয়েছে। তারা (ক্ষমতাসীনরা) যে নির্বাচনী অফিস তৈরি করেছিল সেগুলো তারা নিজেরাই আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু আমার এলাকায় নয়, সারা দেশে সব জায়গায় করা হয়েছে। এসবের পরও আজকে যদি শেখ হাসিনা বলেন যে, হোয়াট ওয়াজ দ্য রেজাল্ট। রেজাল্ট তো ইউ নো হোয়াট হ্যাভ ইউ ডান।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারপরে কী করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) আশা করেন, তিনি সরকারে থাকবেন আর দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করবে। একা বিএনপি তো নয়, আজকে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো কেন বলছে যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। এমনকি সিপিবি পর্যন্ত বলেছে যে, নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। এই বিষয়গুলো ‍যখন তিনি বলেন, তথন তিনি চূড়ান্তভাবে সত্যের অপলাপ করেন। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেন, জনগনকে বিভ্রান্ত করেন এবং তিনি একটা প্রচণ্ড রকম দাম্ভিকতায় ভুগছেন যে, তিনি গণতন্ত্রের যে ব্যাসিক কথা সেই ব্যাসিক কথাগুলো থেকে উনি বাইরে চলে যাচ্ছেন। আমরা তো আগে বলেছি যে, তার সাথে সংলাপ করব। তিনি তো কথাই রাখেন না। আমরা ডায়ালগের কথা সেজন্য বলি নাই।

তিনি বলেন, যারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে মধ্যে পুরিয়ে আটকিয়ে রাখে তাদের সঙ্গে আমরা কি সংলাপ করব।ওই মামলায় প্রত্যেককে ৭ দিনের মধ্যে জামিন দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে এখন পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়নি।

সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আমার কথা খুব পরিস্কার। এত যদি সাহস থাকে আপনাদের, এতই যদি উন্নয়ন করে থাকেন, এতই যদি জনগণের ভালোবাসা থাকে আপনি পদত্যাগ করেন এবং একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টকে দায়িত্ব দেন-নির্বাচন হোক। যে আসবে আমরা মাথা পেতে নেব। এসব কথা (গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য) গুলো মানুষ এখন খায় না। নতুন কথা বলতে বলেন। যদি গণতন্ত্র দিতে চান সত্যিকার অর্থে, যদি সিনসিয়ার হন প্রথমে পদত্যাগ করেন, একটা কেয়ারটেকার গভমেন্ট দেন, তারপরে কেয়ারটেকার গভমেন্ট সব্ দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটা নির্বাচন কমিশন করবে, সে নির্বাচন করবে।

কেয়ারটেকার গভমেন্ট কীভাবে করবে তার পথ বাতিয়ে দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘কেয়ারটেকার গভমেন্ট কীভাবে করবে? আলোচনা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। তাহলেই হয়ে যাবে। ওবায়দুল কাদের সাহেব কাল বলেছেন যে, কেয়ারটেকার গভমেন্ট চিন্তাও করবেন না। এটা এখন চলবে না। তা ২০০৬ সালে কেয়ারটেকার গভমেন্টের সংস্কার প্রস্তাব আপনারাই পার্লামেন্টে দিয়েছিলেন। আমাদের কাছে কফি আছে তো। সেইমথিং এখন আমরা যেটা বলছি, ওরা একই কথা বলেছে তো।

২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে সময়ে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘এটা মিথ্যাচার। আমি নাম বলব না, এটা সৌজন্যমূলক নয়। কত নাম কত টাকা দিয়ে কে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পায়, কত টাকা দিয়ে কে মন্ত্রীত্ব পায় এগুলো আমরাও জানি। বাংলাদেশে এতটুকু দেশ। আমরা স্থায়ী কমিটি ৭/৮ দিন ধরে বৈঠক করে মনোনয়ন দিয়েছি। সেখানে এতটুকু কোনো রকমের সমস্যা ছিল না। প্রশ্ন আসে আমরা তিন জন করে দিয়েছি কেন? আমরা তিন জন করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের জন্য। আমরা জানি যে, আওয়ামী লীগ শয়তানি করতেই থাকবে। প্রার্থীকে বেআইনি ঘোষণা করবে, উপযুক্ত নয় ঘোষণা করবে, ট্রাইব্যুনাল থেকে আউট করে দেবে সেজন্য আমাদেরকে বিকল্প প্রার্থী রাখতে হয়েছে।ওদের কি? আমরা তিন রাখি, ১০ জন রাখে তোমাদের কী?

নির্বাচন কমিশন সংলাপে ডাকলে আপনারা যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচন কমিশন কোন নির্বাচন কমিশন? যে নির্বাচন কমিশন কালকে (সোমবার) বলেছে যে, আমর কোনো দায় নেই যে, অন্যান্য দলগুলো এলো কি এলো না। এটাকে কি নির্বাচন কমিশন বলব? তার কি দায়-দায়িত্ব আছে, বলব?

আপনারা জনগণের কথা চিন্তা করে তো নির্বাচন কমিশনে যেতে পারেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা জনগনের কথা চিন্তা করেই তো এই দাবিগুলো বলছি। আমরা তো বলছি না, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাও। আমরা বলেছি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করো, একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করো। আমরা তো এখনই বলছি না যে, আমাদের আপনারা এখনই ক্ষমতায় বসিয়ে দেন। আমরা বলছি যে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে, সমানভাবে, সমান অধিকার নিয়ে করতে পারি-সেই জিনিসটা চাচ্ছি। ‘উই ওয়ান্ট এ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’। আপনি একদিকে আমার সমস্ত লোকদেরকে ধরে ধরে জেলে পুড়বেন, আপনি মিটিংয়ে মধ্যে আক্রমণ করবেন, মারবেন। আপনি শান্তির সমাবেশ করবেন আর আমাকে মারতে মারতে ঢুকাই দেবেন-এটা তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না।’

তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশটা কোথায়? বলেন। ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) জেলে রাখবেন। উনাকে ছাড়েন। মামলাগুলো সব প্রত্যাহার করেন। নির্বাচন পরিবেশ তৈরি করেন।তখন আপনি বলবে, এখন কেনো যাচ্ছেন না। তার আগে এ কথা আপনি বলতে পারেন না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট হয়। এই রকম একজন বিশাল মানুষের কণ্যা। আমরা কেউ বলি না বলি এটা তো সত্য কথা যে, শেখ মুজিবুর রহমান নিঃসন্দেহে এদেশের ওয়ান অব দ্য গ্রেটেস্ট সান। তার মেয়ে গোটা জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিল। উনি (শেখ মুজিবুর রহমান) ও দিয়েছিলেন ওই যে বাকশাল তৈরি করে। ওই যে বলি না-বডি কেমেস্ট্রিতে আছে আওয়ামী লীগের। ওরা লুট করবে, ওরা ভোগ করবে আর পায়ের তলে সাধারণ মানুষকে পিষে মারবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা’ সংস্কার কর্মসূচিতে উল্লেখ করেছি যে ভবিষ্যতে অবাধ নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করলে সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে। দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

দলমত জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেককে চলমান গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী সরকার অপরিণামদর্শী ভ্রান্ত নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে যে মহাবিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে; তা কাটিয়ে ওঠা পরবর্তী যেকোনো সরকারের পক্ষেই হবে এক বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশের স্বার্থ বিনষ্টকারী সকল চুক্তি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনসহ সকল কালো আইন বাতিল করা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য, বিকল্প ও মিশ্র-জ্বালানির সংস্থান করা হবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ খাতকে পুনর্গঠন ও টেকসই করে গড়ে তোলা হবে। কিন্তু তার আগে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত বর্তমান সরকারকে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় অবাধ ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পবিত্র রমজানে পূর্বের বৎসরগুলোর মতো এবারও এতিম ও আলেম ওলামাদের, পেশাজীবিদের, বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের ও বাংলাদেশে অবস্থিত কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হবে। আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই অনির্বাচিত, দুর্নীতি পরায়ণ ফ্যাসিষ্ট সরকারের দুর্নীতির খতিয়ান জন সম্মুখে উম্মোচন করার লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে

এ আর রহমান এবং মোহিনী দে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের সংসারের ডিভোর্সের ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। এ আর রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী গিটার বাদক মোহিনী দেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।

এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে টেনে নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন ছড়ায় পরকীয়ার কারণে উভয়ের ডিভোর্স হয়। এই গুঞ্জন নিয়ে রহমান কোনও মন্তব্য না করলেও, তার আইনজীবী এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে মোহিনী স্পষ্টই জানালেন, রহমান তার কাছে বাবার মতো।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মোহিনী। সঙ্গে লম্বা ক্যাপশন। মোহিনী জানান, ‘খুব অবাক লাগছে, চারিদিকে আমাকে আর রহমানকে নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা খবর রটেছে। সংবাদমাধ্যমে পুরো বিষয়টাকে নিয়ে যেভাবে জলঘোলা করা হচ্ছে, তা সত্যি ক্রাইমের পর্যায় পরে।'

মোহিনীর কথায়, ‘আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তার সঙ্গে কাজ করেছি। অকারণ কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’

মোহিনী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত।

দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।’

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।

বিয়ের এত বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর কিন্তু তা হল না।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত