বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপির ১১ মার্চ মানববন্ধনে নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (১১ মার্চ) সারা দেশের জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের সময় নির্ধারিত করা আছে বিএনপির।

বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনে সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়; ১১ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা সমন্বয় সাধন করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ব্যতীত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সকল নেতারা ও সাবেক সংসদ সদস্যগণ নিজ নিজ জেলা ও মহানগরে অংশগ্রহণ করবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বস্তরের জনগণ এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাকে কোনো জেলা ও মহানগরে:

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস।

ঢাকা জেলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান সালাউদ্দীন। মানিকগঞ্জ জেলা স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গাজীপুর জেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, গাজীপুর মহানগরে সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, মুন্সিগঞ্জ জেলা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রকিবুল ইসলাম বকুল, আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, অর্পণা রায় দাস, মহিলা আফরোজা আব্বাস, কাজী আবুল বাশার, অ্যাড. সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী, কাদের গণি চৌধুরী, ইঞ্জি মো. আফজাল হোসেন সবুজ, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সাদেক খান, শেখ রবিউল আলম রবি, আবু নাসের রহমতুল্লাহ, হাবিবুর রশিদ হাবিব, একরামুল হক বিপ্লব, মামুনুর রশিদ মামুন, রফিকুল ইসলাম রাসেল, কাজী রফিকুল ইসলাম (কাজী রফিক), আ ক ম মোজাম্মেল হক, ফরিদা ইয়াসমিন, অ্যাড. সাবেরা আলাউদ্দিন হেনা, সাঈদ সোহরাব, অ্যাড. কামরুল ইসলমা সজল, সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, মীর রবিউল ইসলাম লাভলূ, হাসান মামুন, শামসুজ্জামান সুরুজ, ফজলুর রহমান খোকন, আনোয়ার হোসাইন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, রাজীব আহসান, হেলাল খান, ইঞ্জি. ইশরাক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

ঢাকা মহানগর উত্তর

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর, কর্ণেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, আশরাফ উদ্দিন আহম্মেদ উজ্জল, ডা. রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, সুলতানা আহম্মেদ, দীপেন দেওয়ান, অ্যাড. জন গমেজ, অমলেন্দু অপু, ফিরোজ উজ-জামান (মামুন মোল্লা), নেওয়াজ হালিমা আরলী, জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন নসু, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ইঞ্জি. মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল, ইঞ্জি. এস এম গালিব, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু, খান রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আব্দুল মতিন, শেখ মো. শামীম, ওমর ফারুক শাফিন, মামুন হাসান, এস এম ওবায়দুল হক নাসির, আবু সাঈদ, অ্যাড. আরিফা জেসমিন, তাবিথ আউয়াল, হায়দার আলী লেলিন, মেহেরুন্নেছা হক, হাসান জাফির তুহিন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, এস এম জিলানী, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, জাকির হোসেন রোকন, হাজী মজিবুর রহমান, আব্দুর রহিম প্রমুখ।

কুমিল্লা বিভাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বরকত উল্লাহ বুলু, সায়েদুল হক সাঈদ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জয়নুল আবেদীন ফারুক, কুমিল্লা উত্তর জেলা মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর রাশেদা বেগম হীরা, চাঁদপুর জেলা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা,

ময়মনসিংহ বিভাগ: কিশোরগঞ্জ জেলা অ্যাড. ফজলুর রহমান, শরিফুল আলম, জামালপুর জেলা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ওয়ারেছ আলী মামুন, নেত্রকোনা জেলা নীলুফার চৌধুরী মনি, ময়মনসিংহ উত্তর-দক্ষিণ এবং মহানগরে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি আছে কর্মসূচি পালিত হবে না। শেরপুর জেলা হেলেন জেরিন খান।

চট্টগ্রাম বিভাগ: কক্সবাজার জেলা নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মহানগর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আব্দুল্লাহ আল নোমান, নোয়াখালী জেলা মো. শাহজাহান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মীর মো. নাসির উদ্দিন, ফেনী জেলা মাহবুবের রহমান শামীম, লক্ষীপুর জেলা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হারুন অর রশিদ, খাগড়াছড়ি জেলা এ এম নাজিম উদ্দিন, বান্দরবান জেলা বেলাল আহমেদ, রাঙ্গামাটি জেলা জালাল উদ্দীন মজুমদার।

বরিশাল বিভাগ: বরিশাল মহানগর বেগম সেলিমা রহমান, ভোলা জেলা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নাজিম উদ্দিন আলম, ঝালকাঠি জেলা এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরিশাল উত্তর জেলা অ্যাড. মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল দক্ষিণ জেলা অ্যাড. বিলকিস জাহান শিরিন, পটুয়াখালী জেলা এবিএম মোশাররফ হোসেন, বরগুনা জেলা আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, পিরোজপুর জেলা মাহবুবুল হক নান্নু প্রমুখ।

রাজশাহী বিভাগ: বগুড়া জেলা মিজানুর রহমান মিনু, পাবনা জেলা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহী মহানগর অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলা আব্দুল মান্নান তালুকদার, নওগাঁ জেলা হারুন-অর-রশিদ, নাটোর জেলা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী জেলা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সৈয়দ শাহীন শওকত, জয়পুরহাট জেলা ওবায়দুর রহমান চন্দন প্রমুখ।

রংপুর বিভাগ: ঠাকুরগাঁও জেলা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, রংপুর মহানগর আব্দুল হাই সিকদার, দিনাজপুর জেলা হাবিব-ঊন-নবী খান সোহেল, লালমনির হাট আসাদুল হাবিব দুলু, পঞ্চগড় জেলা ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, রংপুর জেলা সামসুজ্জোহা খান, কুড়িগ্রাম জেলা আনিসুজ্জামান বাবু, নীলফামারী জেলা আব্দুল খালেক, সৈয়দপুর জেলা অ্যাড. শফিকুল হক মিলন, গাইবান্ধা জেলা সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। 

ফরিদপুর বিভাগ: রাজবাড়ী জেলা জহুরুল ইসলাম শাহজাদা মিয়া, মাদারীপুর জেলা শামা ওবায়েদ, খন্দকার মাশুকুর রহমান, ফরিদপুর জেলা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

খুলনা বিভাগ: ঝিনাইদহ জেলা শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা মহানগর এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী, সাতক্ষীরা জেলা ড. মামুন আহমেদ, যশোর জেলা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, চুয়াডাঙ্গা জেলা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, খুলনা জেলা আজিজুল বারী হেলাল, কুষ্টিয়া জেলা মোঃ হারুন অর রশিদ, মাগুরা জেলা জয়ন্ত কুমার কুন্ড, বাগেরহাট জেলা অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল, নড়াইল জেলা এম এ মালেক, মেহেরপুর জেলা আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।

সিলেট বিভাগ: হবিগঞ্জ জেলা ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর খন্দকার আবদুল মোক্তাদির, সিলেট জেলা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেল আলাল, মৌলভীবাজার জেলা আরিফুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়; জাতীয় নির্বাহী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ জেলার কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবেন এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ কর্মসূচি সফল করতে সমন্বয় করবেন।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়