চলতি অধিবেশনে আইন পাসের সর্বাত্মক চেষ্টা: কাদের
যে সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন পাস হয় সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন পাস হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে ভিন্ন কোন প্রক্রিয়া নেই, অথবা আইন পাসের কোন ম্যাজিক কার্ড নেই। আইন আইনের নিয়মানুযায়ী হবে। কাম এন্ড সি নাথিং ইজ ইম্পসিবল। বিকল্প কোনো দফা নিয়ে ভাবার অবকাশই নেই।’
চলতি সংসদ অধিবেশনেই আইনটি পাস হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হবে’।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু সায়েম খান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনের বিকল্প কোনো বিধান নেই। যে প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে অন্যান্য আইন পাস হয়, একই প্রক্রিয়ায় এই আইনও পাস হবে। এই ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র কোন ব্যত্যয় ঘটবে না, করা হবে না।
সংসদ অধিবেশন চলমান আাপনারা বলছেন বিশেষ ধরণের আইন তাহলে এই সংসদে কি আইনটি পাস হওয়ার পথ তৈরি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হবে। যেহেতু এটা জনদাবি। ৫০ বছর আগে এধরনের একটা আইন পাস হওয়ার দরকার ছিল জাতীয় স্বার্থে। আগে হয়নি বলে এখন কেন হবে না? প্রক্রিয়া তো আছে। আইনটির প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। আমরা ৫০ বছরে তো করতে পারিনি। দুইবার ব্যর্থ হয়েছি, তৃতীয়বার তো হয়েও যেতে পারে। চেষ্টাটা কেন অব্যাহত রাখব না?’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নতুন আইনে হবে কি না? জানতে চাইলে বলেন, আইনটা যদি চূড়ান্ত হয়ে যায় তাহলে এর অধীনেই হবে। সম্ভব কি না সেটা আইনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে প্রক্রিয়া বা ধাপ সেগুলো অবলম্বন করার পর বোঝা যাবে। আইন যেভাবে হয় সেভাবেই হবে। যেভাবে আইন পাস হয় গণতান্ত্রিক সংবিধানে। আওয়ামী লীগ সাংবিধানিকভাবে চাচ্ছে আইনটা হোক। সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসএম/এমএমএ/