সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘পিলখানা ট্র্যাজেডিতে দেশের সার্বভৌমত্ব মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল ও দেশের সামরিক বাহিনীকে মেধাশূন্য করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে ২০০৯ সালে পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেন, ওই ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দায়ী। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস ও জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হোক।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ সেনা দিবস‘ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

সভায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে ১২ দলীয় জোট।

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও এসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করীম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, ১২ দলীয় জোটের নেতা মুফতি জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, হান্নান আহমেদ বাবলু, রফিকুল ইসলাম মিন্টু, মিজান পাটোয়ারী, চাষী এনামুল হক, মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, এমএ পাশা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশকে পঙ্গু বানানো। এই হত্যাকাণ্ড ছিল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সেদিনের সেই নারকীয় ঘটনার মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। সেদিন শুধু চৌকষ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কুশীলব কারা ছিল জাতি আজও জানতে পারেনি। তাদের কেনইবা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো না? জাতি সেটা জানতে চায়।

তারা বলেন, দেশে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আলেম ওলামা এবং অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যাতে কোনো ভোট ডাকাতির সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, পিলখানার ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আজকে সেই ঘটনা নিয়ে কথা বলা অত্যন্ত কষ্টকর। আজকেও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের মন্ত্রীদের কেউ বলে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। কেউ বলে পারবেন না। আসলে তারা প্রলোভন দেখানো শুরু করেছে।

তিনি বলেন, দেশের চলমান সংকট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ১২ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করবে। এজন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে। সেই সক্ষ্যে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পিলখানায় যা ঘটেছিল তা নির্মম হত্যাযজ্ঞ। সেই ঘটনা ৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, এরআগে ২০০০ সালের দিকে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বড়ইবাড়িতে বিএসএফ ও তৎকালীন বিডিআর এর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল। সেসময় ১৬/১৭ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। যা ছিল বিএসএফের পরিকল্পিত ঘটনা।

তিনি বলেন, সেসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র অনেক হুমকি দিয়েছে। তারা পিলখানা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিডিআরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু পরবর্তী সরকার আ ল ম ফজলুর রহমানকে চাকুরিচ্যুত করেছে। ওই যে বিএসএফ পরাজিত হয়েছে তার কারণে বিএসএফ ক্ষুব্ধ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পিলখানা হত্যকাণ্ড ঘটতে পারে। এটা আমরা ব্যক্তিগত মূল্যায়ন।

সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার করব। সেদিন কেউ পার পাবে না। সেই ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার ও ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করব। আমরা পরিবর্তন চাই। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই। কারণ বর্তমান সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। তরুণ সমাজকে নাস্তিক বানানোর জন্য কাজ করছে সুপরিকল্পিতভাবে। আসুন এই সরকারের পতনের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে শামিল হই।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, পিলখানার নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। সেইসাথে প্রতিবেশী দেশও দায় এড়াতে পারে না। কেনো সেখানে মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক সেদিন গিয়েছিল? সেই জবাব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। আজকে কার কাছে আমরা বিচার চাইব? আমরা তাদের পতন চাই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আমরা যেন ভারত শাসিত রাজ্যে বাস করছি? আজকে ৯৫ বার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট দাখিল পেছানো হয়েছে। এটা কেনো?

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নির্মমভাবে শহীদ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেদিনের ঘটনা ঘটেছে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেই সেদিনের বর্বর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। অধিকার আদায়ে বিএনপি সহ আমরা রাজপথে আছি। আসুন সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। এটা সিকিম নয় ভূটান নয়, এটা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার স্বাধীন বাংলাদেশ।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে

ছবি: সংগৃহীত

বিপিএল টি-২০ মিউজিক ফেস্ট উপলক্ষে রাজধানীর কয়েকটি সড়কে আজ যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল টি-টোয়েন্টি মিউজিক ফেস্ট সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য সোমবার স্টেডিয়াম ও মিরপুর-১০ গোলচত্বর এলাকায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচলের জন্য নির্দেশাবলী অনুসরণের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নিদর্শনাগুলো হলো-

১. মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১০, ১১, ১২ ও ১৪ অভিমুখে চলাচলকারী যানবাহনসমূহ সনি সিনেমা হলের পাশ দিয়ে চিড়িয়াখানা সড়ক ব্যবহার করে রাইনখোলা ক্রসিং হয়ে প্রশিকা মোড় ক্রসিং সড়ক ব্যবহার করবে।

২. মিরপুর-১২ থেকে মিরপুর-১০ গোলচত্বর সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমকারী যানবাহনসমূহ অরিজিনাল-১০ হয়ে ডানে মোড় নিয়ে প্রশিকা মোড় ক্রসিং সড়ক ব্যবহার করবে।

৩. আগারগাঁও হয়ে মিরপুর-১০ গোলচত্ত্বর দিয়ে মিরপুর-১ ও মিরপুর-১২ অভিমুখে চলাচলকারী যানবাহনসমূহ মিরপুর-১০ গোলচত্ত্বর পরিহার করে আগারগাঁও হতে বামে মোড় নিয়ে শ্যামলী শিশু মেলা-টেকনিক্যাল মোড়-সনি সিনেমা হল ক্রসিং হয়ে চিড়িয়াখানা সড়কের রাইনখোলা ক্রসিং ব্যবহার করবে।

অনুষ্ঠান চলাকালে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে ডিএমপি।

Header Ad
Header Ad

৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের শীর্ষে থাকা দলটি আরও একবার প্রমাণ করল তাদের সামর্থ্য। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে স্বাগতিকদের ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করেছে তারা।

প্রথমার্ধের দাপট:
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লিভারপুল। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই ৮টি শট নেয় তারা। এর ফল আসে ২৩তম মিনিটে। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের দারুণ ক্রস থেকে ডাইভিং হেডে প্রথম গোলটি করেন লুইস দিয়াস।

৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাক আলিস্তের। অ্যান্ডি রবার্টসনের ক্রসে সোবোসলাই এবং টটেনহ্যামের এক খেলোয়াড়ের মধ্যে গোলমুখে বল আটকে গেলে সেটি জালে পাঠান আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।

৪১তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করে টটেনহ্যাম। মাক আলিস্তেরের বল হারানোর সুযোগ নিয়ে দূরপাল্লার শটে ব্যবধান কমান স্বাগতিকদের এক মিডফিল্ডার।

তবে বিরতির আগেই ফের দুই গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মাঝমাঠ থেকে সোবোসলাইয়ের সঙ্গে দারুণ সমন্বয়ে গোল করেন হাঙ্গেরির এই মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-১ গোলের ব্যবধানে।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও রোমাঞ্চ:
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও গোল উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। ৫৪তম মিনিটে টটেনহ্যামের ডিফেন্ডারদের ভুলে পাওয়া বল থেকে গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। এই গোলের মাধ্যমে চলতি লিগে ১৪ গোল নিয়ে তিনি শীর্ষে উঠে আসেন, পিছিয়ে পড়েন আর্লিং হলান্ড।

এরপর ৬১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সালাহ। সোবোসলাইয়ের দারুণ পাসে বক্সের ফাঁকা জায়গা থেকে অনায়াসে বল জালে পাঠান মিশরের এই তারকা।

টটেনহ্যামও চেষ্টা চালিয়ে যায়। ৭২তম মিনিটে দেইয়ান কুলুসেভস্কির ভলিতে ব্যবধান কিছুটা কমায় তারা। এরপর ৮৩তম মিনিটে ব্রেনান জনসনের পাস থেকে গোল করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড সোলাঙ্কি।

তবে লিভারপুলের জয়ের পথে বাঁধা হতে পারেনি স্বাগতিকদের এই দুই গোল। ৮৫তম মিনিটে লুইস দিয়াসের আরেকটি দারুণ গোল নিশ্চিত করে লিভারপুলের জয়।

পয়েন্ট তালিকার অবস্থা:
এই জয়ের ফলে লিভারপুল ১৬ ম্যাচে ১২ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। চেলসি ১৭ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, আর আর্সেনাল ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ১৭ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহ্যাম রয়েছে ১১ নম্বরে।

Header Ad
Header Ad

লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ইজতেমার জুবায়েরপন্থীরা তাদের নানা দাবি নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে লাইভ সম্প্রচার চলাকালে ডিবিসি নিউজের টাঙ্গাইলের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল তালুকদার ‘জুবায়েরপন্থী’ শব্দ উচ্চারণ করায় তার উপর হামলা করেছে আন্দোলনরত জুবায়েরপন্থীর অনুসারীরা।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্য সাংবাদিকরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এতে ডিবিসি নিউজের সাংবাদিকসহ ৬ সাংবাদিক আহত হয়েছে।

আহত সাংবাদিকরা হচ্ছেন- ডিবিসি নিউজের টাঙ্গাইলের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল তালুকদার, ভিডিও জার্নালিস্ট আশিকুর রহমান, চ্যানেল২৪ এর জেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা, চ্যানেল এস এর জেলা প্রতিনিধি অলক কুমার দাস, বিডি নিউজের জেলা প্রতিনিধি মোল্লা তোফাজ্জল হোসেন, এখন নিউজের জেলা প্রতিনিধি কাওছার আহমেদ।

জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জুবায়ের পন্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত টাঙ্গাইলে সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন মসজিদে তাদের কার্যক্রম বন্ধসহ নানা দাবিতে রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান জুবায়ের পন্থীরা। এসময় ডিসি ও এসপির অসদাচরণের প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জুবায়েরপন্থীরা।

এ ঘটনার ডিবিসি নিউজে লাইভ চলাকালীন সময়ে টাঙ্গাইলের রিপোর্টার সোহেল তালুকদার ‘জুবায়েরপন্থী’ বাক্য উচ্চারণ করায় আন্দোলনকারীরা তার উপর হামলা চালায়। এসময় অন্য সাংবাদিকরা এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা করে জুবায়ের পন্থীরা।

আহত সাংবাদিকরা বলেন, এ ঘটনায় আমরা হতভম্ব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জুবায়ের পন্থীরা সন্ত্রাসীদের মত সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে, এমন ঘটনায় জুবায়েরপন্থীর নেতৃবৃন্দ সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে বসে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান এবং জাড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ জেলা কর্মরত সাংবাদিকরা। অতিদ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা না হলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তারা ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত