শেষ হচ্ছে সংলাপ, সার্চ কমিটিতেই আস্থা
নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ইতি টানতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এবারের মতো আলোচনা পর্ব শেষ করবেন রাষ্ট্রপতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে এবারের ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির শেষ সংলাপ। এটি গত ২০ ডিসেম্বর সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল।
সংলাপ শেষে অল্প সময়ের মধ্যে একটি সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। সেই সার্চ কমিটি পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবেন। সেই প্রস্তাব থেকে রাষ্ট্রপতি যাকে বেশি যোগ্য মনে করবেন তাকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ করবেন।
এভাবে সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করেই কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে। সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে তা গঠনের কথা থাকলেও তা এখনো প্রণীত হয়নি।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দেওয়ার পর আবদুল হামিদও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল এখন তিন ডজনের বেশি। বর্তমান কমিশন গঠনে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। এক মাস ধরে ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
এবারও প্রায় এক মাস ধরে চলা এ সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৩২টি দলকে। ২৪টি দলের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা শেষ হয়েছে। বিএনপিসহ সাতটি দল সাড়া দেয়নি।
আওয়ামী সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মো আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
এসএম/এসএন