মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘পাহাড়ের সংকট রাজনৈতিক সমাধানের জন্যই জনসংহতি সমিতির জন্ম’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, যারা এই দলটি গঠন করেছিল তারা আজ বয়সের ভারে নুহ্য। রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সৃষ্টি। কাপ্তাই বাঁধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই পাহাড়ের তৎকালীন তরুণরা সংগঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করে তারা। এই দলটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করেছে যে, বাংলাদেশে বাঙালি ভিন্ন অপরাপর আদিবাসীদের স্বীকৃতি চেয়েছেন এবং সেটা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নয়। তারা সংবিধানের আওতার মধ্য দিয়েই এই স্বীকৃতি চেয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাইদ খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাত্বো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসা। সংহতি বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা প্রমুখ।

রাশেদ খান মেনন বলেন, জিয়া যখন পাহাড়ের সমস্যাকে সামরিক সমাধানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই জনসংহতি সমিতি সশস্ত্র আন্দোলনে গেল। বঙ্গবন্ধু পাহাড়ের সমস্যাকে সামরিক সমাধান চেয়েছেন এটা আমি মনে করি না। জিয়াউর রহমান পাহাড়ে কেবল ক্যান্টনমেন্ট বাড়াননি। বাঙালি অভিবাসীদেরকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে সামরিক প্রশাসনের আওতার মধ্যে রেখেই বসবাস করিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সব সময় রাজনৈতিক সমাধানে সচেষ্ট ছিল। এমনকি জেনারেল এরশাদের সময়ও তারা আলোচনা অব্যাহত রেখেছিল। কাজেই এখানেও তারা রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা চালিয়েছিল। সুতরাং পাহাড়ে সমস্যার পেছনে জনসংহতি সমিতির দিকে যে আঙুল তোলা হয় তা সঠিক নয়। এটাও জনসংহতি সমিতির প্রতি একটা অন্যায়।

জনসংহতি সমিতির লড়াই একার নয়, আমাদের সবার লড়াই দাবি করে সাম্প্রতিক সময়ের কুকি-চিন প্রসঙ্গে মেনন বলেন, সামরিক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে (কুকি-চিন) কেএনএফ নামের সংগঠনটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কেন হঠাৎ র‍্যাব, সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠল। তাহলে আগে নাইক্ষ্যংছড়িতে পাওয়া অস্ত্রের উৎস কোথায়? পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি চুক্তির ২৫ বছর ধরে চুক্তি বাস্তবায়নের আশা করছে এটাও তাদের রাজনৈতিক সমাধান খোঁজারই পন্থা। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে জাতীয় দল হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি একটি প্রাগ্রসর রাজনৈতিক দল।

প্রারম্ভিক বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, জনসংহতি সমিতির আন্দোলনকে বুঝতে হলে, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের সমাজব্যবস্থাকে বুঝতে হবে। আজকের এই দিনটি জুম্ম জনগণের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। জনসংহতি সমিতি পাহাড়ের সর্বসাধারণের দল। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, জুম্ম জনগণের অধিকার রক্ষার লড়াই থেকে জনসংহতি সমিতিকে শূন্য করা যাবে না। আমরা বহাল তবিয়তে থাকব। জনসংহতি সমিতি তার এই লড়াই চলমান রাখবে। সামনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি আত্মনিবেদিত রাজনৈতিক সংগঠন। এ দেশকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যেসব বিষয়াবলি জাতীয় জীবনে এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই দলটি। আমরা যখন সংবিধান প্রণয়নের কাজে হাত দিলাম তখনই আমরা দেখলাম, আমরা জাতীয়বাদের আতিশয্যে এমন একটা পদক্ষেপ নিলাম, যে পদক্ষেপ আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সংবিধানে বলা হলো, এ দেশের জনগণ জাতিতে বাঙালি। আমাদের ৭২-এর সংবিধান সে কথাই বলেছে। এ দেশটা শুধু বাঙালির নয়, বাঙালির বাইরে আরও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্যও।

লেখক ও সাংবাদিক আবু সাইদ খান বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে যে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়, সে লড়াইয়ের একপর্যায়ে আদিবাসীরাও যুক্ত হয়েছিল। সঙ্গত কারণে সে লড়াইটা বাঙালির জাতীয়তাবাদের আন্দোলন ছিল। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যারা শামিল হয়েছিল তাদের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়নি।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে দাবিগুলোকে নিয়ে জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়েছিল সেটার প্রথম সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেটাকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা যে সাধুবাদটা দিয়েছি সেটা এখন ধরে রাখা যাচ্ছে না।

সভাপতির বক্তব্যে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। নোংরা রাজনীতিকে সুষ্ঠু রাজনীতি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখবার জন্যই আমরা রাজনীতি করেছি। আমরা যুদ্ধ চাইনি। রাষ্ট্র আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। সেই যুদ্ধকে ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্যই আমরা যুদ্ধ করেছি। তারা যখন বুঝলেন পাহাড়ের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে তখনই আমরা চুক্তিতে উপনীত হই। আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্য লড়াই করিনি। বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই আমরা পার্বত্য চুক্তি করেছি। সেই চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাই।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য

রাশেদ রাজন (বামে) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি চারজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ হয়েছে জনসংযোগ দপ্তরে, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ রাজন) নিযুক্ত হয়েছেন। তার নিয়োগকে কেন্দ্র করে কিছু বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিযোগ তোলেন এবং তার অপসারণ দাবি করেন।

তবে এ বিষয়ে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি বলেন, এই নিয়োগে কোনো আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়নি। যারা এটা নিয়ে আলোচনা করছেন, তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন। এখানে কোনো কোটার প্রশ্ন নেই, কোনো সমন্বয়কের প্রশ্ন নেই। আমরা তাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছি। সেটা তারা পালন করতে পারলে থাকবে, না পারলে থাকবে না।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে উপাচার্য সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রয়োজন মনে করলে অর্ডিন্যান্সের ভেতরে পরিষ্কার আছে যে তিনি ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারেন। এ নিয়োগের বৈধতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে, তারা হয় লেখাপড়া জানে না অথবা না জেনে কথা বলছে। কাজেই এ বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।

তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় পরিষ্কার করি, এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক ভিত্তিতে শতাধিক লোক কাজ করছে। এটা একেবারে রুটিন ব্যাপার। কে কীভাবে কী করেছে, সে দায়-দায়িত্ব আমার নয়। আমি যে সময়টায় আছি, এ ছয় মাসের সময়ে স্বচ্ছতার বাইরে কোনোভাবে অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এদিকে অধ্যাপক নকীব উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে দুইজন, মেডিকেল সেন্টার ও জনসংযোগ অফিসে একজন করে মোট চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অ্যাডহক নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য জানান, চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রয়োজন অনুযায়ী একজন চক্ষু চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইসিটি সেন্টারের নতুন পরিচালক যোগ দিয়েছেন, ভর্তি পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণ করে একটি টিম গঠন করা হয়েছে, যেখানে দুজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডহক নিয়োগ স্থায়ী নয়; পারফরম্যান্স বিবেচনায় পরবর্তীতে স্থায়ী করার জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আইসিটি সেন্টারে নিয়োগ পাওয়া দুজন সম্পর্কে উপাচার্যের কোনো পূর্বপরিচয় নেই; পরিচালকই তাদের দক্ষ মনে করে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে না জেনে যে নয়েজ সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটি অনভিপ্রেত।

রাশেদ রাজনের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিষয়ে যে কথাটা বলা হচ্ছে, সেটা ডাহা মিথ্যা কথা। তাকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ চিন্তা ও যোগাযোগ দক্ষতার অভাবে এ ধরনের প্রশ্ন উঠছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অর্জন রয়েছে, কিন্তু প্রচার-প্রসার কম। তাই দ্রুত একজনকে বাছাই করা হয়েছে, যদিও আরও অনেক যোগ্য ব্যক্তি থাকতে পারেন। নবনিযুক্ত ব্যক্তি যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে থাকবেন, না হলে নয়। এতে কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেনি এবং এটি সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী হয়েছে। আমাদের দুইশোর বেশি অ্যাডহক নিয়োগ রয়েছে, এখন আমি প্রশ্ন রাখতে চাই— এই তিন-চারটি নিয়ে এত ভয়ংকর উত্তেজনা কেন?

সর্বশেষে উপাচার্য বলেন, এখানে কোনো কোটার প্রশ্ন নেই, কোনো সমন্বয়কের প্রশ্ন নেই। আমরা তাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছি। সেটা তারা পালন করতে পারলে, আমরা ঠিক কাজ করেছি। পালন না করতে পারলে, আমাদের কাজ ঠিক হয়নি।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী

স্ত্রী ও সন্তানসহ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী আগামী ১৭ মার্চ সিলেট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন। তিনি বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলছেন এবং ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের আসন্ন ম্যাচের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন।

জানা গেছে, ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি সিলেটে আসবেন হামজা। হবিগঞ্জে একদিন কাটিয়ে পরদিন বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে ঢাকা আসবেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও জাতীয় দল কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে হামজার আগমন সম্পর্কে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বাফুফে কর্মকর্তারা জানান, হামজার আগমন নিয়ে তারা বেশ কিছুদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হামজা তার পরিবারসহ সিলেটে আসার পরিকল্পনা করেছেন, যেহেতু তার পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জে। ইংল্যান্ড থেকে সিলেট আসার জন্য তিনি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ১৭ মার্চ সকালেই পৌঁছাবেন।

হামজাকে বিজনেস ক্লাস টিকিট প্রদান করবে বাফুফে এবং তার সাথে স্ত্রী ও সন্তানও আসবেন বলে জানা গেছে। হামজার সিলেটে আগমনের পর বাফুফে তার নিরাপত্তা এবং বরণ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেবে।

এদিকে, বাংলাদেশ ফুটবল দল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে আগামীকাল সৌদি আরব রওনা হবে। সেখানে ক্যাম্প শেষে ১৭ মার্চ রাতে ফুটবলাররা দেশে ফিরবেন। সৌদি আরবে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনাও রয়েছে, যার মধ্যে সুদানের সঙ্গে একটি ম্যাচ হতে পারে। বাংলাদেশ দল তায়েফে ক্যাম্প করবে এবং বাফুফে সৌদি আরবের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে মাঠ এবং হোটেল বিষয়ক কাজ করছে।

আজ সন্ধ্যায় কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বাফুফে সভাপতি, কোচ এবং ম্যানেজারের সাথে আজ দুপুরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন এবং ভারত ম্যাচের জন্য দলকে উৎসাহিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!

সালমান খান ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

তামিল পরিচালক অ্যাটলি কুমারের নতুন সিনেমা নিয়ে উত্তেজনা কমছে না। ‘জাওয়ান’-এর সফলতার পর এবার অ্যাটলি তাঁর পরবর্তী মেগাবাজেট সিনেমা নিয়ে আসছেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সালমান খানকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন তিনি।

তবে এখন জানা গেছে, এই সিনেমায় থাকছেন না সালমান খান। বরং, পরিচালক এবার তার জায়গায় দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘পুষ্পা ২’ তারকা মৌখিকভাবে সবুজ সংকেত দিলেও আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনও বাকি। শুটিং শিডিউল নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে পরিচালক-অভিনেতার। আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের মধ্যেই প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হবে পুরোদমে।

কিন্তু হঠ কেন সালমান খানকে বাদ দিতে হল? এ বিষয়ে জানা গেছে, পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে অ্যাটলি পরিচালিত এই সিনেমার প্রযোজনা করবে ডাকসাইটে তামিল প্রযোজনা সংস্থা সান পিকচার্স। যারা এই পিরিয়ড ড্রামার জন্য ৬০০ কোটির বাজেট নির্ধারণ করেছেন। আর সেই প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকেই নাকি আপত্তি উঠেছে।

সালমান খান-অ্যাটলি কুমার ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

প্রযোজক নাকি সালমানের ওপর মেগাবাজেট সিনেমার ভার ছাড়তে নারাজ। সম্ভবত ভাইজানের বিগত কয়েক বছরের বক্স অফিসের গ্রাফ দেখেই এমন সিদ্ধান্ত তাদের! আর সেই জন্যই আল্লু অর্জুনকে বেছে নিয়েছেন তারা। যে ‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দৌলতে একাই দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিকে ৩০০০ কোটির ব্যবসা দিয়েছিল।

চব্বিশ সালের শেষের দিকেই শোনা গিয়েছিল, অ্যাটলির সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন সালমান খান। বিগ বাজেট সিনেমার স্টারকাস্টে যে দক্ষিণী পরিচালক বড় চমক দেবেন, সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল তখন। ভারতীয় বিনোদুনিয়ার দুই মেগাস্টার রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের নামও শোনা গিয়েছে। তবে সালমান না থাকলেও দক্ষিণের এই দুই তারকাকে দেখা যাবে সিনেমায়।

‘জাওয়ান’ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলতেই গত দুই বছর ধরে অ্যাটলি মগ্ন নতুন সিনেমাটির চিত্রনাট্য নিয়ে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাকশন প্যাকড সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। গত বছর দিনরাত এক করে পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে এই মেগা বাজেট সিনেমার কাজ করছেন অ্যাটলি কুমার। চিত্রনাট্যে অতীত এবং বর্তমান দুই সময়কাল ধরা হবে।

জানা গেছে, অ্যাটলি চিত্রনাট্য এমনভাবে তৈরি করছেন, যেরকম পিরিয়ডিক গল্প আগে কোনওদিন সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। কাল্পনিক জগতের আঁধারে সিনেমাতে থাকবে রুদ্ধশ্বাস সব দৃশ্য। অ্যাটলির ফ্রেমে যোদ্ধার অবতারে চমক দেবেন আল্লু। যেহেতু অতীত-বর্তমান মিলিয়ে গল্প সাজানো হচ্ছে, তাই আপাতত চিত্রনাট্যে ঘষামাঝা করতে ব্যস্ত পরিচালক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য
স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী
অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার