বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিভক্ত গণফোরামের ১৫৭ সদস্যের কমিটি

ছবি : সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসনকে বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীণ অন্যতম নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি করে ভাগ হলো গণফোরাম। সুব্রত চৌধুরীকে নতুন এ কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মন্টুপন্থিদের কাউন্সিলের সাংগঠনিক সভা শেষে ১৫৭ সদস্যের কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

সন্ধ্যায় নির্বাচনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ। কমিটির নাম পড়ে শোনান অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক। সন্ধ্যায় দলীয় প্যাডে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক লতিফুল বারী হামিমের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৫৭ সদস্যের কমিটির নাম গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম ৭ সদস্যের নির্বাহী পরিষদে রয়েছেন, মোস্তফা মহসিন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসিন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ও আইয়ুব খান ফারুক। এ ছাড়া ২০ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী, ২৮ সদস্যের সম্পাদকমণ্ডলী এবং ৮৮ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন

১. বীর মুক্তিযুদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু
২. অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ
৩. সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী
৪. এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক
৫. এডভোকেট মহসিন রশিদ
৬. এডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের
৭. ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক
৮. এডভোকেট আনসার খান
৯. এডভোকেট ফজলুল হক সরকার
১০. রতন ব্যানার্জি
১১. এডভোকেট এনামুল হক চাঁদ
১২. মেজর আসাদুজ্জামান (অব.) বীর প্রতীক
১৩. ডা. মিজানুর রহমান
১৪. আতাউর রহমান
১৫. আব্দুল হাসিব চৌধুরী
১৬. খান সিদ্দিকুর রহমান
১৭. আবুল হাসনাত
১৮. আনোয়ার হোসেন
১৯. এডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা
২০. এডভোকেট হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদকমন্ডলী:
১. আইয়ুব খান ফারুক- সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
২. এডভোকেট মো: হেলাল উদ্দিন- যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
৩. লতিফুল বারী হামিম- যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
৪. রওশন ইয়াজদানী (ঢাকা) সাংগঠনিক সম্পাদক
৫. এডভোকেট তরিকুর রউফ (চট্টগ্রাম) সাংগঠনিক সম্পাদক
৬. বকসী ইকবাল (সিলেট) সাংগঠনিক সম্পাদক
৭. আলীনূর খান বাবুল (খুলনা) সাংগঠনিক সম্পাদক
৮. মামুনুর রশিদ মামুন (রাজশাহী)সাংগঠনিক সম্পাদক
৯. মীর্জা হাসান (রংপুর) সাংগঠনিক সম্পাদক
১০. এডভোকেট রায়হান উদ্দিন (ময়মনসিংহ) সাংগঠনিক সম্পাদক
১১. জাহাঙ্গীর হোসেন (বরিশাল) সাংগঠনিক সম্পাদক
১২. দফতর সম্পাদক - মো: আব্দুল হান্নান মাষ্টার
১৩. প্রচার ও প্রকাশনা - এডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম
১৪. তথ্য ও গণমাধ্যম - মুহাম্মদ উল্লাহ মধু
১৫. ত্রান ও সমাজ কল্যান - নাসির হোসেন
১৬. শিক্ষা - অধ্যাপক বরুন ভট্টাচার্য্য
১৭. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - সাইদুর রহমান
১৮. শিল্প ও বানিজ্য - ইকবাল জামাল জুয়েল
১৯. সাহিত্য ও সংস্কৃতি - আব্দুল হামিদ মিয়া
২০. আইন ও মানবাধিকার - এডভোকেট বিশ^জীৎ গাঙ্গুলী
২১. যুব ও ক্রীড়া - তাজুল ইসলাম
২২. আন্তর্জাতিক - গোলাম হোসেন আবাব
২৩. শ্রম - এডভোকেট মোশারফ হোসেন তালুকদার
২৪. কৃষি - আবদুল আউয়াল
২৫. মহিলা - নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা
২৬. ছাত্র - মো: সানজিদ রহমান শুভ
২৭. জলবায়ু ও পরিবেশ - রনজিৎ শিকদার
২৮. গবেষনা, পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষন-

সদস্য

১. শ্যামল কান্তি দাস (হবিগঞ্জ)
২. অহিদুল হক (মাগুরা)
৩. ময়নুল ইসলাম রাজা (গাইবান্ধা)
৪. মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু (গাইবান্ধা)
৫. এডভোকেট তুলিপ (নেত্রকোনা)
৬. আব্দুস্ সাত্তার পাঠান (কুমিল্লা)
৭. উজ্জল ভৌমিক (চট্টগ্রাম)
৮. মনসুর মাহমুদ খান (চট্টগ্রাম)
৯. রনজীৎ শিকদার (চট্টগ্রাম)
১০. হারুন-অর রশিদ (শেরপুর)
১১. হামিদুল হক (মাগুরা)
১২. শাহাবুদ্দিন শাবু (ঢাকা)
১৩. আতিয়ার রহমান (ঝিনাইদহ)
১৪. ফজলুল বারী ইন্টু (বগুরা)
১৫. শ্যামল কুমার সাহা (জয়পুরহাট)
১৬. ওয়াজিউল্লাহ্ মন্টু (রাজবাড়ী)
১৭. শফিকুল ইসলাম ভূইঞা (কুমিল্লা)
১৮. এডভোকেট নাজমুল হক পিন্টু (কিশোরগঞ্জ)
১৯. এডভোকেট মহসিন
২০. আমির হোসেন (বি.বাড়ীয়া)
২১. শহীদুল্লাহ ভূইঞা (ফেনী)
২২. অধ্যাপক মহব্বত খান (রংপুর)
২৩. মোশারফ হোসেন ঝিকু (ঢাকা)
২৪. হাবিবুর রহমান বুলু (ঢাকা)
২৫. মার্শাল কাদের (ঢাকা)
২৬. এরশাদ জাহান সুমন(ঢাকা)
২৭. কবিরুজ্জামান (ঝালকাঠি)
২৮. বেলায়েত হোসেন(পটুয়াখালি)
২৯. আজিজুর রহমান মজনু (কিশোরগঞ্জ)
৩০. আঃ হাকিম(কিশোরগঞ্জ)
৩১. শেখ শহীদুল ইসলাম (ঢাকা)
৩২. কুদরত উল্লাহ (পাবনা)
৩৩. কৃষিবীদ জাফর সাদেক (পাবনা)
৩৪. মশিউর রহমান বাবুল (ঢাকা)
৩৫. এডভোকেট আসাদুর রহমান
৩৬. শিবু প্রসাদ দাশ (সিলেট)
৩৭. রফিকুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও)
৩৮. কামাল উদ্দিন সুমন (ঢাকা)
৩৯. সায়ফুল আলম দুলাল (কুড়িগ্রাম)
৪০. এডভোকেট আব্বাস আলী (নওগাঁ)
৪১. রাশেদুল আলম লালু (ঝিনাইদহ)
৪২. আজাদ হোসেন (চাঁদপুর)
৪৩. ওমর ফারুক (কক্সবাজার)
৪৪. আজম রুপু (পটুয়াখালী)
৪৫. ইসমাইল স¤্রাট (নোয়াখালী)
৪৬. এডভোকেট দেবেন্দ্রনাথ রায় (রাজবাড়ী)
৪৭. এডভোকেট এমদাদুল হক (সিলেট)
৪৮. রিয়াদ হোসেন (পটুয়াখালী)
৪৯. আনোয়ার ইব্রাহীম (গোপালগঞ্জ)
৫০. রবিউল ইসলাম রবি (পঞ্চগড়)
৫১. রাজেস দাস জনি (এন. গঞ্জ)
৫২. হাজী আশ্রাফ বাবু (চাঁদপুর)
৫৩. আশিশ বড়–য়া
৫৪. মামুন প্রধান (এনগঞ্জ)
৫৫. গুলজার হোসেন (ঢাকা)
৫৬. গুলনাহার বেগম (ঢাকা)
৫৭. খন্দকার আনিসুর রহমান পিনু (ঢাকা)
৫৮. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ (এন.গঞ্জ)
৫৯. মিসেস সালমা আক্তার
৬০. খলিলুর রহমান ঝন্টু (ঢাকা)
৬১. মামুন (রাজশাহী)
৬২. ইউসুফ সিরাজী (সিরাজগঞ্জ)
৬৩. এরফান উদ্দিন আন্টু
৬৪. মাহফুজুর রহমান মাসুম
৬৫. অখিল কর্মকার
৬৬. আমিনুল ইসলাম
৬৭. নিজাম উদ্দিন
৬৮. শেখ মোঃ ইসমাইল আলী
৬৯. মতিউর রহমান (সুনামগঞ্জ)
৭০. নূরনবী
৭১. ফারুক হোসেন
৭২. সুলতান বাহাদুর (বরিশাল)
৭৩. ডাঃ ফজলুল কাদের(চট্টগ্রাম)
৭৪. শওকত আলী (চট্টগ্রাম)
৭৫. ইমাম হোসেন (ঢাকা)
৭৬. মোঃ আশরাফ হোসেন (সিলেট)
৭৭. মোঃ তরিকুল ইসলাম (সিলেট)
৭৮. কিশোরীপদ দেব শ্যামল(মৌলভীবাজার)
৭৯. আব্দুল্লাহ (ব্রাহ্মনবাড়িয়া)
৮০. আজহার হোসেন (শেরপুর)
৮১. শওকত আলী (চট্টগ্রাম)
৮২. আশরার আলী খান রুমী
৮৩. আতিক আজমী
৮৪. আবু জাফর শিহাব (হবিগঞ্জ)
৮৫. রাশেদ মিয়া
৮৬. আব্দুর রউফ (হবিগঞ্জ)
৮৭. তৌফিকুল ইসলাম (চাপাইনবাবগঞ্জ)
৮৮. প্রভাষক জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন

আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কামাল হোসেন এবং সিপিবি থেকে বেরিয়ে আসা সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালে ২৯ আগস্ট গণফোরাম গঠিত হয়। মানিক মারা গেলে আওয়ামী যুবলীগ থেকে আসা মন্টুকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গত বছর পঞ্চম কাউন্সিলের পর কামাল তার দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়া নির্বাচিত করার মাধ্যমে দলটির ভাঙনের সূচনা হয়। এরপর দুই অংশের মধ্যে বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। এক বছর টানাপড়েনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করলেন মন্টুপন্থিরা।

 

এপি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি