‘জনগণই নির্ধারণ করবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি’

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি আন্দোলনে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি আসবে কি না তা ভবিষ্যতে জনগণই নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার কর্মসূচি দিয়েছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা আবারও রাজপথে কর্মসূচি দেব।’
সামনে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি থাকবে কি না প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নাই। ভবিষ্যতে আসবে কি না এটা বলতে পারব না। প্রয়োজন বলে দেবে, প্রয়োজন বলে দেবে ভবিষ্যতে কী হবে? জনগণই বলে দেবে। জনগণ যদি বলে এখন হরতাল চাকা বন্ধ, তখন হরতাল চাকা বন্ধ হবে। জনগণ বলবে। আমরা তো বলছি, শান্তিপূর্ণ, একেবারে পিসফুল। আমরা সব সময় পিসফুল প্রোগ্রাম চাচ্ছি-আমরা বিশ্বাস করি এটাতে।’
হরতালের কর্মসূচির বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্যাটা ওই জায়গায়। এর আগে আমি অনেকবার বলেছি যে, আপনারা আন্দোলন বলতেই ওইটা (হরতাল-অবরোধ) বুঝেন। সমস্যাটা ওইটা আর কী- এটা ঠিক না। আপনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দেখেন। ওখানে কয়টি হরতাল হয়? হরতাল হয় না। আন্দোলন হয়। রাস্তায় লোক নামে, লাখ লাখ লোক হেঁটে যায়… ভারতজুড়ে প্রোগ্রাম করল কংগ্রেস। হাঁটল ১৪৯ দিন ধরে, হাঁটছে.. এগুলো তো আন্দোলন। আমরা যে কর্মসূচি করছি- এগুলো কি আন্দোলন না। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেখবেন একদিন জনমত এমন জায়গায় আসবে যে, তখন ওই হরতাল দিতে হবে না। ওরা এমনিতেই চলে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ওরা (সরকারি দল) তো অলিখিতভাবে, অঘোষিতভাবে হরতাল দেয়। আমরা যখন বিভাগীয় সমাবেশ করেছিলাম তখন তারা তিন দিন আগে থেকে হরতাল দেয়, সব বন্ধ করে দেয়, রাস্তাঘাট, বাস-ট্রাক, স্টিমার-লঞ্চসহ সব পরিবহন।’
১০ দফার চলমান আন্দোলন কোন পথে যাবে, কোন পর্যায়ে যাবে তা ভবিষ্যৎ বলে দেবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল, ভাঙচুর করেছিল সেটা আপনারা জানেন। তবে আমরা এটা মনে করি না, আমরা বিশ্বাস করি যে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাদেরকে পরাজিত করব।
একইসঙ্গে সম্প্রতি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আয়োজিত আলোচনা সভায় খসড়া ‘তথ্য সংরক্ষণ আইন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই বিষয়টি স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সভা মনে করে প্রস্তাবিত আইন স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মুক্ত ব্যবসার পরিপন্থী। বেআইনি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে একের পর এক নির্যাতনমূলক আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে দেশকে পুরোপুরি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
এমএইচ/এসজি
