সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিদায়ের প্রস্তুতি নিন, সরকারকে মোশাররফ

আর বেশি সময় নাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা এই সরকারকে বিদায় করতে সক্ষম হব এমনটা দাবি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আর অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতারা ও সরকার ভয়ে ভীত হয়ে পদযাত্রা কর্মসূচিকে নানা নামে সমালোচনা করছেন। আমাদের বক্তব্যে হলো-কোনো প্রকার হুংকার দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে লাভ হবে না।’

আপনাদের সময় শেষ, বিদায়ের প্রস্তুতি নিন। আপনাদের বিদায়ে আগাম শোভাযাত্রা হচ্ছে বিএনপির এই পদযাত্রা কর্মসূচি। কারণ আগামীর বাংলাদেশ হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে।’

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পদযাত্রা পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোশাররফ হোসেন।
পদযাত্রা উদ্বোধন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই পদযাত্রার আয়োজন করেছে।

মোশাররফ হোসেন, ‘বিএনপি যখনেই কর্মসূচি পালনে ঘোষণা দেয়; তখনেই যারা গায়ের জোড়ে ক্ষমতায় আছে, আন্তর্জাতিকভাবে হাইব্রিড সরকার তারা বলে বেড়ায় আমরা নাকি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করি। আমাদের স্পষ্ট কথা-ইতিপূর্বে আমরা ১০ বিভাগীয় গণ সমাবেশ করেছি। আপনারা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।’

তারপরও এই দেশের জনগণ প্রতিটি গণ সমাবেশ সফল করেছে। সেই গণ সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়নি। ঢাকাতেও আমরা গণ অবস্থান, গণ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি কিন্তু কোথাও কি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে? হয়নি। আসল কথা হলো-আপনাদের সময় শেষ, পায়ের নিচে মাটি নাই।

যতই হুংকার দেন না কেন; জনগণ আওয়াজ তুলেছে তারা এই সরকারকে দেখতে চায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আপনারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। শুধুমাত্র সংসদ নয় স্থানীয় নির্বাচনেরও কেউ এখন নিজের ভোট দিতে পারে না। তাই এই সরকারের বিদায় যতদ্রুত সম্ভব ততই দেশ ও দেশের জনগণের জন্য মঙ্গল হবে।

তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতিকে তছনছ করে দিয়েছে। অনিয়ম ও দর্নীতির মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। সকল ব্যাংককে তারল্য সংকট।’

তারপর চাপাবাজি করে বলছে অর্থনীতি নাকি সবদিকে ভালো। প্রশ্ন হচ্ছে দেশের অর্থনীতি যদি এতেই ভালো তাহলে গণশুনানি উপেক্ষা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ বিদ্যুৎ গ্যাস পানির দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে কেন? বৃদ্ধি করা হচ্ছে কারণ এই সব অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেট মূলত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা লুট করে নিতেই আবারও বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনগণের মাথায় অর্থনৈতিক চাপ পড়েছে, যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘এই সরকার গণতন্ত্র ও অর্থনীতি লুটকারী। আজকে বিচারকরা স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না। বানোয়াট মামলায় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। মামলা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। সরকার ভেবেছিল অত্যাচার নির্যাতন করে বিএনপিকে ঘরে বসিয়ে দেবে। কিন্তু বিএনপি তো ঘরে বসে যায় নাই বরং এই সরকারকে বিদায় করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। জনগণকে ঐক্যেবদ্ধ করে ইস্পাত কঠিন ঐক্যে গড়ে তুলে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। কারণ এই সরকার অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই অনির্বাচিত সরকারের পতনের বিকল্প নাই। সেজন্য চলমান আন্দোলনকে আরও বেগমান করতে হবে। বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। সেই হত্যার কবরস্থানের উপর বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো গণতন্ত্র জবাই করে আজকে যারা ক্ষমতায় আছে। তারা স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর বলেছিল আই এম নটা আনহ্যাপি আর ১/১১ সরকারকে বলেছিল তাদের আন্দোলনের ফসল। প্রমাণিত বার বার আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র জবাই করে কিংবা যারা জবাই করে তাদের সহযোগিতা করেছে। আর বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আগামীতেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।’

আওয়ামী লীগ ও সরকারকে উদ্দেশ্য করে আমান উল্লাহ আমান বলেন, জনগণের চোখের ভাষা বুঝার চেষ্টা করুক। আপনাদের মঞ্চ ভেঙে। এই মঞ্চ আর জোড়া নেবে না। যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়; তাহলে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় জনগণ ৯০ এর মতো গণঅভূত্থান সৃষ্টি করে আপনাদের বিদায় করা হবে।

পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ থাকুন। আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। আপনারা আওয়ামী লীগ ও এই অনির্বাচিত সরকারের অন্যায় আদেশ নির্দেশ পালন করা থেকে বিরত থাকুন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন এই দেশে হতে দেওয়া হবে না।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে আমান উল্লাহ বলেন, যত বোঝানোর চেষ্টা করুন, কোনো কাজ হবে না। গোপন আর গোপন থাকবে না। বিদায় নিতে হবে, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, জনগণ ভোট দেবে খালেদা জিয়ার সরকার হবে।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের

ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট ব্যবহারে ভোক্তাদের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জনপ্রিয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোম তাদের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সার্কিট (আইটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম যথাক্রমে ১০, ১০ এবং ১৫ শতাংশ হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার ব্যয় হ্রাস পাবে, যা পর্যায়ক্রমে গ্রাহক পর্যায়েও প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়া ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, এখন থেকে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা মাত্র ৫০০ টাকায় গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ সাধারণ গ্রাহকদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে তাদের সব সেবায় ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকও ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে মোবাইল ইন্টারনেট সরবরাহ করছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার ইতোমধ্যে মোবাইল অপারেটরদের জন্য ডিডব্লিউডিএম ও ডার্ক ফাইবারের মতো সুবিধা চালু করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে পাইকারি ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। তাই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের পক্ষে এখন দাম না কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিনি আরও বলেন, চলমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমালে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কিছুটা লাঘব পাবে। সরকার চাইছে মোবাইল কোম্পানিগুলো দুইটি দিক থেকে মূল্যছাড় দিক—প্রথমত, পূর্বে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আরোপ করা বাড়তি মূল্য তুলে নেওয়া; দ্বিতীয়ত, আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন স্তরে যেভাবে পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, সেভাবে গ্রাহক পর্যায়েও মূল্য হ্রাস করা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গুণগত মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেবার মানের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের লক্ষ্য হলো—একটি যৌক্তিক ও সমন্বিত মূল্যনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেবা মানোন্নয়ন ও গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশে ডিজিটাল সংযোগ আরও বিস্তৃত হবে এবং সাধারণ মানুষ আরও সহজে সাশ্রয়ী দামে ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

Header Ad
Header Ad

আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই চীনের সঙ্গে শুরু করেছেন বাণিজ্যযুদ্ধ। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই চীন বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও বাণিজ্যচুক্তিতে না যায়, যা চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, চীন বিশ্বাস করে—সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে পারে। তবে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি করে যা চীনের ক্ষতি করে, তাহলে বেইজিং তাতে কঠোরভাবে আপত্তি জানাবে। তিনি আরও বলেন, কেউ চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করলে চীন 'সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া' জানাবে।

এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য দেশগুলোর ওপর চাপ দিচ্ছে—তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় পেতে চাইলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করে। চীনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র সমতার কথা বলে একতরফাভাবে সব দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে দিচ্ছে এবং দেশগুলোকে তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আলোচনায় বাধ্য করছে।

চীন জানিয়েছে, তারা নিজের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চায়। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তি শুল্ক নিয়ে আলোচনায় নেমেছে। জাপান সয়াবিন ও চালের আমদানি বাড়ানোর কথা ভাবছে, আর ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে অন্য উৎস নির্ভরতা কমাতে চাইছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেও, চীনের ওপর তা বহাল রেখেছেন। চীনই এই শুল্ক নীতির মূল লক্ষ্য। এর জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করেছেন, যেখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল—আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলা।

(সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান)

Header Ad
Header Ad

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। এই পরীক্ষাগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রসহ দেশব্যাপী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

রবিবার (২০ এপ্রিল) পিএসির প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং তাকে ভবিষ্যতের সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

লিখিত পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা:

১. পরীক্ষার হলে বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রীসহ কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

২. পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে, মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন ও অন্যান্য নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশি করা হবে। প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।

৩. পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থীদের এই নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৪. পরীক্ষার সময় কানের ওপর কোনো আবরণ রাখা যাবে না এবং কানে হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

৪৬তম বিসিএসে মোট ৩,১৪০টি পদের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন ১,৬৮২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিয়োগ থাকবে শিক্ষা ক্যাডারে, যেখানে ৫২০ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের
আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩ জন
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি