সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অনেক হয়েছে ‘বিদায় হও’, সরকারকে ফখরুল

শুধুমাত্র সভা করে, কথা বলে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পাব না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে।’

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদের আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের অধিকার আপনারা কেড়ে নিয়েছেন। আমাদের দুইবার ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। আমার জনগণের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। মানুষের পকেট কেটে আপনি বড়লোক হচ্ছেন। আর সেই টাকা বিদেশে পাচার করছেন।’

তিনি বলেন, ‘মূল কথা হচ্ছে অনেক হয়েছে এবার বিদায় হও। জনগণের রক্ত শোষণ করে খেয়েছ এবার বিদায় হও। পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে সংসদকে বিলুপ্ত করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেই তত্ত্ববোধক সরকার নতুন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচনের জনগণ তাদের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বাধীনচেতা। বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক। ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে তারা যুদ্ধ শুরু করে ছিল। পরবর্তীকালে ৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকে গণতন্ত্র রক্ষা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।’

আজকে আবার ফ্যাসিবাদকে হটানোর জন্য সামগ্রিক লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই শুধু বিএনপি’র লড়াই নয়, এটা বিরোধী দলের নয়, এটা জনগণের লড়াই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের জনগণের সমস্ত অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীন দেশের নাগরিকত্ব থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা শুরু হয়েছে বিএনপির' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, অদ্ভুত, এ ধরনের কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এগুলো জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলেছি। গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে আমরা দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে লড়াই করছি। আসলে গণতন্ত্র শুধুমাত্র একদিনের নির্বাচন তা নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক একটা সিস্টেম। একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক যে ব্যবস্থা এবং সেটা রাষ্ট্রের জনগণের কাজে লাগানোর জন্য; জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা সামগ্রিকভাবে বৃহত্তর জনগোষ্টির মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। সবচেয়ে বৃহত্তর অংশের মানুষ যা বলবে সেভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা চলবে।’

দুর্ভাগ্যক্রমে ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, যে স্বপ্ন আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছিলাম। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পরপরেই আসজের যে আওয়ামী লীগ তারা সেদিন ক্ষমতায় ছিল। তারা দাবি করে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তারও পূর্বে স্বাধিকার আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭১ সালের পূর্বে এবং ৭১ পরবর্তী ছিল ভিন্ন। আমরা দেখেছি গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ে যারা লড়াই সংগ্রাম করছেন পরবর্তীকালে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে ক্ষমতা ধরে রাখতে জনগণের অধিকারগুলোকে হরণ করে জনগণকে বঞ্চিত করে তারা নিজেদের কর্তৃত্ব এবং শাসনকার্যকে পাকাপোক্ত করতে সব কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অনেকে আছেন যারা এখনো বলেন আওয়ামী লীগেই হচ্ছে মোটামুটি একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এটা বলার কোনো অবকাশ নাই, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ৫০-৫১ বছরে প্রমাণ করেছে তারা কোনো দিন কনো মতেই গণতান্ত্রিক দল নয়। ১৯৭১ সালের পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল এবং তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্যে একে একে বিরোধীদল কে দমন করেছে, নির্যাতন করেছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর তারা নতুন বাহিনী তৈরি করেছিল রক্ষীবাহিনী। আর যুদ্ধের সময় বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে তৈরি করেছিল মুজিব বাহিনী। এখন আওয়ামী লীগ আবরও রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে বিরোধীদল মত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৬ শত নেতা০কর্মীকে গুম করেছে। এখন পর্যন্ত তাদের চিহৃ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না।’

হাজারের উপর নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। বিরোধী দলের ৪০ লক্ষ নেতা-কর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। কোথাও কিছু ঘটেনি আওয়ামী লীগ নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়। আজকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে আওয়ামী লীগের অত্যাচার নির্যাতন, যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র কখনো এক সঙ্গে যায় না। আওয়ামী লীগের দুটি জিনিস আছে। একটি হচ্ছে সন্ত্রাস তারা ভয় দেখিয়ে সবকিছু করে নিতে চায়।আরেকটি হচ্ছে সুযোগ পেলেই লুট করা। যাকে আমরা বলি লুণ্ঠন। এ দুটো তাদের মজ্জাগত।

৭১ সাল আর এখনকার সময় এক নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৯০ এর সময়ের সঙ্গেও এখনকার সময় এক নয়। তখনকার ফ্যাসিবাদী সরকারের চেহারা আর এখনকার ফ্যাসীবাদী সরকারের চেহারাও এক নয়।

এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারি, সাম্যবাদি দলের চেয়ারম্যান কমরেড নুরুল ইসলাম, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, মাইনরিটি পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী, এনপিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসেন, নবী চৌধুরী, মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের

ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট ব্যবহারে ভোক্তাদের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জনপ্রিয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোম তাদের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সার্কিট (আইটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম যথাক্রমে ১০, ১০ এবং ১৫ শতাংশ হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার ব্যয় হ্রাস পাবে, যা পর্যায়ক্রমে গ্রাহক পর্যায়েও প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়া ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, এখন থেকে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা মাত্র ৫০০ টাকায় গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ সাধারণ গ্রাহকদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে তাদের সব সেবায় ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকও ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে মোবাইল ইন্টারনেট সরবরাহ করছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার ইতোমধ্যে মোবাইল অপারেটরদের জন্য ডিডব্লিউডিএম ও ডার্ক ফাইবারের মতো সুবিধা চালু করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে পাইকারি ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। তাই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের পক্ষে এখন দাম না কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিনি আরও বলেন, চলমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমালে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কিছুটা লাঘব পাবে। সরকার চাইছে মোবাইল কোম্পানিগুলো দুইটি দিক থেকে মূল্যছাড় দিক—প্রথমত, পূর্বে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আরোপ করা বাড়তি মূল্য তুলে নেওয়া; দ্বিতীয়ত, আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন স্তরে যেভাবে পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, সেভাবে গ্রাহক পর্যায়েও মূল্য হ্রাস করা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গুণগত মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেবার মানের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের লক্ষ্য হলো—একটি যৌক্তিক ও সমন্বিত মূল্যনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেবা মানোন্নয়ন ও গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশে ডিজিটাল সংযোগ আরও বিস্তৃত হবে এবং সাধারণ মানুষ আরও সহজে সাশ্রয়ী দামে ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

Header Ad
Header Ad

আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই চীনের সঙ্গে শুরু করেছেন বাণিজ্যযুদ্ধ। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই চীন বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও বাণিজ্যচুক্তিতে না যায়, যা চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, চীন বিশ্বাস করে—সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে পারে। তবে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি করে যা চীনের ক্ষতি করে, তাহলে বেইজিং তাতে কঠোরভাবে আপত্তি জানাবে। তিনি আরও বলেন, কেউ চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করলে চীন 'সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া' জানাবে।

এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য দেশগুলোর ওপর চাপ দিচ্ছে—তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় পেতে চাইলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করে। চীনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র সমতার কথা বলে একতরফাভাবে সব দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে দিচ্ছে এবং দেশগুলোকে তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আলোচনায় বাধ্য করছে।

চীন জানিয়েছে, তারা নিজের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চায়। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তি শুল্ক নিয়ে আলোচনায় নেমেছে। জাপান সয়াবিন ও চালের আমদানি বাড়ানোর কথা ভাবছে, আর ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে অন্য উৎস নির্ভরতা কমাতে চাইছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেও, চীনের ওপর তা বহাল রেখেছেন। চীনই এই শুল্ক নীতির মূল লক্ষ্য। এর জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করেছেন, যেখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল—আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলা।

(সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান)

Header Ad
Header Ad

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। এই পরীক্ষাগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রসহ দেশব্যাপী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

রবিবার (২০ এপ্রিল) পিএসির প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং তাকে ভবিষ্যতের সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

লিখিত পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা:

১. পরীক্ষার হলে বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রীসহ কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

২. পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে, মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন ও অন্যান্য নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশি করা হবে। প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।

৩. পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থীদের এই নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৪. পরীক্ষার সময় কানের ওপর কোনো আবরণ রাখা যাবে না এবং কানে হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

৪৬তম বিসিএসে মোট ৩,১৪০টি পদের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন ১,৬৮২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিয়োগ থাকবে শিক্ষা ক্যাডারে, যেখানে ৫২০ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের
আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩ জন
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি