সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে: বিএনপি

অবৈধ সরকার পরিকল্পিতভাবে হীন উদ্দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করার লক্ষ্যে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি, জীবনমান, মূল্যবোধ বিরোধী কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের ভ্রান্ত, বিকৃত ও অসত্য তথ্য শিক্ষা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলের স্থায়ী কমিটির (ভার্চ্যুয়াল) সভায় এ অভিযোগ করেন দলটির শীর্ষনেতারা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্তসমূহ জানানো হয়।
সভায় এই অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং অবিলম্বে পুস্তুকগুলো বাতিল করে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এবং মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে পুস্তুক রচনার দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সভায় আলোচনা হয় এবং সাম্ভাব্য প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের মাধ্যমের কর্মসূচি সফল করার সিদ্ধান্ত হয়।
একইসঙ্গে চলমান আন্দোলন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দমন করার জন্য হত্যা, মিথ্যা মামলা প্রদান, গণহারে গ্রেপ্তার, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
অবিলম্বে সকল আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। সভায় সদ্য প্রকাশিত স্কুল পাঠ্যপুস্তুকে ইতিহাস ও বিষয়বস্তুর বিকৃতি, ভুলতথ্য ও ভাষাগত ভুলের দোষে দুষ্ট এবং ধর্মীয় মুল্যবোধে আঘাত বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ জানানো হয়।
সভায় উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় কয়লার অভাবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, ডলারের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৩টি জাহাজের চিনি ও ভোজ্যতেল খালাস করা যাচ্ছে না, ডলার সংকটের প্রভাব এবার হজ যাত্রীদের উপরেও পড়বে, এলসি গ্রহণে বিদেশি ব্যাংকের অনীহা সামগ্রিকভাবে ডলার সংকট অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করে এই অবৈধ সরকারের অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে লাগামহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই বর্তমানে ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অপ্রয়োজনীয়, অনুৎপাদিত খাতে ডলার ব্যয় এবং অপকৌশলে ডলার বিদেশে পাচার করার ফলেই এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুদুর প্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলাবে বলে বিএনপি মনে করে।
সভায় অর্থনীতির সংকট সৃষ্টির ফলে জন-জীবনে যে অপরিসীম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্য এই অবৈধ সরকারকেই দায়ী করা হয় এবং ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ দাবি করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় আরো অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (মহাসচিব), আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এমএইচ/এমএমএ/
