‘শিক্ষা সিলেবাস সংশোধন না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’
ফাইল ছবি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বৃহত্তর মুসলিম জনতার চিন্তা চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুনকে ধূলিসাৎ করার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শরীফ ফুড কোর্টের কনফারেন্স হল রুমে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখার শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনুছ আহমাদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কতিপয় বেঈমান নাস্তিক-মুরতাদ মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ধ্বংসের জন্য শিক্ষা সিলেবাসে ডারউইনের মতবাদ চালু এবং ইসলামী শিক্ষাকে সংকুচিত করেছে। ওই নাস্তিকরা বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি বলে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করে আল্লাহর সঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। ইসলামী জীবন বিধানের উপর আঘাত করার চেষ্টা করলে জনগণ রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক শিক্ষা সিলেবাসের মাধ্যমে সরকার একটি গোষ্ঠীকে খুশি করছে। দেশে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। এদেশের কোমলমতি শিশুদের বানরের সন্তান বানানোর ষড়যন্ত্র এবং হিজাব সর্ম্পকে বিদ্বেষ ছড়ানোর পরিণাম শুভ হবে না।
সংগঠনের ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুরা অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ আলী মোস্তফা, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপ্যাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, সরকারের একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনকে চরম দুবির্ষহ করে তুলেছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে অবৈধ সরকার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা যাচ্ছে না, ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম অস্থিরতা ও হতাশা বিরাজ করছে। জনজীবনে চলছে মারাত্মক সংকট। উন্নয়নের নামে দেশে চলছে সীমাহীন লুটপাট।
এমএইচ/এসজি