সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পাল্টা কর্মসূচি না দিতে আওয়ামী লীগের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান

বিএনপি ও বিরোধী দলের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি পালন, বাধা প্রদান এবং একই দিনে একই সময় কোনো কর্মসূচি প্রদান না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্যথায় উদ্ভুত পরিস্থিতির সব দায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকেই বহন করতে হবে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে দমন করার জন্য অনির্বাচিত সরকার ও আওয়ামী লীগ আন্দোলনের শুরু থেকেই উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী হামলা করছে। ইতোমধ্যে পুলিশের গুলি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় ১৫ জন বিরোধী দলের নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত ও প্রায় ৫ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পন্থায় ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সময় পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। তাদের এই ধরনের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা ও নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যেই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হাত পা ভেঙে দেওয়া, হাত জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি ও নির্দেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের আরও অনুপ্রাণিত করছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে।

আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের মন্ত্রীরা মুখে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার কথা বললেও বাস্তবে সন্ত্রাসী পরিবেশ তৈরি করছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, হামলা, গুলিবর্ষণ, পরিবহণ ধর্মঘট সৃষ্টি করা, হোটেল, রেস্তোরা বন্ধ করে বিরোধী দল ও বিএনপির কর্মসূচিগুলো পণ্ড করার হীন নীল নকশা তৈরি করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনগণের যে ঢল নামছে তা দেখে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ ও অনির্বাচিত সরকার হত্যা, হুমকি, মামলা ও নির্যাতনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, গত চার বছরে ১ হাজার ২০৯ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চরম নির্বতনমূলক আইনের মাধ্যমে ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তি, সংবাদকর্মী, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারের উপর চরম আঘাত করা হচ্ছে ও মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের উপর এই আইনের অপপ্রয়োগের ফলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই আইনের আওতায় বন্দি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।

মুঠোফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগের ওপর নজরদাবি করার জন্য ইসরাইলি এক কোম্পানির কাছ থেকে প্রযুক্তি ক্রয় করা হয়েছে বলে দেশ বিদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একই সঙ্গে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টেলিফোনে আড়িপাতার বিষয়ে আইন প্রণয়নের ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী, অনির্বাচিত সরকার তাদের অবৈধ উপায়ে দখলকৃত ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ক্রয় ও আড়িপাতার আইন প্রণয়ন করতে চলেছে। সভা এই ভয়াবহ নিবর্তনমূলক আইন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অগণতান্ত্রিক আচরণ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। সভায় অবিলম্বে এই সব প্রযুক্তি ক্রয় করা ও আইন প্রণয়নের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্ব, দলের গঠনতন্ত্র ও কর্মসূচি নিয়ে যে, এখতিয়ার বহির্ভূত, শিষ্টাচার বিবর্জিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি মনে করছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি বন্দের দাবি নিয়ে যখন দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে উঠছে তখন এই ধরনের মন্তব্য একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি ও ফ্যাসীবাদকে প্রশ্রয় দেবে এবং প্রকাশ্যে জনগণের ন্যায়সংগত দাবির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে।

ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক সব দল, ব্যক্তি, সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনগণের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে তাকে শক্তিশালী করা, এই সময়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা শুধুমাত্র গণতন্ত্র বিরোধী গণশত্রুকে সাহায্য করা হবে যা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। সচেতন সব নাগরিককে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দেলনে সমর্থন করে ভয়াবহ দানবীয় একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসীবাদী শাসনের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

এসএন

Header Ad
Header Ad

রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!

রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে প্রতি কেজি খেজুরের দাম বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এবার ১০ শতাংশ শুল্কহার কমানোয় খেজুরের দাম কমেছে। পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের দাম আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।

গত বছর খেজুরের দাম যখন রোজাদারদের নাগালের বাইরে তখন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পরামর্শ দিয়েছিলেন খেজুরের বদলে বরই (কুল) খাওয়ার জন্য।

চট্টগ্রাম নগরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বহু জাতের খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ইরাকি জায়েদি খেজুরের। এ ছাড়া নিম্নবিত্তের ভরসায় আছে নরম বরই খেজুর। গত বছরের তুলনায় নরম বরই খেজুর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, জায়েদি খেজুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কমে ৩৫০ থেকে ৩৭০, আজোয়া খেজুর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমে ৬০০ থেকে ৮০০, মেডজল খেজুর ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কমে ৯০০ থেকে ৯৫০ এবং মাবরুম খেজুর ৪০০ টাকা কমে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বহুল চাহিদা থাকা জায়েদি খেজুর পাইকারিতে ১০ কেজি কার্টনের দাম ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বস্তার খেজুর ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জায়েদি খেজুরের দাম আরো কমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফলমণ্ডীর ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ডিউটি কমানোর কারণে ছোট ছোট আমদানিকারকরা এবার প্রচুর খেজুর আমদানি করেছে। গত বছর ডিউটিসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে তারা আমদানির সুযোগ পায়নি।

তাই খেজুর নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের মধ্যে একটা অস্বস্তি ছিল। এ বছর খেজুরের দাম ও সরবরাহ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বন্দর ও জাহাজে আরো ৩০ শতাংশের মতো খেজুর আছে। যা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাজারে ঢুকবে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভজনক অবস্থায় থাকবে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত বছর হাজী সেলিমের মদিনা ও নজরুল ইসলামের নাসা সিন্ডিকেট করে একচেটিয়া খেজুর এনে সেগুলো সংরক্ষণ করে, শোরুম খুলে খেজুর বিক্রি করেছে। তাই বাজারে খেজুরের সংকট ও দাম বেড়েছে। ঋণপত্র খোলার মার্জিনসহ বিভিন্ন শর্ত শিথিলের কারণে এবার ছোট-ছোট আমদানিকারকরা ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছে। তাই রমজানের বাজার নিয়ে ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না।’

রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, ‘এ বছর খেজুরের দাম এখন থেকেই কম। আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দাম নিয়ে সবাই শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দেয়। কিন্তু এবার সরকার যেভাবে মনিটরিংয়ে রেখেছে তাতে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। এবার খেজুরের দাম রমজানের শুরুতেও কম থাকবে। পরে হয়তো আরো কমতে পারে।’

ফ্রেশ ফ্রুটস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৬০ থেকে ৯০ হাজার টন। শুধু রমজান মাসে ৪০ হাজার টন খেজুর প্রয়োজন হয়। খেজুরগুলো মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিসর, জর্দান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ইরাকি জায়েদি খেজুরের।

আসন্ন রমজানকে লক্ষ্য করে ৪৮ দিনে আমদানি হয়েছে বিভিন্ন জাতের ৩১ হাজার ৬৪৩ টন খেজুর, যা মোট আমদানির ৭০ শতাংশ। পাইপ লাইনে থাকা বাকি ৩০ শতাংশ আগামী ১০ দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে। অথচ গতবছর খেজুর আমদানির পরিমাণ চলতি বছরের তুলনায় বেশি হলেও খোলা বাজারে পর্যাপ্ত খেজুর ছিল না।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, পচনশীল পণ্য হওয়ায় দুই মাস আগে রমজানকে লক্ষ্য করে খেজুর আনা হয়। সে হিসেবে গত রমজানের আগের ৬০ দিনে ৫৪ হাজার ৩৫৩ টনের বেশি আমদানির বিপরীতে এবার আনা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৭০ টন আর পাইপ লাইনে রয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টন।

Header Ad
Header Ad

সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিভিন্ন মহল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এরই মধ্যে তিনি জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান ছিনতাই ও ডাকাতি দমনে আজ সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাওয়া যাবে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমার মনে হয় কোনো মিডিয়ায় এমন লেখে নাই, “এ বছর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো”। এ রকম কিন্তু কোনো সংবাদ মনে হয় কোনো সাংবাদিক...যেহেতু আমি নিজেও এক সময় সাংবাদিকতা করেছি, আমি মর্নিং নিউজে ছিলাম—আমরাও কোনো দিন করি নাই। কিন্তু এখনো যে পরিস্থিতি, আগের মতোই অবস্থা। আমি বলবো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্যাটিসফ্যাকটরি (সন্তোষজনক)। কিন্তু এটার উন্নতি করার অবকাশ রয়ে গেছে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করতে বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজ রাতে দেখবেন পরিস্থিতি কী হয়। অপরাধ ঘটলেই ডেভিল হান্ট অপারেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশনে আরও জোরেশোরে নামবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে কী হতো, যেমন বনশ্রীর ঘটনাটি জানতে জানতে দুদিন সময় লেগে যেতো, এখন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা জেনে যায়। ছোটখাটো ঘটনা সবসময় আগেও ঘটেছে, দু-একদিন আগেও ঘটেছে। তবে, ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে এজন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই না, এ ধরনের একটি ঘটনাও ঘটুক।

মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে, মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত করতে চান- এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে আশ্বস্ত করার জন্যই তো আজকে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং করলাম। তাদের একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন সন্ধ্যার পর থেকেই কাজ শুরু করে। আপনারা এটি সন্ধ্যার পর থেকেই টের পাবেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কী নির্দেশনা দিয়েছেন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আজকে রাতেই আপনারা দেখবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকটিভিটিস (তৎপরতা) অনেক বেড়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনার বিবরণ দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবরণের পাশাপাশি এ ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু নিয়েও নিজেদের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

কক্সবাজারে অবস্থিত বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে সমিতিপাড়ার কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। বিয়াম স্কুলের পাশে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে একজন স্থানীয় লোকের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাঁটির অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।

আইএসপিআর আরও জানায়, ওই সময় সমিতি পাড়ার আনুমানিক দুই শতাধিকেরও বেশি স্থানীয় লোকজন ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হলে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সংখ্যা বাড়লে চেকপোস্ট এলাকায় বিমান বাহিনীর সদস্য ও সমিতি পাড়ার কতিপয় দুষ্কৃতকারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে কতিপয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা বিমান বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট পাটকেল ছোড়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন, যার মধ্যে বিমান বাহিনীর ৪ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়া শিহাব কবির নাহিদ নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আইএসপিআরের দাবি, বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তবে স্থানীয় জনসাধারণের ওপর কোনো প্রকার তাজা গুলি ছোড়া হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, কুচক্রি মহল বিমান বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা সত্যি নয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)