সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি নেতা-কর্মীরা!

সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছে বিএনপি। কিন্তু কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেয়ে গ্রেপ্তার এড়ানো আর মামলার আতঙ্কে সময় কাটছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে সবার মধ্যেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউই প্রকাশ্যে বের হচ্ছেন না। নিজেদের আড়াল করে রেখেছেন। বিএনপির অভিযোগ, প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় নেতা-কর্মীদের প্রথমে আটক করা হচ্ছে, পরবর্তীতে পূর্বের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করায় উদ্বিগ্ন দলের হাইকমান্ড।

বিএনপির অভিযোগ, সাংগঠনিকভাবে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করতে পারেন— এমন নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে থানা পর্যায়ে সক্রিয় নেতাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেটা ধরেই চলছে অভিযান। মূলত বিএনপির কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মীরা যখন মাঠে নামছেন, তখনই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। সক্রিয় করা হয় গায়েবি মামলা। প্রতিটি কর্মসূচির আগে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে দলের কেন্দ্রীয় এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতারা ‘আত্মগোপন’ করেছেন।

বিএনপি ও এর সহযোগিত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলছেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ নেওয়ার পর থেকেই জেলা-উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে সময় পার করছেন। অনেকেই এখন ঘরছাড়া। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ জেগে উঠছে। প্রতিটি কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। তখন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার মিশন নিয়ে নেমেছে সরকার। যার ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। প্রায়ই দলের নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে বিএনপির সক্রিয় অধিকাংশ নেতা-কর্মীর নামেই মামলা আছে। অনেকে আদালত থেকে জামিনে আছেন। তবে অধিকাংশ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ নেতা-কর্মীরাও গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলাসহ বর্তমান বানোয়াট মামলা ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হচ্ছে বলে নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকার বিএনপিসহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের একের পর এক গ্রেপ্তার করছে। দমন-পীড়ন চালিয়ে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ। যে কোনো মূল্যে একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দেশব্যাপী মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ দফা বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও মিছিলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার দমন পীড়ন চালায়, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং কর্মসূচি চলাকালে হামলা চালায়। অধিকাংশ জায়গায় কর্মসূচি পালন না করতে প্রশাসনকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মীকে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা মাত্র। নেতা-কর্মীদের পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু গ্রেপ্তার করেও এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতোই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও এখন পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা করছেন। সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে যে সব মামলা হয়েছে তাতে অনেককে আসামি করা হয়েছে, সবাই জানেনও না যে তারা আসামি। আর প্রতি মামলায়ই অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের কথা বলা আছে। তাই সেই সব মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন কেউ কেউ ৷ আশঙ্কা করছেন, অনেক মামলা আছে যার খবর তাদের জানা নেই ৷ পুলিশ গোপনে করে রেখেছে৷ সেই সব মামলা এখন কাজে লাগানো হতে পারে, এমন আশঙ্কা বিএনপি নেতা-কর্মীদের।

মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গ্রেপ্তার এড়াতে আগে থেকে সতর্ক থাকতে পারেন। আদালত থেকে জামিন নেওয়ারও সুযোগ থাকে। তবে অজ্ঞাত আসামিদের মামলার চার্জশিট দেওয়ার এবং গ্রেপ্তারের আগে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। তাই মামলার আসামি না হয়েও সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার সক্রিয় নেতা-কর্মীদের আত্মগোপনে থাকতে হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে দলীয় আন্দোলন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগও কমে যায়। তাদের অভিযোগ, অজ্ঞাত আসামি ধরপাকড়ের অজুহাতে থানা পুলিশের ‘চাঁদাবাজির’ সুযোগ তৈরি হয়। আর্থিকভাবে সচ্ছল যে কোনো নেতা-কর্মীকে আটক করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের ‘ঘুষ’ দাবি করেন পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ। অস্বীকার করলে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়। শুধু মামলার বাদী নন, পুলিশ এবং একশ্রেণির আইনজীবীও জড়িত থাকেন। থানায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের হাত থাকে। আর আদালতের মামলায় হাত থাকে কিছু আইনজীবীর। আর যেসব মামলা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য দায়ের করা হয় তার পেছনে থাকেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে চাপে রাখতে মামলার ফাঁদে ফেলা সরকারের পুরনো কৌশল। অবৈধ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে শেষ সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারপরও গণতন্ত্রকামী বিএনপির নেতা-কর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তারে ভীত নন; সব বাধা উপেক্ষা করে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে।

বিএনপির কয়েজন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে কথা হলে ঢাকাপ্রকাশ-কে তারা বলেন, রাজপথের আন্দোলনে চূড়ান্ত উত্তাপ ছড়ানোর আগেই মামলার ফাঁদে জড়নো হচ্ছে বিএনপি নেতাদের। পুরনো মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির স্থানে নাম ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। পুরনো মামলায় চার্জশিটও দেওয়া হচ্ছে দ্রুতগতিতে। বিচারকাজও চলছে একই গতিতে। একইসঙ্গে পুরনো মামলা সচল ও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির আবেদনে উচ্চ আদালতের আদেশে একের পর এক বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা সচল হচ্ছে। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নাল আবদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর মামলা সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৪টি অঞ্চলে আজ ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আবহাওয়া অফিসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পূর্বাভাস জানানো হয়।

ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, পাবনা, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট।

এসব অঞ্চলের উপর দিয়ে পরবর্তী দুই থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সকাল থেকেই রাজধানীতে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। ঢাকায় আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িক মেঘলা থাকতে পারে। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিমি বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে, যা সময়ের সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি পর্যন্ত বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।

সকাল ৬টায় ঢাকায় রেকর্ড করা তাপমাত্রা:

- সর্বোচ্চ: ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- সর্বনিম্ন: ২৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- বাতাসে আর্দ্রতা: ৮৭ শতাংশ

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সূত্র: আবহাওয়া অধিদপ্তর

Header Ad
Header Ad

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান

ছবি: সংগৃহীত

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, যাতে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।

বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৪,০০০ থেকে ১৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে গড় চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে এই চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭,৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭,২৬০ মেগাওয়াট।

গত শনিবার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ১১,৯৭১ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে চাহিদা ছিল ১৪,৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও গ্রীষ্মে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে, বিপিডিবি মনে করে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা বৃষ্টিপাত) একটি বড় কারণ। এছাড়া গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জ্বালানি। ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকেও এলএনজি আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাসাবাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!