সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি নেতা-কর্মীরা!

সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছে বিএনপি। কিন্তু কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেয়ে গ্রেপ্তার এড়ানো আর মামলার আতঙ্কে সময় কাটছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে সবার মধ্যেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউই প্রকাশ্যে বের হচ্ছেন না। নিজেদের আড়াল করে রেখেছেন। বিএনপির অভিযোগ, প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় নেতা-কর্মীদের প্রথমে আটক করা হচ্ছে, পরবর্তীতে পূর্বের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করায় উদ্বিগ্ন দলের হাইকমান্ড।

বিএনপির অভিযোগ, সাংগঠনিকভাবে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করতে পারেন— এমন নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে থানা পর্যায়ে সক্রিয় নেতাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেটা ধরেই চলছে অভিযান। মূলত বিএনপির কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মীরা যখন মাঠে নামছেন, তখনই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। সক্রিয় করা হয় গায়েবি মামলা। প্রতিটি কর্মসূচির আগে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে দলের কেন্দ্রীয় এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতারা ‘আত্মগোপন’ করেছেন।

বিএনপি ও এর সহযোগিত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলছেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ নেওয়ার পর থেকেই জেলা-উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে সময় পার করছেন। অনেকেই এখন ঘরছাড়া। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ জেগে উঠছে। প্রতিটি কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। তখন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার মিশন নিয়ে নেমেছে সরকার। যার ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। প্রায়ই দলের নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে বিএনপির সক্রিয় অধিকাংশ নেতা-কর্মীর নামেই মামলা আছে। অনেকে আদালত থেকে জামিনে আছেন। তবে অধিকাংশ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ নেতা-কর্মীরাও গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলাসহ বর্তমান বানোয়াট মামলা ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হচ্ছে বলে নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকার বিএনপিসহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের একের পর এক গ্রেপ্তার করছে। দমন-পীড়ন চালিয়ে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ। যে কোনো মূল্যে একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দেশব্যাপী মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ দফা বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও মিছিলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার দমন পীড়ন চালায়, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং কর্মসূচি চলাকালে হামলা চালায়। অধিকাংশ জায়গায় কর্মসূচি পালন না করতে প্রশাসনকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মীকে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা মাত্র। নেতা-কর্মীদের পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু গ্রেপ্তার করেও এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতোই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও এখন পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা করছেন। সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে যে সব মামলা হয়েছে তাতে অনেককে আসামি করা হয়েছে, সবাই জানেনও না যে তারা আসামি। আর প্রতি মামলায়ই অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের কথা বলা আছে। তাই সেই সব মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন কেউ কেউ ৷ আশঙ্কা করছেন, অনেক মামলা আছে যার খবর তাদের জানা নেই ৷ পুলিশ গোপনে করে রেখেছে৷ সেই সব মামলা এখন কাজে লাগানো হতে পারে, এমন আশঙ্কা বিএনপি নেতা-কর্মীদের।

মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গ্রেপ্তার এড়াতে আগে থেকে সতর্ক থাকতে পারেন। আদালত থেকে জামিন নেওয়ারও সুযোগ থাকে। তবে অজ্ঞাত আসামিদের মামলার চার্জশিট দেওয়ার এবং গ্রেপ্তারের আগে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। তাই মামলার আসামি না হয়েও সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার সক্রিয় নেতা-কর্মীদের আত্মগোপনে থাকতে হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে দলীয় আন্দোলন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগও কমে যায়। তাদের অভিযোগ, অজ্ঞাত আসামি ধরপাকড়ের অজুহাতে থানা পুলিশের ‘চাঁদাবাজির’ সুযোগ তৈরি হয়। আর্থিকভাবে সচ্ছল যে কোনো নেতা-কর্মীকে আটক করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের ‘ঘুষ’ দাবি করেন পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ। অস্বীকার করলে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়। শুধু মামলার বাদী নন, পুলিশ এবং একশ্রেণির আইনজীবীও জড়িত থাকেন। থানায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের হাত থাকে। আর আদালতের মামলায় হাত থাকে কিছু আইনজীবীর। আর যেসব মামলা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য দায়ের করা হয় তার পেছনে থাকেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে চাপে রাখতে মামলার ফাঁদে ফেলা সরকারের পুরনো কৌশল। অবৈধ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে শেষ সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারপরও গণতন্ত্রকামী বিএনপির নেতা-কর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তারে ভীত নন; সব বাধা উপেক্ষা করে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে।

বিএনপির কয়েজন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে কথা হলে ঢাকাপ্রকাশ-কে তারা বলেন, রাজপথের আন্দোলনে চূড়ান্ত উত্তাপ ছড়ানোর আগেই মামলার ফাঁদে জড়নো হচ্ছে বিএনপি নেতাদের। পুরনো মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির স্থানে নাম ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। পুরনো মামলায় চার্জশিটও দেওয়া হচ্ছে দ্রুতগতিতে। বিচারকাজও চলছে একই গতিতে। একইসঙ্গে পুরনো মামলা সচল ও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির আবেদনে উচ্চ আদালতের আদেশে একের পর এক বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা সচল হচ্ছে। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নাল আবদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর মামলা সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনার বিবরণ দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবরণের পাশাপাশি এ ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু নিয়েও নিজেদের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

কক্সবাজারে অবস্থিত বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে সমিতিপাড়ার কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। বিয়াম স্কুলের পাশে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে একজন স্থানীয় লোকের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাঁটির অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।

আইএসপিআর আরও জানায়, ওই সময় সমিতি পাড়ার আনুমানিক দুই শতাধিকেরও বেশি স্থানীয় লোকজন ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হলে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সংখ্যা বাড়লে চেকপোস্ট এলাকায় বিমান বাহিনীর সদস্য ও সমিতি পাড়ার কতিপয় দুষ্কৃতকারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে কতিপয় কুচক্রি মহলের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা বিমান বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট পাটকেল ছোড়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন, যার মধ্যে বিমান বাহিনীর ৪ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়া শিহাব কবির নাহিদ নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আইএসপিআরের দাবি, বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তবে স্থানীয় জনসাধারণের ওপর কোনো প্রকার তাজা গুলি ছোড়া হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, কুচক্রি মহল বিমান বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা সত্যি নয়।

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, তবে তিনি তাতে রাজি। একই সঙ্গে, ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিনিময়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়তে তিনি প্রস্তুত আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

সিএনএন নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যদি সত্যিই আমার পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, আমি তা করতে প্রস্তুত।”

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন যে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয় এবং এটি করা সম্ভব নয়।

এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা হ্রাসের কথাও উল্লেখ করেছেন এবং নির্বাচনের বিলম্ব নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

এ বিষয়ে পাল্টা মন্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্প “ভুয়া তথ্যের রাজ্যে বাস করছেন।”

Header Ad
Header Ad

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাযা পড়েন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী নৈরাজ্যসৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাযা পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশ শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সুশাসন চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দেব না’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘এক দুই তিন চার, জাহাঙ্গীর তুই গদি ছাড়’, ‘আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা, ইন্টেরিম করে রং তামাশা’ ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন দেশে ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি থেকে এহেন কোন কাজ নেই, যা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নিজেদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে পদত্যাগ করুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মত অযোগ্য উপদেষ্ঠা এ দেশের মানুষের প্রয়োজন নেই।’

ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির বলেন, ‘নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক অধিকার। মানুষ তাঁর মৌলিক অধিকার নিয়ে শঙ্কিত ছিল বলেই চব্বিশের অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু আমার মনে হয় না গত ৫০ বছরে আমাদের এমন নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই আপনি যে গদিতে বসে আছেন, সেটি আপনার বাবার নয়। আপনি দ্বায়িত্ব পালন করতে না পারলে গদি ছেড়ে দেন।’

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আজাদ বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন বেড়েই চলছে। এর মূল কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতজানু নীতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দয়া করে এই নতজানু নীতি এদেশে আর চালাবেন না। এই দেশ নতুন করে যেমন বিপ্লবী গতিতে স্বাধীন হয়েছে, তেমনই বিপ্লবী গতিতেই চলবে। ২৪-এর অভ্যুত্থানে হাজারো শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলায় আর কারও ঠিকাদারি আমরা মেনে নিব না।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর