সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সরকার নির্বাচিত নয় বলেই দুর্দিনে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে’

ফাইল ছবি

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় বলেই জনগণের চরম দুর্দিনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত গণবিরোধী এবং অবিবেচনাপ্রসূত। প্রতি মাসে দাম সমন্বয়ের নামে প্রকারান্তরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হবে, যা জনগণের সঙ্গে খুচরা চালাকি।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, ভ্রান্ত নীতির ফলে দেশের অর্থনীতিতে এবং জনজীবনে তীব্র সংকট চলছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, জনগণের জীবন যাত্রার ব্যয় যখন লাগামহীনভাবে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে, কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে, তখন সরকারের এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা'। দুই মাস আগে পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির পর এবার খুচরা তথা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষি সেচে, কল কারখানায় উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় এবং প্রতিটি জিনিসের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। কুইক রেন্টাল, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই বসিয়ে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীনদের মদতপুষ্ট মালিকদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় লাভবান করা হচ্ছে। দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।

অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সরকারি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে ১০ দফা দাবিসহ বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে বিএনপিসহ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও জোট আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

মির্জা ফখরুল জনসাধারণ এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আগামী ১৬ জানুয়ারি প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে যোগ দিয়ে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

মিঠাপুকুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি, যার কারণে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এতে ভুক্তভোগীরা ব্যাপক হতাশা ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন।

কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, তারা সকালে অফিসে এসে দলের রেজিস্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে গেলেও মোহরীরা দলিল রেজিস্ট্রি না করার কথা জানিয়ে তাদের ফিরে যেতে বলেন। তারা আরও বলেন, সাব রেজিষ্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কাগজপত্রে জমির কাগজ ছাড়াও নানা ধরনের অতিরিক্ত কাগজ জমা দিতে হবে, যা পূর্বে রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন ছিল না। এই অতিরিক্ত কাগজপত্রের জন্য তারা দলিল জমা দিতে পারছেন না।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনসহ অনেক দলিল লেখক জানান, পূর্বে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন ছিল না, এখন সেগুলো জমা দিতে বলা হচ্ছে। এর ফলে সেবা গ্রহণকারীরা নানা সমস্যা ও সময় সাপেক্ষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। এছাড়াও তারা জানান, সাব রেজিস্ট্রার সেবা গ্রহিতাদের এবং স্থানীয়দের সাথে অসদাচরণ করছেন, যার কারণে দলিল দাখিল হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার শিরিনা আক্তার জানান, তিনি সকাল ৯টা থেকে অফিসে রয়েছেন এবং একের পর এক কাজ করছেন। তবে দলিল দাখিল না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দলিল দাখিল না হওয়া কারণে রেজিস্ট্রি হয়নি। তবে কেন দলিল দাখিল হচ্ছে না, তা আমি বলতে পারবো না।" তিনি আরও জানান, সেবা গ্রহিতাদের নিয়ম বহির্ভূত আবদার রাখার কারণে মনক্ষুণ্ন হচ্ছেন এবং এই সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন।

অফিসের তথ্য প্রকাশ করার জন্য নকল কপি এবং রেজিস্ট্রি ফি সংক্রান্ত বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার রেকর্ড রুমে একটি বোর্ডের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই বোর্ডটি কেন বাহিরে রাখা হয়নি, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, অফিসের অবস্থা খারাপ থাকায় এটি বাহিরে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি এবং চুরির আশঙ্কার কারণে এটি ভিতরে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাব রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক সমিতির মধ্যে দলিল রেজিস্ট্রি ফি এবং নকল কপির ফি নিয়ে বিরোধের কারণে এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে রেজিস্ট্রি ফি ৬০০ টাকা হলেও অফিসে তা ১,৩২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং নকল কপির জন্য ২-৩ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি, দলিলের টিপ সিল দিতে ১-২ শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তারা সন্দেহ করছেন যে, এই বাড়তি টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মতবিরোধের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার এবং দলিল লেখক সমিতি এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, "এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" ভুক্তভোগী এবং সচেতন মহল দ্রুত সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

পুড়ে গেছে ৭০ রিসোর্ট

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত

রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে সাজেকের অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর মুহূর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সাজেক অবকাশ, ইকো ভ্যালি ও মেঘছুট রিসোর্ট এবং মনটানা ও মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ প্রায় ৬০-৭০টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে গেছে।

সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় বলেন, ‘সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কতগুলো রিসোর্টে আগুন লেগেছে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। খাগড়াছড়ি, দীঘিনালার দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। পাশাপাশি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।

বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর মো. আবু নঈম খন্দকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিরূপণ করা যাচ্ছে না।’

Header Ad
Header Ad

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুসলিম বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৭৮ জন মুসলিম বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘটে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমা চেয়ে থাকসিন বলেন, "আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করা। যদি আমার কোনো ভুল বা অযথা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

এই ঘটনা 'তাক বাই গণহত্যা' নামে পরিচিত এবং এর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন প্রথমবারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়, যার ফলে ৯ জন নিহত হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের হাতে বাধা দিয়ে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়া হয়, যার ফলে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়।

থাই মানবাধিকার সংস্থা "দুয়ে জাই" এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হিম্মিনা এএফপিকে বলেছেন, এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরও বলেন, যদি থাকসিন ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হন, তাহলে তার উচিত এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত