বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনগণের গলার ফাঁস: বাংলাদেশ ন্যাপ
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে সরকারের আদেশে গভীর উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
দলটি মনে করছে, বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি জনস্বার্থ পরিপন্থী। বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, সিস্টেম লস, অনিয়ম বন্ধ না করে সরকারের এই মুল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে জনগণের কষ্টের অন্ত থাকবে না। নতুন করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগণের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া জনস্বার্থ পরিপন্থী বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।
তারা বলেন, সারা দেশকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ বিদ্যুৎ বিভাগ কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগে চরম দুর্নীতি চলছে। সরকার লুটপাট আর দুর্নীতি বন্ধ না করে আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করেছে যা সম্পূর্ণ জনস্বার্থ পরিপন্থী।
সাধারণ মানুষের পক্ষে জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখাই যখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সময়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এতে করে নিম্ন ও সাধারণ আয়ের মানুষ ফুঁসে উঠতে পারে।
নেতারা বলেন, এমনিতেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্তের মানুষ নিদারুন অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের কষ্ট আরও বেড়ে দুর্বিষহ করে তুলবে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লে তা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিবে।
তারা বলেন, ‘গত বছর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ সংকটের মধ্যে রয়েছে। বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষের বাসাবাড়ির দামের সঙ্গে শিল্প এবং বাণিজ্যের দামও বাড়বে। ফলে দেশে আরেক দফা মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
নেতারা বিদ্যুৎ খাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূর করে রাষ্ট্রীয় খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার এবং মূল্য হ্রাসের দাবি জানিয়ে বলেন, আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক। সরকারের উচিত জনগনের কথা চিন্তা করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
এমএইচ/এমএমএ/