শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দলে মূল্যায়ন না পেয়ে বিএনপির ১২ নেতার পদত্যাগ!

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনে পদ বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সম্পর্ককে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন অন্তত এক ডজন নেতা।

সাম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১০ ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ্ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক এ কমিটির অনুমোদন দেন। এই কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে মোহাম্মদপুর থানার ৩৩ নং ওয়ার্ডের অন্তত এক ডজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ নিজ আইডি থেকে পদত্যাগের বিষযয়ে পোস্ট করেছেন পদত্যাগকারীরা।

অনুমোদনকৃত কমিটি গুলো হলো-রূপনগর থানার ৬নং আঞ্চলিক ওয়ার্ড, শাহআলী থানার ৮ ও ৯৩ নং ওয়ার্ড, কাফরুল থানার ৪নং ওয়ার্ড, আদাবর থানার ৩০ ও ১০০ নং ওয়ার্ড, মোহাম্মদপুর থানার ৩১, ৩২, ও ৩৩ নং ওয়ার্ড এবং বনানী থানার ১৯ নং ওয়ার্ড।

পদত্যাগকারী নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি ঘিরে এলাকা প্রীতি এবং পদ বাণিজ্য হয়েছে। যাদের বাড়ি ভোলা তাদের চাল চুলা কিছু না থাকলেও তারা কাউন্সিলে পাস করেছেন। আবার যারা অর্থ দিচ্ছে তারাও কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। পদত্যাগ থামানোর জন্য আমিনুল হক হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন পদত্যাগী নেতারা।

পদত্যাগকারী নেতারা

৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটির যারা পদত্যাগ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে শামসুর রহমান শাহীন-২নং সহ সভাপতি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি; মো. জাহাঙ্গীর সহ সভাপতি, সাবেক সহ-হকার্স কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি; মো. কফিল উদ্দিন কফিল-কোষাধ্যক্ষ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি; মো. সালাউদ্দিন মৃধা-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক; মো. কামাল সহ কোষাধ্যক্ষ, সাবেক সহ-প্রচার বিষয়ক সম্পাদক; মো. সোহাগ- সহ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সদস্য আহ্বায়ক কমিটি; মো. লোকমান- সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সদস্য ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি; মো. ইউসুফ-সদস্য ও সাবেক সদস্য ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি, সাবেক সভাপতি ইউনিট বিএনপি; মো. মনির হোসেন পালোয়ান সদস্য ও সাবেক সদস্য ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ১০০ নং ওয়ার্ড বিএনপির অন্তত আরও দুই ডজন নেতা পদত্যাগ করবেন বলেও জানা গেছে।

জানতে চাইলে পদত্যাগকারী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন কফিল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজপথের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন লোক দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিট থেকে লোক এনে এখানে পদায়ন করা হয়েছে। পূর্বের কমিটিতে যে পদে ছিলাম সেখান থেকে ডিমোশন কীভাবে দিচ্ছেন, আপনি কমিটি রাখতে না পারলে থেকে বাদ দিয়ে দিবেন, কিন্তু আপনি তো অবমূল্যায়ন করতে পারেন না। যাদের টাকা-পয়সা রয়েছে তারা ভালো পদ পেয়েছেন, আমার টাকা থাকলে হয়তো আমিও ভালো পদে যেতে পারতাম। যাদের কখনো আন্দোলন, সংগ্রাম ও রাজপথে দেখেনি তাদেরকে এনে কমিটিতে বসানো হয়েছে। ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করার কারণে আমিসহ অনেকেই গণপদত্যাগ করেছি।

তিনি বলেন, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ইতিমধ্যে পদত্যাগের স্ট্যাটাস ক্রিনশট পাঠিয়েছি। অপেক্ষা করছি তারা কোনো পদক্ষেপ নেন কি না; যদি তারা আশ্বাস কিংবা কার্যকর পদক্ষেপ নেন তাহলে হয়তো বিবেচনা করব। অন্যথায় লিখিত আকারে পদত্যাগ পত্র খুব শিগগিরই জমা দেব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে অযোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার’ বাদলের সহযোগী মোল্লা কাউসারকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিট থেকে অন্তত ১৫ জনকে এনে ওয়ার্ডের সদস্য করা হয়েছে। যদিও ইউনিটের কারও ওয়ার্ডে আসার সুযোগ নাই। ৩২ নং ওয়ার্ডের যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. বিল্লাল হোসেনকে একই ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানা কৃষকদলের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান ভিক্ষুককে ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সাবেক সহ-হকার্স কল্যান সম্পাদককে ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি বানানো হয়েছে। অথচ নিয়ম করা হয়েছে থানা কমিটির কেউ ওয়ার্ড কমিটিতে আসতে পারবে না।

৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া শাওন আহমেদকে স্বপনকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির কোথাও রাখা হয়নি। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী হাজী মো. মোস্তফাকেও কোনো পদে রাখা হয়নি। ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাফিল উদ্দীন কাফিলকে অবমূল্যায়ন করে নতুন কমিটিতে ক্যাশিয়ার বানানো হয়েছে। ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদ্য সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কারা নির্যাতিত রজ্জব আলী সুমনকে অবমূল্যায়ন করে নতুন কমিটিতে সহ-সম্পাদক করা হয়েছে। সাবেক সাংগঠনিক জহির হোসেন শাকিলকেও কোনো পদে রাখা হয়নি।

এ ছাড়া, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিতে কারা নির্যাতিত নেতা সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হাসান জীবনের অনুসারী কাউকে কোনো পদে রাখা হয়নি। এই ওয়ার্ড এর কমিটি গঠিত হয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়নপ্রাপ্ত কমিশনার আবুল কাশেমের ছোট ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমেরিকা ফেরত স্বাধীনের নির্দেশে। অভিযোগ আছে আহ্বায়ক কমিটিতে বিশাল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাজনীতির মাঠে সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয় স্বাধীনকে ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।

৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আহসান উল্লাহ শহীদের অনুসারী কাউকে কোনো পদে রাখা হয়নি। ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফয়সাল ভূইয়া সোহেল, সভাপতি পদপ্রার্থী খাইরুল বাশার মুক্তি ও মহানগর বিএনপির সদস্য হাজী ইউসুফের অনুসারীদের কমিটিতে রাখা হয়নি। ২৯ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী লিটন মাহমুদ বাবু, সাবেক সাধারণ আব্দুল কাদেরের অনুসারীদের কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি।

হাউজিং ব্যবসায়ী ও সাবেক সভাপতি এম এস আহমাদ আলী এবং বর্তমান সভাপতি মান্নান হোসেনের নির্দেশে ৩৩ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়েছে। এ ছাড়া, ২৯ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েতুল হাফিজের নির্দেশে। ওয়ার্ডের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠিত ঢাকা-১৩ আসনের এমপি সাদেক খানের ভাতিজা, মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বর্তমানে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম খানের নির্দেশে। এই ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের বেলায় কাউন্সিলে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদেরও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

৩১ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী কারাবন্দী পিচ্চি হেলাল ও তার অনুসারী কমিশনার রাজু হত্যাকাণ্ডর অন্যতম আসামি সদ্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়া পাপ্পুর নির্দেশে। পাপ্পুকে বিভিন্ন সমাবেশে দেখা গিয়েছে ৮০-৯০টি মোটরসাইকেল দিয়ে প্রটোকল দিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলকে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাদের হুমকিসহ ৩৩নং ওয়ার্ডের এক সম্পাদকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ আছে এই পাপ্পুর বিরুদ্ধে।

২৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ওয়ার্ড সম্মেলন ঘিরে এলাকা প্রীতি এবং পদ বাণিজ্য হয়েছে। যাদের বাড়ি ভোলা তাদের চাল চুলা কিছু না থাকলেও তারা কাউন্সিলে পাস করেছে। আবার যারা অর্থ দিচ্ছে তারাও কমিটিতে জায়গা পাচ্ছে।

পদত্যাগকারী শামসুর রহমান শাহীন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন না করার কারণেই আমরা পদত্যাগ করেছি। আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব হয়তো মনে করেন আমাদেরকে মোহাম্মদপুর দরকার নেই, এ জন্য হয়তো অবমূল্যায়ন করেছে। যাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে এদের মধ্যে অধিকাংশই নতুন মুখ। শুনেছি কমিটিকে কেন্দ্র করে অর্থ লেনদেন হয়েছে।

অনেকে পয়সার বিনিময় পদ পেয়েছেন এমনও শুনেছি। আমি ১৪টি মামলার আসামি, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে অংশ নিচ্ছি আর কমিটিতে এটাই প্রতিদান পেলাম।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক যদি বলতে পারেন; আমার পূর্বে যাকে পদে রাখা হয়েছে তিনি কবে কখন থেকে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। কোনো আমলে কোনো ইউনিট ও ওয়ার্ডে বিএনপির রাজনীতি করেছেন সেটা যদি স্পষ্ট করে বলতে পারেন তাহলে আমার কিছু বলার নাই।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা যারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। সাক্ষাৎ করেছেন তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে; অভিমান ছিল এখন সমাধান হয়েছে। সবাই ঐক্যেবদ্ধ আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই হয় কাজেই সেখানে পদত্যাগ করলেই তো আর পদত্যাগ কার্যকর হয়ে যায় না।

কমিটিতে প্রভাব ও অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকা কিংবা তার উপর অসন্তোষের বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনুল বলেন, নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা আছে; আর অভিযোগ রাজনীতির বড় একটি অংশ। আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছেন, এটা সত্য নয়। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর কারও কাছ থেকে এক কাপ চা কিংবা কফি খেয়েছি এটা কেউ বলতে পারবেন না।

গত ২ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মোহাম্মদপুর থানার ৫টি ওয়ার্ড ২৯, ৩১,৩২,৩৩ ও ৩৪ কমিটির সন্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে কমিটি গঠনে পদ বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সম্পর্ককে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ একটা গ্রুপ প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং সদস্য সচিব আমিনুল হককে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির কাঁধে এখন অনেক দ্বায়িত্ব। এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা বিএনপি কে নিয়ে।  সুতারাং দেশের মানুষের আকাঙ্খা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের আচরন করতে হবে। তৈরী হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  অন্তবর্তী সরকারকে বুঝতে হবে জনগন কি চায়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার অন্তবর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তারপর নির্বাচিত সরকার বাকী সংস্কার করবে।

এ সময় দ্রুত নির্বাচনের দেয়ার  দাবী জানান তারেক রহমান। 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং আনন্দ মুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করতে যেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই অর্থাৎ তার নেতৃত্বেই এদেশে হত্যা, লুণ্ঠন, এবং অপরাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে গনতন্ত্র হত্যা করে সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি বদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।

এসময় তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের উত্তরসূরী ফ্যাসিবাদের চুড়ান্ত বাস্তবায়নকারী শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর এদেশের জনগণের ঘাড়ে অবৈধভাবে চেপে বসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে অবরুদ্ধ করে অসংখ্য খুন গুম ব্যাংক লুট এবং অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে দেউলিয়া এবং চরম দারিদ্র্যের শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মোকাবেলা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর এটা করতে হলে অবিলম্বে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার।

শুরুতে সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপরে সম্মেলনের উদ্বোধক সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বিগত দিনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, এড.নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সভাপতি বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা, জেলা জাসাসের সভাপতি সেলিমুল হাবিব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম মনি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস মিলি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

সম্মেলনের একপর্যায়ে জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের হাতে তারেক রহমানের পক্ষে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। 

সম্মেলনে একমাত্র প্রার্থী হিসাবে আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আজকের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Header Ad

'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‌'স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।'

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের অভিমত হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। কারণ, স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের আগে যদি জাতীয় নির্বাচনে যাই, তাহলে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা ঝুলে যাবে। কারণ এখন আমাদের যে চিন্তা-ভাবনা, স্থানীয় নির্বাচন যেটা আছে সেটা কোনো সিস্টেম না। আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান, আলাদা আলাদা আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কোনো কমপ্রিহেন্সিভ সিস্টেম নাই। এই সংস্কারের বড় কাজ হবে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করে দেওয়া। এখন সিস্টেম কী হবে? যে সিস্টেম আছে সেটা আইয়ুব খানের ভাবনায় রেখে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ১০ বছর পরে উপজেলা, তার ১০ বছর পর উপজেলা পরিষদ হয়েছে। এতে কম্প্রিহেন্সিভ কিছু হয়নি। এই সিস্টেম করার জন্য এখন মোক্ষম সময়। কেননা, বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার কিন্তু নেই। কেবল ইউপি আছে। কাজেই ছবি আঁকার এটাই সময়। আমরা যদি সিস্টেম করতে পারি যে, একটা কম্প্রিহেন্সিভ আইন হবে। সেই আইনের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান চলে আসবে। এতে একটা তফসিল দিয়ে সবগুলো নির্বাচন করতে পারব।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, কমিশন যে সংস্কার করতে চাচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের নির্বাচন ব্যয় অনেক কমে আসবে। বাঁচবে সময়। অপেক্ষাকৃত অনেক কম জনবল লাগবে।

তিনি আরও বলেন, হিসাব করে দেখেছি, গত কমিশন যে স্থানীয় নির্বাচন করেছে এতে ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ১৯ থেকে ২০ লাখ লোক লেগেছে। ২২৫ দিনের মতো সময় লেগেছে। তাই স্থানীয় নির্বাচনে যদি পার্লামেন্টারি সিস্টেম নিয়ে আসি। তাহলে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে একই সিস্টেম করতে পারব। তাহলে খরচ চলে আসবে ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে। লোক লাগবে আট লাখ। সময় লাগবে ৪৫ দিন। তাহলে এই সিস্টেমে যাওয়ার জন্য অধ্যাদেশ করে যদি যান তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব। বর্তমানে যা আছে তা দিয়ে যদি স্থানীয় নির্বাচন করতে চান, তাহলে পাঁচটা আইন দিয়ে পাঁচটা নির্বাচন করতে হবে। এতে জাতীয় নির্বাচনের আগে তা করা সম্ভব কি-না, তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, পার্লামেন্টের যে মেম্বার তিনি স্থানীয় কোনো দায়িত্বের মধ্যে পড়েন না। তার কাজ হচ্ছে সরকারি কাজগুলো জবাবদিহিতার মধ্যে আনা। উনি যদি সমস্ত উন্নয়ন করেন তাহলে তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হলো। তিনি জবাবদিহিতা করাবেন কাকে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী এমপিরা এটা পারে।

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু