ভারতীয় সৈন্য থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মনে করেননি দেশ স্বাধীন হয়েছে: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ
যতক্ষণ পর্যন্ত ভারতীয় সৈন্য এদেশ থেকে যায়নি ততক্ষন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু মনে করেননি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় সম্মানিত বক্তা হিসেবে বক্তৃতাকালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ একথা জানান।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাবে কবে?
তোফায়েল আহামেদ বলেন, তখন ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনি যেদিন চাইবেন সেদিনই সৈন্য ফিরিয়ে নেব। ৬ ফেব্রুয়ারি কলকতায় গড়ের মাঠে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু। বক্তব্য শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তখন ইন্দিরা গান্ধীকে বলেন, আমি কৃতজ্ঞ ম্যাডাম প্রধানমন্ত্রী। আপনাকে ১৭ মার্চ আমার জন্মদিনে বাংলাদেশে নেমন্তন্ন করছি।
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশে এসেছিলেন জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তার আগে ১২ মার্চ ভারতের সেরাবাহিনী ফিরে গেছে। বঙ্গবন্ধু-ইন্দিরা গান্ধী বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম।’
১০ জানুয়ারির স্মৃতিচারণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে পুরাতন বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছালাম। আমার মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধু এই দিনটির জন্যই সারাজীবন অপেক্ষা করেছেন। কারণ পাকিস্তান সৃষ্টির পরই তিনি বুঝেছিলেন এই দেশ বাঙালির নয়।’
রাজনৈতিক সচিব হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, তখন দেখেছি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বঙ্গবন্ধু কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু নেই। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত। তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন তাতে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে । আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সম্মানিত বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী।
বিভিন্ন দেশে দায়িত্বপালনকারী বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতগন এবং বিদেশে বাংলাদেশের মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর আসাদ আলম সিয়াম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরইউ/এমএমএ/