পুলিশকে উর্দি রেখে রাস্তায় নামার আহ্বান টুকুর
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘যে কারণে যুদ্ধ করেছিলাম, রক্ত দিয়েছিলাম, দেশকে মুক্ত করেছিলাম সেই গণতন্ত্র আজ হারিয়ে গেছে। এখন মৌলিক অধিকারের দাবি করলে এই দেশের সরকার ও পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
সমাবেশ করতে এসে আমাদের শিবির করে থাকতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমাদের কে গণআন্দোলন করতে হচ্ছে; ভাতের অধিকার ভোটের অধিকার ও সরকারের লুটের বিরুদ্ধে। এই বয়সে আবারো ঘোষণা দিচ্ছি আরেকটা যুদ্ধ করব।অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সেই আন্দোলন চলবে।’
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. এরশাদ আলী ঈশা’র সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ ভাই আপনারা অনেক করেছেন। যদি আওয়ামী লীগ করার ইচ্ছে থাকে আওয়ামী লীগ করেন; এটা আপনাদের অধিকার। দয়া করে উর্দি ছেড়ে রাস্তায় আসেন দেখি…? আমার বন্দুক, আমার বেতন আমাদের গুলি করবেন; তা হয় না। আমরা মুক্তিযোদ্ধা; মুক্তিযোদ্ধাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়; দিনের ভোট রাতে কেটে নির্বাচিত দাবি করে। এটা শুধু আমাদের কথা নয়; কয়েকদিন পূর্বে জাপানের রাষ্ট্রদূতও বলেছেন। অথচ এদের লজ্জা শরম নাই।
কিন্তু আমাদের দরকার লজ্জা শরম আছে এমন সরকার। তারা কথায় কথায় বলে উন্নয়ন উন্নয়ন। ১২ হাজার নতুন কোটিপতি আর সাড়ে ৩ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে; আপনারা কার সরকার? ১২ হাজার নাকি সাড়ে ৩ কোটি মানুষের।
দেশের মানুষ শান্তিতে নেই। যারা এই সরকারের সুবিধাভোগী, ঘুষ খায়, চাঁদাবাজী করে কেবল মাত্র তারা ভালো আছে। সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন, তারা পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের প্রত্যাশায় সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সমাবেশগুলোতে অংশ নিচ্ছেন।
সমাবেশে আগত নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনারা প্রচণ্ড কষ্ট শিকার করে সমাবেশ সফল করেছেন। সরকার অনুমতি দিয়েছিল তিন ঘণ্টার সমাবেশ হবে, আপনারা তিনদিন রাত খেয়ে না খেয়ে সমাবেশ সফল করেছেন। কষ্ট করে সময় কাটিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনগণের যখন জোয়ার উঠে তখন ঠেকানো যায় না। অথচ সরকার মনে করেছিল বাস বন্ধ করে দিলে কেউ আসবে না। কিন্তু যাদের আসার কথা তারা টিকই এসেছেন। তারাই বিএনপির আসল কর্মী।
এমএমএ/