‘ক্ষমতালোভ সরকারকে হিংস্রতার শেষ সীমানায় নিয়ে গেছে’
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়েরসহ নানা কায়দায় নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইছে বর্তমান অবৈধ সরকার। বর্তমান নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকারের সব ঘৃণ্য আচরণ প্রমাণ করে যে, তারা মানবতাবোধ, সহমর্মিতা, বিবেক সবকিছুই মাটিচাপা দিয়েছে। ক্ষমতার দাপট এবং ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে হিংস্রতার শেষ সীমানায় নিয়ে গেছে। ’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতা চিরকাল ভোগ করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে একদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দী রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দেশের মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত রাখতে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর নানাবিধ জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সরকার।’
সোমবার (২৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের পায়ের নিচে আর বিন্দুমাত্র মাটি অবশিষ্ট নেই বলেই তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের হত্যা ও আহত করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অবৈধ সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যেন বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস না পায়। কিন্তু আওয়ামী সরকারের অপশাসন রুখে দিতে জনগণ এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমি অবিলম্বে উল্লেখিত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ভুয়া ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারসহ আহত নেতা-কর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু চান চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল আলম ভূইয়া, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম ভূইয়া, নিসার ভূইয়া, জামাল উদ্দিন ভূইয়া, আসাদুজ্জামান আসাদসহ দূর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপি নেতা নূর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেন্দুয়া পৌর বিএনপি’র সভাপতি খোকন আহম্মেদ ডিলার, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বিএনপি নেতা সোহেল আহম্মেদ, আব্দুল হেলিম ভূইয়া, যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, আন্জু মেম্বার, মাসুদ, ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম সাদেককে গ্রেপ্তার এবং কেন্দুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৩০ নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন নেতা-কর্মীর ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এ ছাড়া বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স পৃথক বিবৃতিতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও দূর্গাপুর উপজেলা এবং পৌর বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার এবং নেতা-কর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধের জোর দাবি জানান।
এমএইচ/এসজি