পদত্যাগের জন্য প্রস্তুতি নেন, সরকারকে গয়েশ্বর
সরকার কোন পদ্ধতিতে পদত্যাগ করবে ঢাকার ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশে বলে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী সরকারকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘১০ তারিখ আমরা সরকারকে জানাবো কীভাবে তারা পদত্যাগ করবেন। আমরা যা কিছু করব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়ে করব। বিএনপি তো সর্বহারা পার্টি না বা আড়ালে আবডালে থাকা দল না। যে গোপনে কোনো কিছু করব। সুতরাং ১০ তারিখ আমরা ঘোষণা দেব এই ঘোষণা অনুযায়ী আপনারা প্রস্তুতি নিবেন। আর আমাদের (বিএনপির) প্রস্তুতি আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মোকাবিলা করে না, বরং পরাস্ত করা।’
সোমবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকী’র ২১ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভাটির আয়োজন করে আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, হয় পদত্যাগ করবেন না হয় পদত্যাগে বাধ্য করব। কিসের জন্য বাধ্য করব; ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। দেশের মালিক জনগণ। কোনো ব্যাক্তি, দল দেশের মালিক নন। যদি কেউ মনে করে দেশটা তার পৈত্রিক সম্পত্তি, তিনি দেশের রাজা, তিনি যা ইচ্ছা তা করবে। তা মনে করলে এটাকে আমরা সমাপ্তি করতে চাই। মোট কথা যারা দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে তাদের সরাতে হবে।
ক্ষমতায় আসলে বিএনপি আদালত (বিচার বিভাগ) নিয়ন্ত্রণ করবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মত আদালত নিয়ন্ত্রণ বিএনপি করবে না। আপনার মতো পুলিশকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে বিএনপি ব্যবহার করবেন। পুলিশের এক শ্রেণির লোক এবং যারা লুটপাট করেন, তারা মনে করে শেখ হাসিনা না থাকলে তাদের কী হবে। এ কারণে তারা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা পরামর্শ দেন। অতীতে এমন ঘটনা ৫২, ৭০ এবং ৭৫ সালে ঘটেছে। যার পরিনতি ভাল হয়নি; খুব খারাপ ভাবে পতন হয়েছে তাদের।
প্রধানমন্ত্রীর অনুসারীরা যে টাকা লুট করেছে তাদিয়ে ২ বছরের বাজেট করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন গয়েশ্বর। আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহবায়ক জাহানারা সিদ্দিকী। সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জামিল আহমদ সিদ্দিকী।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/