শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপিকে ভয় দেখানো যাবে না: রিজভী

হামলা, মামলা, গুলি, হত্যা, গ্রেপ্তার করে বিএনপিকে ভয় দেখানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, দেশের স্বাধীনতা, ন্যায়-সত্যের জন্য লড়াই করছি। আমরা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিরুদ্ধে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই লড়াই করতে গিয়ে অনেক সন্তানের জীবন কেড়ে নিচ্ছেন। তারপরও আমাদেরকে ভয় দেখাতে পারেননি। আমরা কিন্তু ভয় পাইনি। আমরা আপনাকে ক্ষমতা থেকে নামাব, আপনার সরকারের পতন ঘটাব, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। তারপরে আমরা ঘরে ফিরে যাব।

কুমিল্লাসহ সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আবারও সরকার গায়েবি মামলা দেওয়া শুরু করেছে। মামলা দেওয়া হচ্ছে, ককটেল ফাটিয়েছে, বোমাবাজি করেছে! অথচ কোথাও কেউ ককটেলের আওয়াজও পায়নি। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায়, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরা (আওয়ামী লীগ) মিথ্যা কথা এমনভাবে রপ্ত করেছে, এদের মিথ্যাতেই জন্ম। মিথ্যাতেই এরা বেড়ে উঠেছে।

আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা গতকাল (২৫ নভেম্বর) স্বাচিপের একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। ২০০১ সালের কথা। কিন্তু আমি বলতে চাই আপনি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। আপনি সেইবারেও চক্রান্ত করেছেন। আপনি মনে করেছিলেন, আপনার মনোনীত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদকে যা বলবেন তাই করবে। বিএনপির যে বিজয় হয়েছে সেই বিজয়ী ফলাফল নাকচ করতে তাকে বারবার চাপ দিয়েছেন। কিন্তু বিবেকবান প্রেসিডেন্ট প্রধান বিচারপতি ছিলেন ন্যায় বিচারক। শেখ হাসিনার কথা শোনেননি। এজন্যই শেখ হাসিনার পরবর্তীতে বারবার তার বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জয় লাভ করার পর দুঃখে প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দীন আহমেদ একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমি কাউকে মুচলেকা দেইনি, যে কাউকে বারবার ক্ষমতায় রাখব। এই জন্য আমি প্রেসিডেন্ট হইনি। বিচারপতি শাহাবুদ্দীনের কাছ থেকে শেখ হাসিনা পারেনি বলেই তার যত গোস্যা, যত রাগ, যত ক্ষোভ। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি সময়ের খবরের কাগজ দেখলেই এসব চোখে পড়বে। শেখ হাসিনার কত অভিমান বিচারপতি শাহাবুদ্দীনের প্রতি। কিন্তু বিচারপতি শাহাবুদ্দীন অন্যায় করেননি। জনগণের ফলাফলকে তিনি বাতিল করেননি। শেখ হাসিনার কথা তিনি শোনেননি।

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, আপনি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী আপনার লজ্জা করেনি? আপনি সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীকে গুম করেছেন, নির্বাচিত কাউন্সিলর চৌধুরি আলমকে আপনি গুম করেছেন, আরেক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরুকেও গুম করেছেন। আপনি এমপি, নির্বাচিত প্রতিনিধি, যুবক, ছাত্র কাউকেই ছাড়েননি, ক্রসফায়ার দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আর ২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচন করেছেন। একটা একতরফা নির্বাচন, আরেকটা হচ্ছে নিশিরাতের নির্বাচন। গুম আর রক্তপাতের মধ্য দিয়েই আপনি জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছেন। আর আপনি বলেন, আপনি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের যে মালিকানা, এদেশের মালিক জনগণ। এই মালিকানা আপনি দস্যু, ডাকাতের মতো করে কেড়ে নিয়েছেন। আপনার অন্তর হচ্ছে ডাকাতের অন্তর, দস্যুর অন্তর। আপনার হৃদয় হচ্ছে সন্ত্রাসীর হৃদয়। তাই আমার গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের স্বাধীনতার জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য, ন্যায়ের জন্য, সত্যের জন্য লড়াই করছি। এই লড়াই করতে গিয়ে আপনার একদিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ, তারা সশস্ত্র। তাদের কাছে লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র। আরেকদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যেও আমরা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক সন্তানের যে আজকে জীবন কেড়ে নিচ্ছেন। তারপরও আমাদের ভয় দেখাতে পারেননি। আমরা কিন্তু ভয় পাইনি। আমরা আপনাকে ক্ষমতা থেকে নামাব, আপনার সরকারের পতন ঘটাব, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন, দক্ষিণের সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক এনাম, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউদ্দিন সেন্টু, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোসাব্বির, স্বেচ্ছাসেবক দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. জাহিদুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার প্রমুখ।

এমএইচ/এসজি

 

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি