শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আত্মাহুতি দিব’

গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকার ২০১৪ সনে বিনা ভোটের নির্বাচন ও ২০১৮ সনে মধ্য রাতের নির্বাচনে ঠকবাজদের সমন্বয় করে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদেরকে আর বিশ্বাস করে না। হাতের যা ছিল জোচ্চুরি দেখিয়ে দিয়েছে এই সরকার, আর হবে না; জনগণ আর হতে দেবে না। আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ঘোষণা দিয়ে ছিলাম অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া আমরা কখনো নির্বাচনে যাব না। এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে থাকব। আমাদের সঙ্গে যারা সুর মেলাবে মাঠে আসবে আমরা তাদের পাশেই থাকব; তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করব।’

শনিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গণফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সম্মেলনে এম. এ. কাদের (মার্শাল) কে সভাপতি ও এরশাদ জাহান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মোস্তফা মোহসীন বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা আত্মত্যাগ করব, আত্মাহুতি দিব। এদেশের মানুষের জন্য ৭১-এর মত সংগ্রাম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। রাজনৈতিক দলের বিভেদ আমরা চাই না। আমরা চাই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ যে রাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের চেতনা নিয়ে অত্যাচার-অবিচার বিহীন, লুটপাট বিহীন, পরিবেশ খেকো-বালু খেকো-নদী খেকোরা থাকবে না, ব্যাংক লুটেরারা থাকবে না, জোর-জবরদস্তি করে জমি দখল-কারখানা দখল হবে না সেই একটা দেশ আমরা গড়তে চাই।’

সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, ‘জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমেই আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতিকে বিভাজিত করে কখনো কোন দেশ, মৌলিক বিষয়ে যদি আমরা ঐক্যমতে না থাকি, জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। আজকে একদল দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের হোলসেলার, তারা মুক্তিযুদ্ধের দল, তারাই মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তারাই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন, তারাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি! আসলেই কি তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি? মুক্তিযুদ্ধে কী বলেছে? বলেছে মানব মুক্তির কথা। মুক্তিযুদ্ধে কী বলেছিল? বলেছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধ কী বলেছে? বলেছে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। মুক্তিযুদ্ধ কী বলেছে? বলেছে ধনী-গরিবের বৈষম্য থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধ কি বলেছে? বলেছে মানুষের সুযোগের সমতা থাকবে। আজকে সবাই কি সুযোগে সমতা পাচ্ছে? এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না বলেই আজকে সমাজ-রাষ্ট্র-দেশে বৈষম্যের পাহাড় তৈরি হয়েছে। আজকে ২০ শতাংশ লোকের হাতে দেশের ৮০ শতাংশ সম্পদ। জনগণকে জাগ্রত করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে কিন্তু তা মানে না তারা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না।’

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের ২৪ বছর আমাদের লড়াই করতে হয়েছে আর এখন আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী হয়ে গেলেও এখনো একই লড়াই করছি, একই কথা বলছি, রাজনীতির কি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে? তখনও শাসন-শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি এখনো ৫০ বছর পরে বলতে গেলে ৭৫ বছর পরেও চিন্তা করেন একটা জাতির ৭৫ বছর পরেও আমাদের রাজনৈতিক ভাষা পরিবর্তন করতে পারিনি। বরঞ্চ আরও কতগুলো অশ্লীল শব্দ, অশ্লীল মানে বাস্তবিক অর্থে দুর্নীতি-মহাদুর্নীতি, সাগর চুরি-মহাসাগর চুরি, নদী খাওয়া, সাগর খাওয়া, বৃক্ষ খাওয়া, পাহাড় খাওয়া এক অর্থে সর্বভুক খাওয়া শুধু খাওয়ার রাজনীতিতে আছি। শিক্ষা ব্যবস্থা খাওয়া, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খাওয়া খেতে খেতে রিজার্ভও খেয়ে ফেলেছি। আহারে চোরের মায়ের বড় গলা! কিছুদিন আগে বলেছেন রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে, দুর্ভিক্ষ আসছে।

তিনি বলেন, এখন আবার উল্টোটা বলছেন রিজার্ভের কোনো ঘাটতি নেই। টাকার কোনো ঘাটতি নেই। তারা কখন কী বলেন তার ঠিক নেই। তাদের বক্তব্য রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত। তারা অশনি সংকেতের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু করেছে। একইভাবে তারা বাংলাদেশে একটা নির্বাচন নির্বাচন খেলা শুরু করেছে। নির্বাচন হবে কী হবে না তারই কোনো পরিবেশ নেই। কেউই মনে করে না বাংলাদেশে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে বা কোনোদিন হবে। বিগত বছরগুলোতে এই সরকার নির্বাচনের নামে তামাশা করেছে অতএব তারা ফেল করেছে, শুধু ফেলই করেনি তারা নিচে নেমে গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান বীর প্রতীক, আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব আব্দুল কাদের, গণফোরাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলীনূর খান বাবুল, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পাদক ও ঢাকা জেলা গণফোরামের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জনাব হাবিবুর রহমান বুলু প্রমুখ।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ